আজকে আমি আপনাদের কাছে, সবার প্রিয় পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের কবর কবিতার কয়েক লাইন শেয়ার করলাম।
.......................
এইখানে তোর বু-জীর কবর, পরীর মতন মেয়ে,
বিয়ে দিয়েছিনু কাজীদের ঘরে বনিয়াদী ঘর পেয়ে।
এত আদরের বু-জীরে তাহারা ভালবাসিত না মোটে।
হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।
খবরের পর খবর পাঠাত, ‘দাদু যেন কাল এসে,
দু দিনের তরে নিয়ে যায় মোরে বাপের বাড়ির দেশে।
শ্বশুর তাহার কসাই চামার, চাহে কি ছাড়িয়া দিতে,
অনেক কহিয়া সেবার তাহারে আনিলাম এক শীতে।
সেই সোনামুখ মলিন হয়েছে, ফোটে না সেথায় হাসি,
কালো দুটি চোখে রহিয়া রহিয়া অশ্রু উঠিত ভাসি।
বাপের মায়ের কবরে বসিয়া কাঁদিয়া কাটাত দিন,
কে জানিত হায়, তাহারও পরানে বাজিবে মরণ-বীণ!
কি জানি পচানো জ্বরেতে ধরিল আর উঠিল না ফিরে,
এইখানে তারে কবর দিয়াছি দেখে যাও দাদু ধীরে।
ব্যথাতুরা সেই হতভাগিনীরে বাসে নাই কেউ ভাল,
কবরে তাহার জড়ায়ে রয়েছে বুনো ঘাসগুলি কালো।
বনের ঘুঘুরা উহু উহু করি কেঁদে মরে রাতদিন,
পাতায় পাতায় কেঁপে ওঠে যেন তারি বেদনার বীণ।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু,’আয় খোদা দয়াময়!।
আমার বু-জীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়। ’
এই লাইন গুলো যখন পড়ি, তখন নিজের বোনের জন্য চিন্তা হয়। খুব আদরের আমাদের বোন। সে যদি পরের ঘরে নির্যাতিত হয়, তাহলে কেমন করে সহ্য করব???
সংবাদ খুললে নারী নির্যাতনের খবর।
কিন্তু সে খবর মনকে এত নাড়া দেয় না। কারণ খবর গুলো যেন রোজ শোনা শিয়ালের কাহিনীর মত।
কারো কোন প্রতিবাদ নেই। শুধু আছে নারী নেত্রীদের নতুন শাড়ীতে - নতুন মেক-আপে, চুলের বাহার দেখানো টক শো।
এভাবে যদি নারীর সেবা হত , তাহলে শ্রদ্ধেয় বেগম রোকেয়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের জাগো ভগিনী বলতেন না।
ধিক আমাকে আর আমাদের সবাইকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।