তাকে নিয়ে লিখার আগে আপনাদের কিছু তথ্য দিলাম :
১। তিনি হূদযন্ত্রে ছিদ্র নিয়ে জন্মেছিলেন । এই রোগের আধুনিক নাম ventricular septal defect । ১৯৫০ সালের দিকে ইন্ডিয়াতে এই রোগের চিকিৎসা ছিল বিরল , হার্ট সার্জারি নাই বল্লেই চলে ।
সোর্স : Click This Link
২।
শুধুই জীবিকার তাগিদে তিনি অভিনয় জগতে পা রাখেন। বাবা বেকার হওয়ার পর সাত ভাইবোনের সংসারে এক মধুবালাই ছিল ভরসা। আর জীবিকার তাগিদে এসে একসময় এ জগতের সবচেয়ে বড় তারকা হয়ে যান তিনি।
সোর্স : Click This Link
৩। তিনি যখন খুব ছোট, তখন এক সুফি দরবেশ তাকে দেখে বলেছিলেন, এ মেয়ের ঘরে আসবে অনেক খ্যাতি।
কিন্তু সুখ তার জীবনে অধরাই থেকে যাবে। আর জীবনটাও হবে তার খুব অল্প দিনের।
৪। মাত্র ৩৬ বছরের জীবনে মধুবালার বলিউড ক্যারিয়ার ছিল ২৯ বছরের। কাজ করেছেন প্রায় ৭০টি চলচ্চিত্রে।
সংক্ষেপে মধুবালা :
উনার পুরো নাম , মুমতাজ জাহান দেহলভী। জন্ম ১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৩ এবং মৃত্যু ২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯ । অভিনেত্রী দেবিকা রানী তার নাম দেন মধুবালা। মূল নারী চরিত্রে মধুবালা অভিনয় শুরু করেন ১৪ বছর বয়সে। কাজ করেছেন প্রায় ৭০টি চলচ্চিত্রে।
শিশুশিল্পী হিসেবে তার বলিউডে যাত্রা। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের সময় থেকেই মধুবালার রূপের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বলিউডে। তবে এখনো অনেক বলিউডবোদ্ধাই বলেন, ওটাই ছিল মধুবালার অভিনয় জীবনের একটি অন্যতম প্রতিকূলতা। কারণ সবসময়ই মধুবালার অভিনয় দক্ষতা চলে যেত তার সৌন্দর্যের আড়ালে। এজন্যই তো ইন্ডাস্ট্রিকে এতগুলো সফল চলচ্চিত্র উপহার দেয়ার পরও সেরা অভিনেত্রী হিসেবে তিনি জীবদ্দশায় কোনো পুরস্কার পাননি।
একসময় পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ জুলফিকার আলী ভুট্টোর সংগে প্রেমের গুজব ছড়িয়েছে তাকে নিয়ে ।
সোর্স : http://en.wikipedia.org/wiki/Madhubala
মধুবালার সাথে প্রেম ছিল দিলীপ কুমারের। পাঁচ বছর প্রেমের পর দিলীপ কুমার দুটো শর্ত দিয়েছিলেন মধুবালাকে। প্রথমত. নিজের পরিবার ছাড়তে হবে। দ্বিতীয়ত. ছাড়তে হবে অভিনয়ও।
বলিউড ছাড়তে রাজি হলেও নিজের মা-বাবাকে ছাড়তে নারাজ ছিলেন মধুবালা। এর পরই দিলীপ কুমার-মধুবালার ভালোবাসা গড়ায় দ্বন্দ্বে।
এমনিকি মিথ্যে ভালবাসে শুধু দিলীপ বাবুকে দেখানোর জন্য বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমারকে । সোর্স : Click This Link
নিজের অসুস্থতার কথা কখনো তিনি কারো কাছে প্রকাশ করেননি। শুটিং সেটে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন।
১৯৬০ সালে কিশোর কুমারকে বিয়ের পর লন্ডন যান মধুবালা। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, বড়জোর এক বছর সময় আছে মধুবালার। কিন্তু দৃঢ় মনোবলের জোরে এরপর ৯ বছর বেঁচে ছিলেন তিনি। উনার শেষ দিন গুলোতে পাশে ছিলেন না কিশোর কুমার।
ছবিটি খুব দুর্লভ ।
লাইফ ম্যাগাজিনের জন্য জেমস বার্ক তুলেছিলেন।
সোর্স:
১। Click This Link
২। http://madhubala.net/
৩। Click This Link
ধন্যবাদ ।
বিনম্র শ্রদ্ধা এই মেধাবী সুন্দরী মধুবালা কে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।