পুঁজিবাজারের অস্থিরতার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বুঝতে পারছি না আসলে সেখানে হচ্ছেটা কী? অধিকাংশ মানুষ মনে করছে শেয়ারবাজার এখন জুয়া খেলার জায়গায় পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি ২৬টি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়তে ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করুন। কাজ না করে চেয়ারে বসে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি কেম্পানির শেয়ার ছাড়তে আরেক দফা সময় বেঁধে দেওয়া হবে। এরপর বাজারে আসতে না পারলে সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগ করতে হবে। এ কোম্পানিগুলোর শেয়ার অফলোড প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ঝুলে থাকায় আবারও তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সবচেয়ে দুর্বল তথা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। এসব কোম্পানি বছরের পর বছর ডিভিডেন্ট দেয় না।
অথচ শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়ে। এতে সিন্ডিকেট অর্থ লুটে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এদের কারণে বাজার বিপজ্জনক অবস্থানে চলে গেছে। এসব কোম্পানিকে বাজার থেকে তালিকাচ্যুত করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এর বাইরে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে আইপিও ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরে আর কোনো কার্যক্রমে নেই।
এগুলো বাজার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বক্তব্যকালে গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও ২৬টি শেয়ার ছাড়ার ব্যাপারে গণমাধ্যম অনেক বাড়াবাড়ি করছে। বাজারে এর প্রভাবও পড়ছে। এতে বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গতকালের বাজার পরিস্থিতির ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রকৃত অবস্থাটা বোঝা মুশকিল হয়ে গেছে।
ডিসিসিআই সভাপতি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কর অবকাশসুবিধা বাড়ানোর দাবি জানালে অর্থমন্ত্রী তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, নতুন করে কোনো সুবিধা দেওয়া হবে না। গ্রামীণ ব্যাংকও এমন আবেদন করেছিল কিন্তু তাদেরও তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উৎস:বাংলাদেশ প্রতিদিন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।