এবার আমরা। । আমদের দাবীর জন্য মাঠে নামলাম। ।
যে গ্রামে বাংলাদেশের সেনা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতার জন্ম যে গ্রামে এই সময়ে এই যুগে একটা রাস্তা পাবে না।
। তা কি করে হয়????
কত টাকা লাগে একটা রাস্তা তৈড়ি করতে শুনি...। শুধু একবার আমরা শুনতে চাই আমরা। । আগামী ২৮ তারিখ আমরা মানববন্ধন করবো...আমি জানি না এখানে শেয়ার করা ঠিক হয়েছে কি না।
। তার পরেও আমাদের লিফলেট টি এখানে শেয়ার করলাম.................
আগামী ২৮ শে জানুয়ারি রোজ শনিবার, বিকাল ২:৩০ মিঃ নাগাইশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক দফা দাবী নিয়েঃ নাগাইশ গ্রামে রাস্তা ছাড়া অন্য কোনো দাবী নয়, আর অন্য কোনো উদ্যোগ নয়, নতুন কোনো আশাও নয়। এই সত্তা কে বাস্তবে রূপান্তর করে আমাদের আওয়াজ গুলো ক্ষমতাবানদের জানানোর জন্য “নাগাইশ সচেতন নাগরিক সমাজ” এর আহবানে উদ্যোগ সমাবেশ।
প্রিয় তারুণ্যঃ আমরা জেগে থাকি বলে ইতিহাস জেগে থাকে। ইতিহাসে যে গল্প গুলো যে গানে জমাট বাঁধে তার নাম জাগরণ, মানুষের জাগরণ।
বাঙ্গালীর ইতিহাস জুড়ে এমন শত শত জাগরনের গান। সমগ্র বাঙ্গালী যে গান গায় আমরা সেই গান গাই। আজ এই সময়ে এসে একটা রাস্তার জন্য আমাদের গাইতে হবে নতুন এক জাগরণের গান। আমাদের গান বন্ধ বলে ,আমরা ঘুমিয়ে আছি বলে আজ কিছু অর্বাচিন ,অপদার্থ ,অথর্ব মানুষেরা বেসুরে গান গায়। আমাদের উৎসব বন্ধ বলে তারা আজ উল্লাস করে।
আমরা এবার গাইবো, আমরা এবার বিনির্মাণের উৎসব করবো এই আমাদের রাস্তার জন্য। আসুন নেতৃত্ব দেই একটি জাগরণের ,একটি উন্নয়নের এবং একটি উৎসব ও একটি নতুন দিনের।
প্রিয় বন্ধুগণঃ দুর্বিনীত কাল এসে ঢেকে দেয় মহান গৌরব। এক দিন যারা রাস্তার কথা বলে ছিলো, রাস্তার জন্য ইলেকশনে ঘাম ঝরিয়ে অন্য প্রভুদের পাশ করিয়ে ছিলো ক্ষমতার কুৎসিত লোভে, রূচিহীন স্বার্থের নগ্ন খেলায়,ক্ষমতার হালুয়া রূটির টেবিলের মায়ায় পড়ে। তাদেরই কারো কারো সংকীর্ণ খাবারের লোভে পড়ে বন্ধ করে দিয়েছিলো রাস্তার উন্নয়ন।
আমাদের স্বপ্নকে মাত্র কয়েকটি টাকার বিনিময়ে খুবই অল্প দামে বিক্রি করে উল্লাসে মেতে থাকে। আবার নতুন স্বপ্নের বীজ বুনে আমদের সামনে।
প্রিয় ব্যবসায়ী বন্ধুগণঃ আপনারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আপনাদের একটা সুনাম হলো যে, নিজের পকেটের টাকা দিয়ে আমাদের এমপিদের জন্য খাটেন । আর স্বপ্ন দেখেন একটা ভালো রাস্তা আপনাদের নেতা করে দিবে।
কত বার সে স্বপ্নের জন্য ঘুমিয়েছেন? তার হিসাব আপনাদের নেতা রাখেনি। আজকের এই রাস্তার জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখিণ হচ্ছেন আপনি। এই রাস্তা হলে সবচেয়ে উপকারভোগিও হবেন আপনিই । আপনি কি চান না এই রাস্তাটা এবার হোক? স্বপ্নে নয় বাস্তবে? তাহলে আসুন আওয়াজ তুলি, “একটি রাস্তা, শুধু একটি রাস্তাই আমরা চাই”।
প্রিয় গ্রামবাসীঃ স্বাধীনতার চল্লিশ বছর হলো, একে একে ৯ টি সংসদ নির্বাচন হল।
নির্বাচন আস্লেই আমাদের নাগাইশে উৎসব আসে, নেতারা আসেন আর বলেন, “ভোট দেন রাস্তা হবে”। এই হওয়াটা আজও হবে হবে করছে। কবে হবে? এক খোদা ছাড়া আর কেউ জানে না। এই প্রশ্ন কি আমাদের ভিতর থেকে কখনো এসেছে? আমরা সহজ সরল বলে, তারা মনে করে আমরা বোকা। তাই তারা একটাই কলা আমাদের কাছে বিগত ৪০ বছরে ৯ বার বিক্রি করেছে।
আবারো তারা স্বপ্নে বিভোর ২০১৩ সালে আরেক বার এই কলাটাই অন্য আরেক জন কে দিয়ে বা তারাই বিক্রি করবে। আর কত ঠকবো? আর কতোবার তাদের মিষ্টি কথায় গলে তাদের কাছ থেকে কলা কিনবো? আর কত বার তাদের কে একই কলা বিক্রি করতে দিবো? আসুন এবার আমরা এক হই, আর চোখ রাঙ্গিয়ে জানিয়ে দেই, “ভোটের আগে আমাদের রাস্তা চাই,এ চাওয়া সরাসরি”
প্রিয় মা ও জননীরাঃ আমাদের রাস্তার জন্য সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে ভোগেন আপনারাই । জীবন মৃত্যু হাতে নিয়ে আপনারা আপনাদের গর্ভকালীন সময়টা কাটান। কোনো জরুরী অবস্থায় ডাক্তারের কাছে যাওয়া অনেক বিপদের ও কষ্টের। এই কষ্ট কেমন? একমাত্র আপনারাই শুধু জানেন।
এই ভাঙ্গা চোড়া রাস্তা আমাদের বোনদের বিবাহ পর্যন্ত ভেঙ্গে দেয়। এবং আপনাদের বাবার দেশে্র আত্নীয়রা আসতে চায় না, যদিও কেউ একবার আসে সে আর দ্বিতীয় বার এমুখো হয় না। তাই এবার সময় হয়েছে নিজে কিছু একটা করার। এতো কষ্ট? এতো অপমান? এর থেকে মুক্ত হতেই আমাদের এই উদ্যোগ। “আপনি আপনার পক্ষ থেকে আপনার মতো করে সমর্থন দিয়ে যান”।
হে সাহসী তরুণঃ যে জীবন সাহসের সে জীবন তরুণদের, সে জীবন আমাদের। আসুন এবার আমরা সচেতন হই আমাদের অধিকারের জন্য। অধিকার আদায়ের জন্য সকল ভীরুতা ও কাপুরুষতাকে গলাটিপে হত্যা করে আরেকটু সাহসী ও উদ্যমী হই। বাংলা ভাষার দাবী নিয়ে প্রথম বাঙ্গালী, পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠীকে চোখ রাঙ্গানো মেজর গণির গ্রামে জন্মগ্রহণ করে আমরা কি উনার মতো একটু সাহসী আর উদ্যমী হতে পারি না? তাহলে এবার সাহসী হয়ে এগিয়ে আসি স্বপ্নটাকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য আর ভুলে যাই সব ব্যবচ্ছেদ। শুধু একটাই কথা,“যে যা বলুক ভাই সবকিছুর আগে আমাদের রাস্তা চাই”।
চলুন “নাগাইশ সচেতন নাগরিক সমাজ” এর যে উদ্যোগ তাতে সমর্থন দিয়ে উপস্থিত হই, আর গর্জে উঠি নাগাইশের প্রাণের দাবী রাস্তা আদায়ের জন্যে এবং নেতৃত্ব দেই জোরালো আন্দোলনের।
বিঃদ্রঃ নিজে পড়ার পর যদি মনে করেন রাস্তার প্রয়োজন নেই, তাহলে ছিড়ে ফেলে দিন আর প্রয়োজন মনে করলে অন্য কে উৎসাহ দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।