অনেক দিন ধরেই তো সামহয়ারের লেখাগুলো পড়ছি। অনেকেই আছেন আমার ফেবারেটদের তালিকায়; কারও কারও নতুন লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনি। লিখি লিখি করে নিজের আর লেখা হয়ে উঠেনা। আজ রাতে হুট করেই লিখতে বসে গেলাম। আমার খু্ব প্রিয় একজন কবির একটি কবিতা সবার সাথে শেয়ার করি-
নগরবাড়ি ফেরিঘাটে
চরাচরে চাঁদ জাগে শুধু
নিসর্গের তেরণ-প্রহরী
নদীর তরঙ্গে ভাঙে ভাঙা ভাঙা চাঁদরে শরীর
যমুনার জল যায়
রাতের রহস্যঘেরা ভাটির ভুবনে।
পেছনে ফারাক হয় ফেরিঘাট
অপেক্ষমান নৈশ কোচ, ভাতের হোটেল
যাত্রীরা যোবেই বা কোথায়
পল্টুনে বিচরণ রত
ক্ষয় করে ফেলে সব প্রতিক্ষার প্রতিবাদী ধার।
পেছনে মালুম হ’লো সবকিছু য্যানো
হ’য়ে গ্যালো পুরোপুরি বোধচিহ্নহীন
শুধু আমি পূবমুখো যাত্রীদের একজন
রাতের নিসর্গ নিয়ে হ’য়ে আছি শুধুই নয়ন।
চরাচরে চাঁদ জাগে শুধু
অশ্রুহীন বিষাদ-গোলক।
য্যানো রাত রোদনের বেনামি জগত
অনন্ত সময় ধরে ঝুলে আছে সীমানাবিহীন।
আমিও তো কতো রাত এভাবেই জেগে ব’সে থাকি
পার করি প্রহরের খেয়া
মহানগরীর কোণে সায়েদাবাদ করাতীটোলায়-
অলৌকিক নদী য্যানো, তরঙ্গ নদীর
নিদ্রামগ্ন স্ত্রী কন্যা, পড়ার টেবিল
চেয়ার চিলমচি মগ বইপত্র দরোজা দেয়াল
সবকিছুতেই য্যানো ভেঙ্গে ভেঙ্গে আমি জেগে আছি
যমুনার জলে ভাঙ্গা শত শত চাঁদের মতোন।
নিসর্গবঞ্চিত নেত্রে
শুধু জ্বলে শূন্যতার শতভঙ্গ রূপ
একাই এসেছি, মনে হয়
একাই এসেছি, যাবো একাই একাই।
ফেরির অপেক্ষা শুধু
যাত্রীর যে যার পথ বাধ্য হয়ে একত্রে মিলায়
মূলে একা, একাকীত্ব অস্তিত্বের মতো নিরূপায়
রাখে ভাঙ্গা ছাপ শুধু
জীবন-যমুনা স্রোতে নিয়মিত নদীর মতোন।
চরাচরে চাঁদ জাগে শুধু
নিসর্গের একক নয়ন
য্যানো যাত্রী খেয়াহীন অবিকল আমার মতোন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।