কবঠ আল্লাহ অনেক চিন্তিত। বাংলাদেশের বাঙ্গালী গুলান দিনকে দিন উচ্ছন্নে চলে যাচ্ছে। ধর্মকর্ম ভুলে সবাই হিন্দু ও নাসারাদের মতো জীবন যাপন করছে। কি করা যায়। কি করা যায়।
এই অঞ্চলে হেদায়েত বা হেফাজত এখন অতীব জরুরী। আল্লাহ অনেক ভাবনা চিন্তা করে আল্লামা আহমেদ শফিকে ধর্মের হেফাজতকারী হিসাবে পাঠালেন। একমাত্র তিনিই বাংলাদেশের আলোকে দিন ও এলেমের শিক্ষায় শিক্ষিত। তিনি সব জানেন। তিনি জানেন তার মাতা ছিলেন তেতুলের মতো।
নারী মাত্রই গৃহবন্দি করে রাখার সামগ্রী। নারীরা যেহেতু ভোগ্যপন্য তাই তাদের আদৌও শিক্ষা গ্রহনের দরকার নেই। ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়ালেখা করালেই যথেষ্ট। স্বামীর সম্পত্তির রাখোয়ালা সে তার কাজ শুধু সন্তান লালন পালন ও স্বামীর যাবতীয় আসবাবের দেখভাল করা। নারীরা তেতুলের মতো।
তেতুল দেখলেই যেমন লালা ঝরে নারী দেখলেই পুরুষের দিলে লালা ঝড়তে থাকে। ঐ নারী সঙ্গ পাওয়ার জন্য তার মন উতালা হয়ে উঠে। সুশীল চিন্তার মানুষ গুলিকে তিনিই খুব ভাল করে উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই আল্লাহ তাকেই ইসলাম রক্ষার সমস্ত ভার অর্পন করেন। শিক্ষিত সুশীলরা যখন নারী দেখলেই লালা ঝড়ার কথা অস্বীকার করেন, তারা তখন কোন অবস্থাতেই পুরুষ হতে পারেন না। হয় তারা হিজরা নয়তো ধজভঙ্গ রোগের স্বীকার *কতটা মুর্খ হলে এজাতীয় শব্দ তিনি উচ্চারন করতে পারেন।
নারী এবং পুরুষের সহজাত প্রবৃত্তি হল রুচিবোধের আলোকে পরস্পরের নৈকট্য লাভ। জ্ঞান ও শিক্ষার পরশপাথরের সংস্পসে এসে মানুষ নিজেকে সংজত করতে শেখে। সাইদি হুজুর বা আল্লামা হুজুররা কখনো এমন শিক্ষার ধার ধারেন না। তিনি যেই দেশের মাটিতে দাড়িয়ে এই জাতীয় উদ্ভট কথাগুলি বলছেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। বিরোধী দলের নেত্রী নারী।
স্পিকার নারী। পররাষ্ট্রমন্ত্রও একজন নারী। আল্লামা শফি কেন ভুলে যান তিনি যে ফটক দরজা পাড় হয়ে পৃথিবীর আলো ও বাতাসের সংস্পর্ষে এসেছিলেন সেই ফটক দরজার বাহকও ছিলেন একজন নারী। তিনি তাকেও অপমান করেছেন তেতুলের সাথে তুলনা করে। আমি আবার জামাতবিএনপির হুজুর গুলির জন্মবৃত্তান্ত জানি না তারা যদি তাদের বাবার পায়ুপথ দিয়ে পৃখিবীতে আগমন করে থাকেন তো সেটা ভিন্ন কথা।
তাহলে কারা নারী সর্ম্পকে যা খুশি তাই বলতে পারেন। তাদের ধারনায় নারীর যে কুটিল চিত্র অংকিত হয়ে আছে তা তাদের সারা জীবনের কুশিক্ষার ফসল। আর আমাদের মহিয়শী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ তাদের উত্তরাত্তর প্রবৃদ্ধির জন্য ধর্মরাষ্ট্র ও ধর্ম রাজনীতির চিরস্থায়ী বন্দবস্ত করে দিয়ে তাদেরকেই এই গুলি বলার সুযোগ করে দিয়েছেন।
অতএব এই সকল ষাঢ়দের মুখ অচিরেই বন্ধ করতে না পরলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার। সুবচন বা সুশিক্ষা যাবে র্নিবাসনে।
মুক্তবুদ্ধির চর্চা বন্ধ হয়ে যবে নেমে আসবে গ্লানিময় অবরুদ্ধ একটি জীবনব্যাবস্থা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।