...জানে সে যে বহুদিন আগে আমি করেছি কী ভুল, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমাহীন গাঢ় এক রূপসীর মুখ ভালোবেসে। একদিন এক সুন্দর রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে মৃত্যুর দেবতা আমার সম্মুখে উপস্থিত হল। একটু চমকে উঠেছিলাম-চঞ্চল চড়ুইয়ের মত, তবে বিস্ময়ে বিমূঢ় হইনি। একটু অবাক হয়েছিলাম-বোকা শিশুটার মত, একেবারে হতবাক হয়ে যাইনি; কিছুটা অপ্রস্তুত ছিলাম তো বটেই, তবে কীইবা আর প্রস্তুতি নেয়ার ছিল? মৃত্যুদূতকে যেমন ভেবেছিলাম কল্পনায়- ঠিক তেমনি ছিল সর্বাঙ্গে- বিভীষিকার এক ভয়ংকর প্রতিমূর্তি, আঁধারের তীব্র প্রতিবিম্ব; আর কন্ঠে প্রস্থানের বিষম প্রতিধবনি। কুশল বিনিময় অথবা সামাজিক সৌজন্যবোধের আদিখ্যেতা প্রদর্শনের মত সময় তার ছিল না। কেবল জানতে চাইল এই অবনীকে চিরবিদায় জানানোর পূর্বে আমার শেষ তিনটে ইচ্ছের কথা… -তবে বল মৃত্যুপথযাত্রী, কী তোমার প্রথম অভিলাষ? -একবার তাকে দেখতে চাই, শেষবারের মত; তাকে দু’চোখ ভরে দেখে এক জনমের তৃষ্ণা মেটাবো। -তবে বল মৃত্যুপথযাত্রী, কী তোমার দ্বিতীয় অভিলাষ? -একবার তাকে ছুঁতে চাই, শেষবারের মত; তাকে একটিবার ছুঁলে আমার সমস্ত পাপ মোচন হবে, আমি হব ধরিত্রীর পবিত্রতম পুষ্প। -তবে বল মৃত্যুপথযাত্রী, কী তোমার অন্তিম অভিলাষ? -একবার তাকে বলতে চাই-শেষবারের মত ‘প্রিয়তমা, বড় ভালোবাসি তোমায়’ এই তিনটে দাবীই কেবল রেখেছিলাম, আর সেদিন থেকেই মৃত্যুদেব চিরতরে ফেরারী হল, আর ঠিক সেদিন থেকেই আমি অমর হলাম।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।