মুক্ত আকাশ দেখব বলে বয়ে চলা। আকাশ কেন মুক্ত হয় না। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল-এ কথা আমরা সবাই জানি। আজকে আপনাদের সাথে কাঁঠাল নিয়ে আলাপ করব--আর কিছু না বলা কথা শেয়ার করব--সাথে থাকবে ছবিও। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
পরিচিতিঃ
বাংলা নামঃ কাঁঠাল
ইংরেজী নামঃ Jack fruit
বৈজ্ঞানিক নামঃ Artocarpus heterophyllus
পরিবারঃ Moraceae
উতপত্তিঃ ভারতীয় উপমহাদেশ। বাংলাদেশের জাতীয় ফল।
জাতঃ
কাঁঠালের কোনো অনুমোদিত জাত নেই। তবে তিন ধরণের কাঁঠাল চাষ হয় বাংলাদেশে-খাজা, আদারসা ও গালা।
কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ২টি জাত- বারি কাঁঠাল-১ (২০০৮) এবং বারি কাঁঠাল-২ (২০১০) রিলিজ করলে এখনো প্রসার ঘটেনি।
কৃষিবিজ্ঞানীরা কাঁঠালকে বলে থাকেন মাল্টিপারপাস উদ্ভিদ। কারন-
১। ফল হিসেবে পাকা অবস্থায়, সবজি/তরকারী হিসেবে কাঁচা অবস্থায় কাঁঠাল খুব সুস্বাদু খাবার।
(ফলের অবশিষ্ঠাংশ পশু খাদ্য হিসেবে ব্যাবহার হয়---গরু কাঁঠালের বোতা(!) সেই রকম খায়)। সাথে কাঁঠালের মুচি(!) যেগুলো ফল হবে না--সেগুলো কুচি কুচি করে কেটে তেতুল দিয়ে ভর্তা করলে সেই রকম মজা হয়।
২। বীজ থেকে সুস্বাদু বিভিন্ন খাবার তৈরী করা হয়।
৩। পাতা পশু খাদ্য হিসেবে ব্যাবহার হয় (ছাগলের প্রাধান খাদ্য)।
(ছোট বেলায় খেলনা দোকান করলে পাকা পাতা টাকা হিসেবে চালানো হতো)
৪।
কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র বানানো হয়।
(লাকরি তো আছেই)
চাষে যা মনে রাখবেনঃ
গাছের গোড়ায় পানি যেন না জমে। মানে কাঁঠাল একটু উঁচু জমিতে লাগানো কর্তব্য।
কাঁঠাল নিয়ে বচনঃ
-গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল
-কিলাইলে কি কাঁঠাল পাকে?
-কাঁঠালের আম সত্ত
-"দোলেরে দোলে
কাঁঠাল খাইয়ে ফোলে"
বরই/কুল(Click This Link)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।