আমিও বাধ ভাংতে চাই... লুচি+আলুর দম
লুচি (রান্নার সময়-১০ মিনিট, যদি রাতে আটা করা থাকে)
রাতে আটা করে রাখতে হবে।
ময়দা- ২ কাপ
তেল- এক টেবিল চামচ
লবণ- আধা চা চামচ
চিনি- ১/৪ চা চামচ
পানি- আধা কাপ, কম বেশী লাগতে পারে
পানি ছাড়া সব জিনিস একসাথে মেখে নেন। তেলটা ভালো করে মিশতে হবে কিন্তু। এরপর পানি অল্প অল্প করে দিয়ে নরম খামির করেন। আমার প্রথম প্রথম ভিজা থেকে যেতো।
এখন কিছুটা ময়দা শুকনা থাকতেই পানি দেয়া বন্ধ করে দিই। এইবার ভালো করে মাখেন। যত মাখবেন তত সুন্দর হবে লুচি। আমি একটা গল্পের বই নিয়ে পড়তে পড়তে মাখতে থাকি। কখন যেনো সুন্দর খামির হয়ে যায়, টের পাই না।
এরপর ভিজা কাপড় দিয়ে ঢেকে ফ্রীজে।
সকালে,চুলায় তেল দেন। ছোট্ট কড়াইয়ে এক কাপ দিলে ডুবো তেলে লুচি ভাজা যাবে। বড় কড়াইয়ে কিন্তু বেশী তেল লাগে। তেল গরম হতে হতে খামির থেকে পিচ্চী একটা টুকরা নিয়ে পিড়িতে বেলেন।
পুরির সাইজ আর পুরির মতই মোটা হবে। সাইজ না আসলে চিন্তা নাই। গোল কিছু দিয়ে কেটে ফেলেন। আমার এখন ঠিক হয়। প্রথম প্রথম আমাদের দেশের ম্যাপ হইত।
একটা একটা বেলে তেলে দিয়ে দেন। তেলটা ৩/৪ মিনিট গরম করে কমিয়ে দিবেন। কাঠি দিয়ে একদম ডুবায় দেন। নিজে নিজে ভেসে উঠবে। একবার ঊল্টাবেন।
২য় পিঠ ভাজা হতে কিন্তু কম সময় লাগে। মোটামুটি বাদামী হবে, পুরির মত। ছেঁকে উঠায় ফেলেন। এরপর আর একটা। যত্তগুলা লাগে করে থামবেন।
ব্যাস লুচি শেষ। খামির বেচে গেলে আবার ভিজা কাপড়ে ঢেকে ফ্রীজে। বিকালে পুরি বানায় ফেলতে পারেন। ঠিক ধরসেন, পুরি আমার খুব প্রিয় খাবার। শুধু ওইটার উপমা এসে পড়ে।
আলুর দম (সময়- ২৫মিনিট)
আলু- বড় ৪টা
ডিম (ইচ্ছা)- ১টা
জিরার গুঁড়া- এক চিমটি, সাধারণ চিমটি, রাম চিমটি দিয়েন না
পেঁয়াজ- ১টা, কুচি করা
লাল মরিচ- ৩টা,বড়ো টুকরা করা। না থাকলে কাঁচাও দিতে পারেন
লবণ- ১/৪ চা চামচ,টেস্ট করে দিয়েন। আপনার চামচের সাইজ বড় হইলে আমি গাইল খাবো
ধনে পাতা- ১ চা চামচ
আলু সিদ্ধ হতে দিয়ে লুচি বানান। পানি দিবেন আলু ডূবে ডুবে এমন,আর আলু ধুয়ে ৪ ভাগ করে কেটে দিবেন। লুচি বানাতে বানাতে আলুর পানি শুকায় যাবে।
এইবার ছিলে নিয়ে প্রতি টুকরায় একটা করে লম্ব ঘুষি। সময় থাকলে কেটে চারকোণা করতে পারেন। কড়াইয়ে অল্প তেল দিয়ে পেঁয়াজ দিয়ে একটু নেড়ে আহত আলুগুলা দিয়ে দেন। জিরা গুঁড়া আর লবণ দিয়ে ৩ মিনিট নাড়েন। মানে সব মিশান।
ডিম দিলে এখন দেন। সরাসরি কড়াইয়ে ছেড়ে দিয়ে জোরে নাড়লে মিশে যাবে। ডিম দেয়ার কারণ হল, পুরা খাবারটাতে কোন প্রোটিন নাই। কিন্তু পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ সপ্তায় একটার বেশী আর মেয়েরা দুইটার বেশী ডিম দরকার নাই। আচ্ছা, এরপর ধনে পাতা আর মরিচ দিয়ে আর ১ মিনিট নেড়ে চুলা বন্ধ করে ২ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রাখেন।
ও, ইচ্ছা করলে ইকটুখানি পাঁচ ফোড়ন দিতে পারেন।
একটু হেলদি করতে চাইলে রাতের সবজির বেচে যাওয়া অংশ দিতে পারেন বা পেঁপে কিনি কিনি টুকরা করে আলুর সাথে দিতে পারেন।
আমি রেসিপি লিখি নাই কোনদিন। কিছু বাদ পড়লে বলবেন। তবে এই রেসিপি পরীক্ষিত।
খেয়ে আমার উনি প্রশংসা করেছেন, যেটা ঈদের চাঁদের মতই দূর্লভ!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।