আত্মার অবলোকন
-প্রান্তিক জসীম
দূরে, বিষ্ময়ে বয়ে চলে
বলেশ্বর-বিষখালী-পায়রার জল
চলে সামন্তরাল উজানে ত্রিনদ-নদীর সঙ্গম শেষে
আর তীরে শিড় উঁচু করে কফিনের মত
নির্জন বিষ্ময়ে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের বন হরিণঘাটা
শীতদুপুর; কি বর্নাঢ্য এই মৌনতা !
কি সুষমামন্ডিত এই জলের সম্ভোগ !
বালিয়াড়িতে কি বিষন্ন সুন্দর এই শুভ্র বকের ছায়া !
পানকৌড়িদের ওড়াওড়ি।
কচি মেঘ।
রঙশূণ্য আকাশ।
সবুজ গাছ।
ঘোলাজল।
মাটি ।
ফুরফুরে উত্তুরে বাতাস ।
সারবাঁধা জেলে নাও ।
নুনেপোড়া জেলের মুখচ্ছবি ।
তারপর, গোধূলির মেরুন আভা শুষে নেয়
ঘনসবুজ কেওড়া গাছের শ্বাসমূল;
আর সাপের বিষের মত নিঙরে
ফোঁটা ফোঁটা সাঁঝের কালি লেপে দেয় ঘণঅরণ্যে !
আমি সেই সৌন্দর্য সঙ্গম শেষে
সন্ধ্যার মত বিষন্ন মনে বিদায় জানাই দিনকে
গায়ে জড়িয়ে কামগন্ধি নগ্নরাত
আর বলি, আবার ফিরে আসবো বন।
আবার ফিরে আসবো নদী-জল।
আবার ফিরে আসবো মাটি ও পাখি ।
যদি পথ না হারাই !
২১ জানুয়ারি-২০১২ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।