সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফুটবল-বিশ্ব শাসন করেছেন দুজন—লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এখন পর্যন্ত রাজমুকুটটা অবশ্য টানা চারবার ফিফা-ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির মাথায়। তবে তা শোভা পেতে পারত রোনালদোর মাথায়ও, যদি তাঁর জন্মটা ‘ভুল’ সময়ে না হতো; অর্থাত্, মেসি না থাকতেন।
দৃশ্যপটে এখন অবশ্য শুধু মেসি আর রোনালদো নন, এসে গেছেন তৃতীয় একজন—নেইমার। রোনালদো-মেসির রাজত্বে ‘হুমকি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে ২১ বছর বয়সী ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ডকে।
ভাবনাটা যে অমূলক নয়, এরই মধ্যে তার প্রমাণও রেখেছেন নেইমার। সদ্যসমাপ্ত কনফেডারেশনস কাপে দুর্দান্ত খেলে ব্রাজিলকে শিরোপা উপহার দিয়েছেন। নিজে চারটি গোল করেছেন, সতীর্থদের কয়েকটি গোলে সহায়তাও করেছেন। জিতেছেন প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’।
মেসি-রোনালদোর এই প্রবল দাপটের মধ্যে নেইমারের হুমকি হয়ে আবির্ভাব হওয়া নিয়ে তার পরও যাদের মনে ক্ষীণতম সন্দেহ ছিল, সেটাও নেইমার কর্পূরের মতো হাওয়া করে দিয়েছেন সর্বশেষ ম্যাচে।
পরশু রাতে পেরুর লিমায় মেসি ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি দাতব্য ম্যাচে অবিশ্বাস্য এক গোল করেছেন নেইমার। প্রায় ৪৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে করেছেন লক্ষ্য ভেদ!
গত ক্লাব বিশ্বকাপের পর আবার একসঙ্গে মাঠে দেখা গেল এ সময়ের দুই বিস্ময়-প্রতিভাকে। সেবারের মতো এবারও প্রতিপক্ষ হিসেবেই মাঠে নেমেছিলেন আর্জেন্টাইন জাদুকরের বার্সা-সতীর্থ। দুজনই পরেছিলেন ১০ নম্বর জার্সি। শেষ পর্যন্ত নেইমারের অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশকে মেসি ও তাঁর বন্ধুদের দল হারায় ৮-৫ গোলে।
তবে ম্যাচের সেরা গোলটা করেন কনফেডারেশনস কাপে পাদপ্রদীপের সব আলো কেড়ে নেওয়া নেইমারই। দুটি গোল করেন এই ব্রাজিলীয়।
তাঁর দ্বিতীয় গোলটিকেই বলা হচ্ছে ‘বিস্ময়কর’। ৪৫ গজ দূর থেকে নেইমার হঠাত্ এমন শট নিলেন, কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল মেসিদের জালে! উরুগুইয়ান গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরা চেষ্টা করার কোনো সুযোগই পেলেন না।
নেইমারের জাদুকরি সেই গোলটি দেখুন, সিদ্ধান্ত নিন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড রোনালদো-মেসির জন্য হুমকি কি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।