চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে বেইজ্জত করতে কিছু মানুষের জুড়ি নেই। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেওয়া এইসব হুজুগেরা নিজেরা তো কিছু করতে পারবেনা, কিন্তু ঠিকই অন্য প্রখ্যাত মানুষের খুঁত দেখলেই তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই ধূলিনিক্ষেপ করবে। মূর্খের মত ভালোবাসা বা অন্ধের মত ঘৃণা করার আদর্শ উদাহরণ এরা।
রাস্তায় সাধারণ মানুষ অহরহ দেশের ভবিষ্যত রপ্তানী পণ্যের (ককটেল) গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, আর এইসব "চিলে কান নিয়ে গেল" টাইপের লোকেরা আব্দুর নূর তুষারকে ঢিল মারতে উঠে পড়ে লেগেছে।
ইস্লামি ব্যাঙ্কের পা মাড়ানোতে যদি কেউ আসলেই এতটাই অস্পৃশ্য হয়ে পরে, তবে তা তো সত্যিই চিন্তার কথা।
জামাত-শিবিরের অর্থনৈতিক ভিত্তি এই ব্যাংক কি তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেয়েও শক্তিশালী?! জামাতীরা যে রেস্টুরেন্টে খাবে, যে টয়লেটে হাগবে-মুতবে তা'ও কি জামাতী হয়ে যাবে? আসলেই আজিব!
ইস্লামি ব্যাঙ্ক যদি আসলেই জামাতকে সজ্ঞানে সাহায্য করে থাকে, তবে এটি নিষিদ্ধ করার দায়িত্ব সরকারের। এবং এক্ষেত্রে সরকারকেই দোষারোপ করা উচিত। কোন ব্যাক্তিবিশেষকে নয়।
যেখানে সরকারই বলছে এই ব্যাঙ্কের সাথে জামাতের বা কোন জঙ্গি সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা নেই, সেখানে এই ব্যাপারে দ্বিরুক্তি করার তো কোন সুযোগ আছে বলে মনে হয় না! হলমার্ক কেলেঙ্কারী নিয়ে যেরকম সোনালী ব্যাঙ্ক বা অন্যান্য ব্যাঙ্কের নাম উঠে এসেছে, তেমনি ইস্লামি ব্যাঙ্কের মত এত প্রচারমুখী ব্যাঙ্কের নামে তো কোন কথা মিডিয়ার সামনে এসেছে কি?
আমরা আসলে খুবই আশ্চর্যজনক আবেগপ্রবণ জাতি। কোন কাছের ভাল মানুষকে সম্ভাব্য ভুল পথে পা বাড়াতে দেখলেই তাকে সাহায্য না করে উলটো তাকে নিন্দা ও ঘৃণার গুহায় নিক্ষেপ করি।
আর এক নিমিষেই ভুলে যাই তার সব অর্জনের কথা। আব্দুর নূর তুষার এইরকম মূর্খ-জনআক্রোশের প্রথম শিকার নয়!
আমার এইসব প্রলাপকে দয়া করে নিরপেক্ষ চোখে দেখবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।