আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে কারনে আমি আওয়ামীলীগকে আগামী টার্মে ভোট দেব। একটি নিরপেক্ষ পর্যালোচনা

দেশ কে ভালবাসি এই যদি হয় আমার অন্যায় তবে আমি অপরাধী ভেবে দেখলাম আমার চিন্তা চেতনায় বিরাট মাপের ভূল ছিল। তার ওপর আবার বিজ্ঞ লীগ বিশেষ অজ্ঞ ভাইরা আমাকে যাতা বলছে কেউ কেউ আবার জামাত শিবির বলতেও ছাড়েনি। তাই আমার অবস্থান আমি চেঞ্জ করে নিলাম। আজ থেকে আমাকে কেউ আর জাতীয়তাবাদী নামে বদনাম দিবেন না। তো এখন আমার সময় এসেছে আমার প্রিয় দল আওয়ামী বাকশালের পক্ষে কিছু গুনগান করার।

জানেন ই তো নতুন নতুন কোন কিছু হলে কি পরিমান উৎসাহ থাকে। কেন আমি আওয়ামী বাকশালীদের সমর্থন করব? একটা ছোট লিষ্ট বানালাম। ভূল হলে শূধরে দেবেন। ১। সবার আগে যোগ্যতা।

আমার নিজের খুব একটা শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই। তাই জ্ঞানী মানূষ দেখলেই শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছে করে এ ক্ষেত্রে আমার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপরে কে আছে? চব্বিশ টা ডাক্তারি সার্টিফিকেট। হু হু বাবা আমার কথা বিশ্বাস হয় না? কি লিষ্ট চান? এই নেন। চব্বিশটা ডাক্তারি সার্টিফিকেট লিষ্টঃ ১। ডক্টর অব ল’ডিগ্রী, বোষ্টন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র- ১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি।

২। ডক্টর অব ল’ডিগ্রী, ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটি, জাপান- ১৯৯৭ সালে ৪ জুলাই। ৩। Medal of Distinction পদক, আন্তর্জাতিক লায়নস ক্লাব- ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে। ৪।

Head of State পদক, আন্তর্জাতিক লায়নস ক্লাব- ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে। ৫। হাটপাউয়েট-বোজনি (Houphouet-Boigny) শান্তি পুরস্কার(পার্বত্য চট্রগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য), ইউনেসকো- ১৯৯৮ সালে। ৬। মাদার টেরেসা পদক, সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ- ১৯৯৮ সালে।

৭। গান্ধী পদক (বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র প্রসারে অবদানের জন্য), মহাত্মা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ফাউন্ডেশন,নরওয়ে- ১৯৯৮ সালে। ৮। Paul Haris ফেলোশিপ, আন্তর্জাতিক রোটারি ফাউন্ডেশন-১৯৯৮ সালে। ৯।

ডক্টরেট অব ফিলসফি ইন লিবারেল আর্টস, ইউনিভার্সিটি অব অ্যাবারটি ডানডি, যুক্তরাজ্য- ১৯৯৭। ১০। দেশিকোত্তম, বিশ্ব ভারতী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত- ১৯৯৯ সালের ২৮ জানুয়ারি। ১১। চেরেস(CERES) মেডেল(ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ), জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি- ১৯৯৯ সালের ২রা আগস্ট।

১২। ডক্টর অব ল’ডিগ্রী (দেশ ও সমাজে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য)- ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া- ১৯৯৯ সালের ২০ অক্টোবর। ১৩। ডক্টর অব ল’ডিগ্রী(শান্তি ও গনতন্ত্রে অসামান্য অবদানের জন্য), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ- ১৯৯৯ সালের ১৮ই ডিসেম্বর। ১৪।

ডক্টরেট ডিগ্রী(শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অসাধারণ অবদানের জন্য) ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি, বেলজিয়াম- ২০০০ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি। ১৫। Pearl S. Buck,99 পুরস্কার(রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সাহসিকতা, ও দূরদর্শিতার জন্য), রানডলপ ম্যাকন উমেনস কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র- ২০০০ সালের ৯ এপ্রিল। ১৬। ।

ডক্টরেট ডিগ্রী(মানবাধিকার বিষয়ে), ব্রিজর্পোট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র- ২০০০ সালে ৫ সেপ্টেম্বর। ১৭। ডক্টরেট ডিগ্রী(আন্তর্জাতিক মানবিক উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য), সেন্ট পিটার্সবার্গ ষ্টেট ইউনিভার্সিটি, রাশিয়া- ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর। ১৮। ইন্দিরা গান্ধী পদক, ভারত- ২০১০ সালের ১২ই জানুয়ারী ১৯।

এমডিজি অ্যাওয়ার্ড(শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য), জাতিসংঘ- ২০১০ সালে। ২০। সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড(বিশ্ব মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে অবদানের জন্য), জাতিসংঘ ইকনোমিক কমিশন ফর আফ্রিকা, জাতিসংঘে এন্টিগুয়া-বারবুডার স্থায়ী মিশন, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ও সাউথ সাউথ নিউজ, ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। ২১। স্বর্ণপদক (গণতন্ত্র সুসংহতকরণে প্রচেষ্টা ও নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রাখান জন্য), ডফিন বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্রান্স- ২০১১ সালে।

২২। ফেলোশিপ, বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ- , ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ২৩। ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রী(দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি এবং উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য), ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত- ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি। ২৪।

কালচারাল ডাইভারসিটি পদক (বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদানের জন্য), ইউনেস্কো- ২০১২ সালের ৯ মে। ২। শেয়ার বাজার নিয়ে বিভ্রান্তি বাঙালীরা আসলেই জুয়ারী। আরে আমার দিকে ওই ভাবে ত্যাড়া ভাবে তাকান কেন? আমার আর এক প্রিয় লিডার আর এক বিখ্যাত মাল ডাঃ মাল মুহিত যখন বলছিল, ”শেয়ার মার্কেটে কোন ইনভেস্টর নাই, সব জুয়াড়ি” তখন কি পারছিলেন ত্যাড়া ভাবে তাকাতে? জানি পারেন নাই, আপনারা মিয়ারা আসলেই জুয়ারী। যাক ভাল লাগছে এই ভেবে যে বাংলাদেশের সব জুয়ারী ধরা দুই ট্রিক্সে।

দেশে কোন আর জুয়ারী নাই। প্রথম বার অবশ্য জুয়ারী সাফ হয়েছিল আমার প্রিয় বাকশাল আওয়ামীলীগের সেই ১৯৯৬-২০০১ টার্মে। এই মাল মুহিত আমার খুব পছন্দের লিডার উনার জ্ঞানের সীমা পরিসীমা আমার প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার প্রায় কাছাকাছি। দেখুন না মানুষের কষ্টে কিভাবে চোরা হলমার্ককে আবার ঋন দিয়ে দাড়া করাতে চাচ্ছে। ব্রাভো লিডার।

৩। পদ্মাসেতু কাহিনী এই নিয়া কাহিনী করার কিছু নাই, আমার প্রিয় নেতা যদিও উনি ডাক্তার না। কিন্তু হিসাব করতে ওস্তাদ। তাই বিশ্বব্যাংক টাকা দেবার আগেই মোটামুটি দেশের দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়া বিশ্বব্যাংকের মিথ্যা অভিযোগে দেশপ্রেমের কথা মাথায় রেখে সরে গেছে। কত বড় অবিচার।

এই অবিচারের প্রতিকার করার জন্য আমি বাকশালী আওয়ামীলীগকে সাপোর্ট দেব। ৪। ঢাকার উন্নয়নের জন্য ঢাকা দুই টুকরা ইশ এখন বুজি ঢাকা কে আসলে ৮ টুকরা করা উচিত ছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন টাকা থাকলে ৪ টুকরা করতেন। আসলে খেয়াল করুন।

উত্তর ঢাকা আর দক্ষিন ঢাকার আম্লীগ নেতাদের মধ্যে এখন খুব সৌহার্দ্য পূর্ন মনোভাব কারন ভাগাভাগি নিয়ে আর ক্যাচাল নাই। ইস এর পাশাপাশি যদি পূর্ব, পশ্চিম, উর্ধ, আধঃ, ঈশান, নৈঋত ভাগটা করে ফেলা যেত আজকের আম্লীগে যত কোন্দল আছে সব নিরসন হয়ে যেত। ৫। সময় পরিভ্রমন এই যে দেখুন কত বড় বৈজ্ঞানিক চিন্তা চেতনা। খেয়াল আছে আপনাদের সেই ঘড়ির কাটা এক ঘন্টা পেছানো।

কত বড় টাইম মেসিন আবিস্কার প্রায় করে ফেলছিল! এই ক্যালেন্ডারের পাতাটা আর একটু যদি ঘুরাইয়া দিত আহ আর দেখতে হত না আমার প্রিয় বাকশালী আমল টা পরিভ্রমন করে ফেলতাম। কিন্তু হায় নাদান বাংলাদেশী বুজল না। যেমন করে বিখ্যাত আবিস্কারক কোপার্নিকাসর আবিস্কার প্রথমে ভাত পায় নাই এই আবিস্কারো ভাত পাইলনা এই অশিক্ষিত জাতির কাছে। কিন্তু সামনের বার আবার আমি ভোট দেব শুধু ঘড়ির কাটা পেছানোর জন্য না ক্যালেন্ডারের কাটা পেছানোর জন্য আমার বাকশালী অতীতে ফেরত যাবার জন্য ৬। তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল দেখুন আমার নেত্রী শেখ হাসিনার কি পরিমান ভালবাসা বিরোধী নেত্রীর প্রতি, গতবার ১/১১ এ উনার পার্টি আর ছেলেকে অন্যায় ভাবে ফক্কর সরকার মারছে দেখেই এসেই তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছেন, বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে আছেন কেউ এ রকম সহমর্মিতা দেখিয়েছে? না দেখান নাই তাহলে বলুন কেন আমি বাকশাল আম্লীগকে সমর্থন দেবনা? ৭।

সরকারের মহানুভবতা এই সরকার আসলেই জনগনের সরকার, দেখুন না স্বাধীনতার পর (১৯৭২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত) মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মোট ২৫ জন রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৯৮৭ সালে একজন, ২০০৫ সালে দুজন, ২০০৮ সালে একজন, ২০০৯ সালে একজন, ২০১০ সালে ১৮ জন এবং ২০১১ সালে দুজন। এতে দেখা যায়, গত ৪০ বছরে ২৫ জন ক্ষমা পেলেও বর্তমান সরকারের তিন বছরে রেকর্ড ২১ জন ক্ষমা পেয়েছেন। আর কিছু বলতে হবে? ৮। ইসলামী দুস্কৃতিকারীদের হাত থেকে জানমাল হেফাযত জনাব ডাঃ ইমরান সরকার বাহাদুরের শাহবাগ আন্দোলনে কিছু সাধারন মানুষ প্রতিবাদ করে আর প্রতিবাদের কারন মহানবী (সাঃ) প্রতি কটুক্তি সেই সব ইসলামী দুস্কৃতিকারীদের পাখির মত গুলি করে তিন দিনে ১৭০ জন কে হত্যা করে সরকার যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে আমাকে তা মুগ্ধ করেছে বিধায় আমি আজকে থেকে বাকশালী আম্লীগের গুনগান করব।

জয় বাংলা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.