বাংলার জনগন জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যার বিচারের দাবি ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় কাফনের কাপড় পরে অমর একুশের পাদদেশ হতে মৌন মিছিল বের করে শিক্ষক সমাজ ব্যানারের শিক্ষকরা।
মৌন মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমাজ ব্যানারের শিক্ষকরা।
সমাবেশে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, ‘আমরা ভয় পাইনা, দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে আছি থাকবো।
প্রশাসনকে বুঝানোর জন্যেই কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিলের আয়োজন। ’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত আমরা প্রশাসনকে সময় দিয়েছি। ২৬ তারিখের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসন ব্যর্থ হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করবো। ’
সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একদিনের নোটিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিয়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করে সবাইকে বুঝাতে চায় যে ক্যাম্পাস স্থিতিশীল আছে। কিন্তু আমরা ক্লাশে ফিরলেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই। ’
আর ক্যাম্পাস যে নিরাপদ না তা বুঝানোর জন্যই কাফনের কাপড় পরে আমাদের এই প্রতিকী মৌন মিছিল বলে জানান তিনি।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা যার কাছে আমাদের দাবি জানাচ্ছি তার কাছে আসলে দাবি জানানোর কিছু নেই। কারণ তিনি অনির্বাচিতভাবে আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছেন। এই অনির্বাচিত উপাচার্যকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে বলে আমার মনে হয় না।
’
তিনি অভিযোগ করে জানান, প্রতিবার কেন্দ্রীয় ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় আমরা চিঠি পেতাম কিন্তু এইবার একদিনের নোটিশে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে আমরা কোন চিঠি পাইনি।
পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক এম এ মতিন বলেন, ‘আমরা কি চাচ্ছি, আমাদের কি দাবি, প্রশাসন তা জেনেও নিরব। পূর্বেও দু’জন শিক্ষক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন তার সুষ্ঠু বিচার হয়নি। প্রশাসন তাদের নিজেদের মতো করে চলছেন কিন্তু আমাদের দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষক কাফনের কাপড় পরে করে এ মৌন মিছিলে অংশ নেয়।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন্দ্রীয় ক্রিড়া প্রতিযোগিতা কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিবারের ন্যায় কেন্দ্রীয় বার্ষিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলেও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল খুবই কম।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করার ফলে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কম ছিল বলে জানা যায়।
এছাড়া শিক্ষক ও সাংবাদিকরা প্রতিবার দাওয়াত কার্ড পেলেও এই বছর তাদের কোন কার্ড দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সিফাতুল্লাহ জানান, সাংবাদিক সমিতিতে বলা হয়েছে।
তবে শিক্ষকদের দাওয়াতের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।