জানি না কবে কোথায় , কিভাবে তোমাকে আবার দেখব। তবে তোমাকে হারানাটাই আমার অনেক বড় একটা বাজে অনুভুতি । ভাল থেকো বিবেকা। ভাল থেকো বিবেক। ভাল থেকো আমার কবিতাগুলো আমাদের সবার একটাই সমস্যা।
সামনে যে ইস্যুটা আসছে তার ই ব্যবচ্ছেদ করা । আগামীকাল সকালে যখন আবার নতুন একটা ইস্যু আসছে প্রথমআলো ডট কম ,, অনলাইন কালের কণ্ঠ, বিডি নিউজ ২৪ ঘন্টা ,, ,,,,,,,,,,,,,, ইত্যাদি মাধ্যমে , তখন আগের দিনের ব্যবচ্ছেদ করা লাশটা থেকে যাচ্ছে সেই অন্ধকার লাশকাটা ঘরেই । কিন্তু কেন এই অস্থিরতা ? উত্তর ও আছে , আমাদের এই ছোট্ট দেশটাতে ইস্যুর তো কমতি নেই । কি আর করা যাবে । আমার কিছু বলার আছে এবং এটা বলার জন্যেই এতদিন পর আবার ব্লগে আসা ।
ভারতের সীমান্তে বাংলাদেশী মানুষ হত্যা আজও বন্ধ হয় নি। ফেলানীর ঝুলে থাকা লাশ আজও স্বপ্নের মাঝে ক্রুদ্ধ করে তোলে । বাংলাদেশীকে নগ্ন করে নির্যাতনের টাটকা স্মৃতি এখনও ব্যবচ্ছেদ চলছে। বরং যারা ভারতবিরোধী তাদের লাফালাফিটা চোখে পড়ার মত । সেটাই স্বাভাবিক ।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে -- এর সমাধানটা কোথায় ? এত এত হাজার হাজার ব্লগ পড়লাম-- এত এত ফেসবুক স্ট্যাটাস পড়লাম যে মাথা ধরে গেল। সাহিত্যের রূপ হাতে নিয়ে একেকজন একেক ভাবে একই ঘটনার বর্ণণা দিয়ে গেছেন। এর মধ্যে অনেকে আছেন যারা শেহওয়াগের চার মারাকে বাংলা মাকে দোররা মারা মনে করেন । কিন্তু ভাই -- এত যে বললেন, কিভাবে মারা হল। লাশটাকে কিভাবে ঝুলিয়ে রাখা হল।
কারও বাপের সাহসে কুলায় না কেন যে এর সমাধানটা বলবেন একবার ?? রাজনীতির বস্তাপচা দেশের নাগরিক হয়ে এত শক্ত হাতে যদি কলম উঠেছে তো , শেষটা করুন দয়া করে । একবার মাথা খাটিয়ে বলূন কি করা যায় ।
ভোট এলে ,," বাবা লীগের সাপোর্ট করতেন। আমি ভোটটা লীগকেই দিলাম । আমাদের ঘরে আজও জাতির পিতার ছবি ঝুলছে।
ভোটে যেই দাড়াক - তার মুখের দিকে তাকিয়ে ভোটটা নৌকায় দিলাম ।
জিয়া আমাদের পারিবারিক উন্নতির দিশারী । বাপ চাচা চৌদ্দগোষ্ঠী ধানের শীষের ভোট করেছে । আমার ভোট তো সেখানে যাবেই । "
এই কথাগুলো আপনার আমার মুখ থেকেই বের হয় ভাই সাহেব।
কখনও বের হয় না -- আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি- আমার একটা নিজস্ব ধ্যান ধারণা তৈরী হওয়া দরকার ছিল। আমি জানি কে বা কারা আমার দেশকে বেঁচে খায় । আমি জানি কোথায় আমার দেশের সমস্যা । আমি জানি সমাধানের উপায় । রাজনীতির নতুন মেরুকরণ।
অথচ এসব কতা বস্তাপচা ফেলে রাখি মনের কোণায় । আর বারবার এই একটা কারণেই দেশের বারোটা বেজে তেরোটার কাটা ঝোলে। তাহলে ভারত লোক মারলে আমাদের এত কষ্ট হয় কেন - যখন সেই লাইসেন্স আমরাই তাদের হাতে দিয়ে দিযেছি তাদের তাবেদার সরকারকে । আবার ৫ বছর পর আরেক দল ক্ষমতায় আসবে -- মুক্তিযুদ্ধ তথা জাতিসত্ত্বার অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যাবেন । ব্লগ - অণলাইন মিডিয়া কাঁপিয়ে বেড়াবেন আমার দেশের পতাকা রাজাকারের গাড়িতে কেন এই বলে বলে ।
কিন্তু সেই পথ তো আপনি্ই সুগম করেছেন ।
দেশে রাজনীতির বস্তাপচা খোলস বিরাজ করছে সেটা আপনিও জানেন আমিও জানি । তবুও আমার চাচাতো ভাই এবার পৌরসভা ভোট করছে লীগ বা বি এনপি থেকে । তাই সাথে সাথে অন্তর থেকে বলে উঠলেন আমার ভাল বলেন খারাপ বলেন লীগ/বিএনপি ।
ভাই আর কত ? লেখার হাত আপনাদের খারাপ না সেটা মানি ।
কবিতা মুখে মুখে বেরোয় তাও বিশ্বাস করি । আপনাদের শব্দের বহর বিশাল এবং ব্যপক তাও মানি । কিন্তু দোহায় আপনাদের , ঘটনার রগরগে বর্ণণা , আপনার রাগ সবকিছু তুলে ধরার পাশাপাশি আপনার মতে সমাধান কি সেটাও একবার দিয়ে দেন । অন্তত আপনার লেখাটা পড়ে আর দশজন জানুক এটাও একটা সমাধান হতে পারে । উন্নত দেশগুলোর আদলে নিজেদের ভাবতে হলে এই মিডিয়াকেই জনমত গঠনের কাজে লাগানোর একমাত্র উপায় ।
আর এখান থেকেই সংগ্রাম সৃষ্টি হয়ে ছেয়ে দিতে পারে গোটা দেশ । সমস্যা আমরা সবাই জানি । সমাধান টা দেন
বি:দ্র: বাপ দাদার ছবি নির্ভর আর ইতিহাস নির্ভর আবেগটাকে পারলে বর্জন করবেন । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।