আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাংনীতে পরকীয়ার বলি গৃহবধূ কবরী : পাষণ্ড স্বামী গ্রেফতার.....

দূরে অাছি......তার্হ ফেরা সহজ....কাছের মানুষ কখনো ফেরে না......... স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামে কবরী বেগম (৩৬) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে স্বামীর হাতে নিজ বাড়িতে তিনি খুন হয়েছেন। পাষণ্ড স্বামী হামিদুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে হামিদুল। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রামনগর গোরস্তানপড়ার মৃত বাবর আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম স্ত্রীকে খুন করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রামের মানুষ ভিড় জমায়।

পরে পুলিশ এসে হামিদুল ইসলামের বসতঘর থেকে কবরী বেগমের লাশ উদ্ধার করে। গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মহিউদ্দীন ও বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ওসমান গনি লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতামর্গে প্রেরণ করেন। সকালেই নিহতের পাষণ্ড স্বামী হামিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন এবং গলায় দাগ রয়েছে। শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর এমনটিই জানিয়েছেন এসআই ওসমান গনি। নিহত কবরী বেগমের ভাই সুজন আল মামুন জানান, পরকীয়া প্রেমের কারণে আমার বোনের জীবন প্রদীপ নিভে গেলো। পার্শ্ববর্তী বেতবাড়ীয়া গ্রামের শেফালি নামের এক মহিলার সাথে হামিদুল ইসলামের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হামিদুল রাজমিস্ত্রির কাজ করে যা আয় করতো তা শেফালির সাথে মোবাইলফোনে কথা বলে শেষ করতো। ৪-৫ দিন ধরে শেফালিকে নিয়ে উধাও হয়ে যেতো হামিদুল।

আমার বোনকে ৮-৯ মাস ধরে পাশবিক নির্যাতন করে আসছে। হাট বাজার ও খাবার দিতো না। শেফালির যুক্তিতে হামিদুল ইসলাম তার বোনকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। হামিদুলের পাশাপাশি শেফালির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে নিহতের পরিবার। নিহতের মেয়ে জানান, স্বামীর সাথে পিতার বাড়িতেই ছিলাম।

রাতে বাবার সাথে মায়ের কথা কাটাকাটি হচ্ছিলো। প্রতিবেশীরা একই কথা জানিয়েছেন। রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুনেছেন তারা। পরকীয়ার বিষয় নিয়েই হামিদুল উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে তাদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।

গতকাল দুপুরে গাংনী থানা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে হামিদুল ইসলাম। চড়-থাপ্পড় মারতে গিয়ে কবরী বেগম মারা গেছে বলে দাবি করেছেন হামিদুল ইসলাম। এদিকে নিহতের পিতা সুলতান মণ্ডল বাদী হয়ে হামিদুল ইসলামকে আসামি করে গতকাল গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলায় শেফালির সাথে পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। গতরাত ৯টার দিকে নিহতের পিতার গ্রাম কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে কবরী বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

নিহতের পারিবারিক পরিচয়: রামনগর গ্রামের পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সুলতান মণ্ডলের মেয়ে কবরী বেগমের সাথে ২০ বছর আগে হামিদুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। ছেলে ফয়সাল হোসেন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। মাস খানেক আগে তাদের মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.