আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিশু ও গর্ভবতী নারী আটকে আছে ইটভাটায়..............

এই শহরে আমি এক নতুন চোর। সাবধান.... ! মাদারীপুরের শিবচরে ইটভাটা থেকে অগ্রিম কয়েক লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে ২ শ্রমিক সর্দার। এ ঘটনায় অন্য শ্রমিকরা পালিয়ে গেলেও ২ শিশু, গর্ভবতী নারীসহ ৬ জনকে আটকে রেখেছে মালিক। এরা হলেন- শ্রমিক মহসিন মিয়া (৩০) তার ৭ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী সেলিনা (২৫), এক পলাতক শ্রমিকের স্ত্রী নাসিমা (২৮) ও তার ২ শিশু সন্তান মুজাহিদ (৬), মারিয়া (২) এবং খানদি মিয়া (৫৫)। আটকরা সবাই খুলনার আইলা বিধ্বন্ত এলাকার অধিবাসী।

স্থানীয়রা জানায়, আড়াই মাস আগে শ্রমিক সর্দার মহসিন গাজী, মুসা, মইজউদ্দিন ও রবিউলের মধ্যস্থতায় আইলা বিধ্বস্ত খুলনার কয়রার ৪০ শ্রমিক শিবচরের সিকদার ইটভাটায় কাজ করতে আসে। কাজ বাবদ ওই সর্দাররা ভাটার মালিক সুলতান সিকদারের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা অগ্রিম নেয়। গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে সর্দার মহসিন গাজী ৪০ শ্রমিকের মধ্যে ৩৬ জনকে নিয়ে পালিয়ে যায়। মালিকপক্ষ প্রথম সপ্তাহ এসব শ্রমিকদের বেধে রেখে মারধর ও নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকরা। গর্ভবতী সেলিনা জানান, বাড়িতে যেতে চাইলেও তাকে বাড়ি যেতে দেয়া হচ্ছে না।

আর নাসিমা ও শিশু মুজাহিদকে দিয়ে ইটভাটার কাজ করাচ্ছে। এছাড়াও তিন বেলা শ্রমিকদের রান্না করিয়ে খাওয়াতে হচ্ছে তাকে। আমাদের কাজ, খাওয়া এমনকি ঘুমানোর সময়গুলোতেও লোক দিয়ে পাহারা দেয়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ইটভাটার মালিক সুলতান সিকদার বলেন, মহসিনসহ ২ সর্দার সামান্য কাজ করে আমার প্রায় ১৪ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে। এরপর অন্য শ্রমিকরাও পালিয়ে যায়।

এখন আমার ভাটা প্রায় বন্ধ। আমি থানায় অভিযোগও করেছি। আমি তাদের আটকে রাখিনি। তবে ওরা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য নজরদারি করছি। ওরা কাজ করছে টাকা পাচ্ছে।

ওদের মতোই খাওয়া দাওয়া করছে বলে জানান তিনি। শ্রমিক সর্দার মহসিন গাজী মোবাইল ফোনে টাকা নিয়ে পালানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি মালিকের কাছ থিকা ১৪ লাখ টাকা না মাত্র সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিছি। মালিক শ্রমিকগো ঠিকমতো খাওনের টাকা না দেয়ায় ও খারাপ ব্যবহার করায় তারা পলাইয়া গেছে। এহন বাচ্চা, গর্ভবতী মহিলাসহ ৬ জনরে আটকাইয়া বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতাছে। দিন ভইরা কাজ করে রাইতে ওগো তালা মাইরা থোয়।

’ শিবচর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া বা শ্রমিক আটকিয়ে রাখার ব্যাপারে কোনোপক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। শ্রমিক আটকানোর বিষয়টি আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেনেছি। আমি লিখিত অভিযোগ দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রতিনিধি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.