অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে এ মাসের মধ্যেই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে। সকালে বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশে আবাসিক প্রতিনিধি এলেন গোল্ডস্টেইনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে উল্লেখ করে জনাব মুহিত বলেন, "“বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি আমাকে বলেছেন, সংস্থাটির প্রেসিডেন্টকে তিনি সবকিছু জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বড় দিনের ছুটি থেকে ফিরলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ”"
পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে দু-এক সপ্তাহের মধ্যে ভালো খবর পাওয়া যেতে পারে বলে দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি এলেন গোল্ডস্টেইন। ( bdnews24.com)
বিশ্ব ব্যাংক প্রথম যখন অভিযোগ তোলে তখন যোগাযোগ মন্ত্রী জনাব আবুল খুব দৃঢ় ভাষায় প্রত্যাখান করেছিলেন।
সরকারের নানা কর্তা ব্যক্তি ও পক্ষীয় বুদ্ধিজীবী রা তো তাদের নানা অভিজ্ঞতার উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন “"পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোন দুর্নীতি তো হয়নিই বরং বিশ্ব ব্যাংক এর বিরুদ্ধেই নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগ আছে। “" জনগনের মধ্যে ও একটা অংশ এই মত টিকে বিশ্বাস করেছিল বা এখন ও করছে। সরকার ও খুব জোর গলায় বলেছিল পদ্মা সেতু হবেই হবে, প্রয়োজনে অন্য উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বা পাবলিক- প্রাইভেট পার্টনারশিপ ( পিপিপি) এর ভিত্তিতে পদ্মা সেতু করা হবে। এর মধ্যে অর্থ মন্ত্রনালয়, দুদক ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে চিঠি চালাচালি হয় এবং বিশ্ব ব্যাংক সরাসরি যোগাযোগ মন্ত্রীর মালিকানাধীন কোম্পানি “"সাঁকো”" কে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং তারা প্রমান ও দেবে বলেছিল। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ স্বীকার না করে ও নাগরিক সমাজ তথা গন দাবীর মুখে সরকার জনাব আবুল কে যোগাযোগ মন্ত্রনালয় থেকে সরিয়ে দেয় আর মিডিয়ার ভাষ্য মতে তখন থেকেই নাকি পদ্মা সেতু প্রকল্পে সুবাতাস বইতে শুরু করে।
পদ্মা সেতু এদেশের মানুষের আবেগের বিষয়, সমগ্র উত্তর অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত। কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য এ সেতু নির্মাণ বন্ধ থাকতে পারে না। কিছু দিন আগের কুবাতাস আজ কি করে সুবাতাস হল তা জনগণকে জানতে দিতে হবে। মন্ত্রী যদি দুর্নীতিতে জড়িত থাকেন তবে কি করে তিনি অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী থাকেন ??? আবার শোনা গিয়েছিল বিটিআরসি'‘র মত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান কে আইন পরিবর্তন করে তার অধীনে নিয়ে যাওয়া প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল। দেওয়া হয়ে গেছে কিনা জানা নেই।
এটা আমাদের একটু স্বভাব হয়ে গেছে আমরা কোন একটা ইস্যু নিয়ে কিছু দিন হৈ চৈ করে পরে ভুলে যাই । আর সরকার ও এই সুযোগ টি নিয়ে থাকে। আশা করি সরকার অন্তত এই ইস্যুতে জনগনের সাথে বিমাতা সুলভ আচারন না করে তাদের জানতে দিবে। যদি বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগ ভিত্তিহীন হয় তবে তাদের তিরিস্কার যেমন করবে তেমনি মন্ত্রী আবুল দুর্নীতি তে যুক্ত থাকলে অবিলম্বে তার মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।