আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
মধ্যরাতটা একটু অন্য রকমই। যাত্রাপালা বলে কথা। প্রিন্সেসদের কোমরের দুলুনিতে কাঁপছে রাত।
যে সাথে সিগ্রেটের ধোঁয়ায় ভাসছে শীতরে রাতের প্যান্ডলে। নাচে গানে ভরপুর এক রাত। একজন হাত থেকে নাচের শিল্পীর গায়ে টাকা ছড়াচ্ছে। আরকেজন নাচনেওয়ালির র্স্পশকাতর অঙ্গ দখোর জন্য শত টাকার নোট উঁচিয়ে ধরছনে। এ রকম অনকে লোক।
দিভর ঘুম শেষে মধ্যরাতে কড়া সাজে প্রিন্সেরা একে একে আসে মঞ্চে। এদের নামের আগে নানা কিসিমের বিশেষণ জুড়ে ঘোষনা করা হয়। এখন আসছনে......প্রিন্সেস বৃষ্ট। করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো প্যান্ডেলে আঙ্গিনা।
যাত্রাটা এ ভাবে দখো হয়নি।
যাত্রা মানে জানতাম ‘বই’। কিন্তু যা দখেলাম গতরাতের চিত্রটা, এক্কবারেই ভিন্ন। নাচ গানে ভরপুর। রাত বারোটায় হালকা নাচ দিয়ে শুরু। তারপর ঘন, আরো ঘনীভূত নাচ।
শরীরে কাপড় চোপড় কমতে থাক। র্দশকরা মজা (!) নিতে থাকে। যে লোকটা লুঙ্গি পরা, বার বার নাচনেওয়ালির দৃষ্টি আর্কষণরে চষ্টো করছে টাকা উচিয়ে, তার ঘরে হয়তো সন্তানের জন্য আগামীকালরে খাবারটা নেই। আবার এমন হতে পারে সন্তানের অনকে বায়না তার পূরণ করা হয় না টাকার অভাবে।
বিপরীত দিক থেকে দেখলে যে মেয়েটি তার শরীর উদোম করে নাচছে, তার ঘরে অভাব।
এ অভাবী মানুষের বিনোদন রাতটা খুব কষ্টরে মনে হলো। তবুও ওরা আনন্দ দেয় মানুষকে। হয়তো বিকৃত আনন্দ। এলাকার প্রভাবশালীরা সবাই মুখ ঢেকে বসে যাত্রা দেখছেন। তাদরে টিকিটি কিনতে হয় না।
কিন্তু পছেনে দাঁড়িয় যে ভ্যান চালক যাত্রার নারীর নাদুস নুদুস শরীরের নৃত্য দখেছে তাকে কিনতে হয়েছে তিনশ বা দুশ টাকার টকিটি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।