আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুঁজিবাজারে আরেকটি বড় ধস

আরেকটি ধস দেখল পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা। আজ রোববার দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে প্রায় ছয় শতাংশ। বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে দরপতন শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকবার ধসের ঘটনা ঘটেছে। সেই হিসাবে আজকের ধসটি শেয়ারবাজারের অন্যতম বড় ধস হিসেবে বিবেচিত হবে।

গত বছরের ৯ জানুয়ারি লেনদেনের প্রথম পাঁচ মিনিটে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৬০০ পয়েন্ট পড়েছিল। ওই সময় সূচকের অবস্থান ছিল ৭৭৩৫ পয়েন্টে। আর আজ ৩০৩ পয়েন্ট পতন হয়েছে, যে সময়ে সূচকের অবস্থান ৪১৮৩ পয়েন্টে। এদিক থেকে বিবেচনা করলে আজকের দরপতনকে আরেকটি বড় ধস হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ ছাড়া গত বছরের ১৩ মার্চের পর এটিই বড় দরপতন।

ওই দিন ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৬.৯২ শতাংশ পতন হয়েছিল। এ ব্যাপারে ডিএসইর পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, পুঁজিবাজারে অব্যাহতভাবে দরপতনের ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা একেবারেই কমে গেছে। একইভাবে বাজারে চরম তারল্যসংকট বিরাজ করছে। এ দুটি কারণই আজকের বাজারের এই পতন বলে মনে করছেন তিনি। ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, আজ ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৬.৭৭ শতাংশ বা ৩০৩.৯১ পয়েন্ট কমে ৪১৮৩.০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা গত ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এর আগে ২০০৯ নয় সালের ১৯ নভেম্বর সূচকের অবস্থান ছিল ৪১৪৪ পয়েন্টে। সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে আজ ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়, যা সারা দিনই অব্যাহত ছিল। আজ ডিএসইতে ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৫৪টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে মাত্র তিনটির আর অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের দাম।

আজ স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ২৬১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৭২ কোটি টাকা বেশি। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো, ইউনাইটেড এয়ার, এনবিএল, আরএন স্পিনিং, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবিএল, বিকন ফার্মা, ম্যাকসন স্পিনিং ও ফু-ওয়াং সিরামিকস। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৫.৭৫ শতাংশ বা ৭৪৩.১৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১২১৮১.৪২ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৮টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে মাত্র পাঁচটির আর অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

সিএসইতে আজ ৩৯ কোটি টাকার শেয়ারের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১২ কোটি টাকার বেশি। এ দিকে আজ বড় ধস হলেও বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন করতে দেয়নি পুলিশ। মতিঝিলে ডিএসইর সামনে সারা দিনই পুলিশের কঠোর নজরদারি ছিল। পুলিশের নজরদারির কারণেই আজ ডিএসইর সামনে কোনো বিনিয়োগকারীকে বিক্ষোভের উদ্দেশে জড়ো হতে দেখা যায়নি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.