তরুণরাই পারে দক্ষিণ এশিয়ার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বাধা দূর করতে -রাষ্ট্রপতি
বাংলাবার্তা ২৪ ডটনেট (শেখ আবু তালেব, ৭ জানুয়ারি, শনিবার)- ‘নেতৃত্ব - ২০১২ উদীয়মান দক্ষিণ এশিয়া, তরুণ সমাজ অঙ্গীকার ও স¡প্ন’ এই শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে শুরু হল সার্ক দেশে গুলোর তরূণদের সম্মেলন। সম্মেলনের উদ্ধোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্র তিনি সম্মেলনের এই উদ্ধোধন করনে। সার্ক চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (সার্ক-সিসিআই) ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) যৌথভাবে আয়োজন করে এই সম্মেলনের।
রাষ্ট্রপতি জিল−ুর রহমান তার বক্তব্যে দক্ষিণ এশিয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগাতে এ অঞ্চলের তরুণদের দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ¡ান জানিয়েছেন।
এ অঞ্চলের তরুণরাই কেবল দক্ষিণ এশিয়ার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে বাধা দূরিভূত করতে পারে। বিশে¡র মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ বা প্রায় ১৫০ কোটি লোক দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশে বসবাস করে এবং এ জনগোষ্ঠীর একটা বিরাট অংশের বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। এ অঞ্চলের মূল সম্পদ এ তরুণরা কর্মোদ্দীপনায় ভরপুর। তাদেরকে নেতৃত্বের গুণাবলীতে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে।
সার্ক মহাসচিব ফাতিমাথ ধীয়ানা সাইদ বিশিষ্ট অতিথির বক্তৃতা করেন।
অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে সার্ক-সিসিআই’র প্রেসিডেন্ট আনিসুল হক এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট সালমান এফ রহমান বক্তৃতা করেন।
রাষ্ট্রপতি জিল−ুর রহমান আরো বলেন, আমি বিশ¡াস করি সার্ক ভুক্ত দেশগু¡েলার তরুণদের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মতামত ও ধারণা বিনিময় এবং ব্যাপক সু¡েযাগ সুবিধা বিনিময়ের জন্য এই সম্মেলন অনন্য প−াটফর্মে পরিণত হবে। আমাদের সামনে ব্যাপক সম্ভাবনার দ্বার এখন উন্মুক্ত হয়েছে। সাকর্ ভুক্ত দেশগু¡লার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আস্থা ও সহ¡েযাগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ লাভ করবে।
ব্যবসা, শিলকলা, সামাজিকস উদ্যোগ, রাজনীতি বা দাতব্য ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্র্জনে তথ্য আদান-প্রদান এবং আমাদের এ অঞ্চলের ভবিষ্যত সম্ভবনা খুঁজে বের করতে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি মিলন মেলা করা এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য।
বিকালের ২টি সেশনের প্রতিপাদ্য ছিল উদ্ধৃদ্ধ হওয়ার জন্য কি প্রয়োজন। প্যানেল আলোচক ছিলেন ভারতের সাবেক এমপি কূটনীতিক মণি শংকর আয়ার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইসলামী ব্যংাকের চেয়ারম্যনি আ,ন,ম আব্দুজ্জাহের। ২য় সেশনের বিষয় ছিল ইয়ং ইন্টারপ্রিয়ুনারস, রাইজিং সাউথ এশিয়া, প্রমিজিং এন্ড ড্রিমস।
এই সেশসেনর প্যানেল আলোচক ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কের্ন্দের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, ভারতরে সবচেয়ে কণিষ্ঠ ইয়ুথএন্টারপ্রিয়ুনার সুহাস গোপী নাথ এবং বালাদেশর জাগো ফাউন্ডেশনরে প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসান্দ। মডারেটার হিসেবে ছিলেন বি,ওয়াই,এল,সি এর প্রেসিডেন্ট এজাজ আহমেদ।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সার্ক দেশগুলোর বাংলাদেশস্থ হাইকমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনৈতিগণ অংশগ্রহণ করেন। আগামী কাল সম্েমলনের ২য় দিবস অনুষ্ঠিত হবে।
লিংক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।