আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনন্য দৃস্টান্ত



আহ! দেশের সব সাংসদ যদি এমন হতেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বৃদ্ধ কৃষক আ. রহিম অনেকদিন ধরে পাথরঘাটা উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে ধরনা দিচ্ছিলেন সরকারি আমিন ( ভূমি পরিমাপকারি) দিয়ে তাঁর বিরোধিয় একখন্ড জমি পরিমাপের জন্য। কিন্তু ভূমি কার্যালয়ের কর্মচারিরা তাকে যারপর নাই ঘোরাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর কাছে ভুমি কার্যালয়ের প্রধান সহকারি দুই হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। গত সোমবার গরিব এই কৃষক এক হাজার ১০০ টাকা জোগাড় করে ভূমি কার্যালয়ের সহকারিকে জমি মেপে দিতে পিড়াপিড়ি করছিলেন। ঠিক এমন সময় স্থানীয় সাংসদ গোলাম সবুর টুলু ভূমি কার্যালয়ে পরিদর্শনে গেলে বৃদ্ধ কৃষক আ. রহিম বিষয়টি সাংসদকে জানান।

সাংসদ তাৎনিক ভুমি কার্যালয়ের প্রধান সহকারি শাহ আলমকে জিঞ্জাসাবাদ করলে সে অকপটে ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করে এবং আ. রহিমকে ঘুষ বাবদ নেওয়া সব টাকা ফেরত দেয়। এসময় সাংসদ গোলাম সবুর প্রধান সহকারিকে ভৎর্সনা করেণ এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সাংসদ গোলাম সবুর কয়েকদিন আগে ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলায় তিগ্রস্তদের দেওয়া ত্রাণের ঘর ও নলকূপ বিতরণের জন্য যেসব ইউপি মেম্বার-চেয়ারম্যানেরা ঘূষ নিয়েছিল তাও ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। অভিযুক্ত শাহআলম ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘একজন সার্ভেয়ারের জন্য ওই টাকা আমার কাছে রেখে গিয়েছিল’। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সহকারি ভূমি কমিশনার মো. আনোয়ার পাশা বলেন, বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে প্রমানিত হয়েছে এবং অভিযুক্ত কর্মচারির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

একজন সাংসদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যক্তি পর্যায়ে এমন উদ্যোগ আমাদের দেশে বিরল। তবুও এটা একটি দৃস্টান্ত হতে পারে সারাদেশের জন্য। আর আমাদের প্রত্যেক সাংসদ যদি এমন হতেন তাহলে সত্যি আমাদের অগ্রগতি কি এভাবে থেমে থাকতো ? এম জসীম উদ্দীন বরগুনা ১৯.১০.০৯

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।