আমি একা তুমি একা অথচ দুজন পাশাপাশি মাঝখানে যা তা হলো দাবার দান...... চেক দিও না মন্ত্রি যাবে ভালোবেসো না খেলায় হারবে......
*লেখাটা আগে পোষ্ট করেছিলাম কিন্তু দুটো লিঙ্ক কাজ না করাতে আবার করছি আর কয়েকজন পরথম পরবের পরে বাকীটা পড়তে চেয়েছিলেন তাই একসাথে দুটোই জুড়ে দেয়া, আমার কীবোরড কাজ করছে না যার ফলে বানান ভুল হচ্ছে যা ইচ্ছাকৃত নয় অনেক টাই। ধন্যবাদ*
এই বাসরঘর সাজাইছে কেডা? বান্দরের মত কাজ কারবার, লাল ফিতা দিয়া বাইন্ধা রাখছে। এইটা কি মাজার যে সে লাল ফিতা বান্ধবো !! বাসর ঘর সাজাইব গেন্দা ফুল দিয়া। গন্ধ সুন্দর, ফুলও নরম। দুনিয়ার সবচাইতে সুন্দর ফুল গেন্দা ফুল।
আরেকটা জিনিস, এই ঘরে মশারি নাই। এইটা ইংল্যান্ড আমেরিকা না, এইটা বাংলাদেশ। এখানে বাসর রাতে অতি অবশ্য মশারি থাকবো। নয়া জামাই বউ কি মশা মারব না বাসররাত করবো ? কাউরে কইয়া একটা মশারি আনো
যাদের ডায়েরী লিখার শখ তারা কেউ নিশ্চয়ই আগাম কোন ঘটনা, বা স্বপ্ন লিখে রা্খে না। অহনার মেরুন রঙের কাভার দেয়া ডাইরির পাতায় পাতায় তার আগামী দিনের সপ্ন বুনন।
যখন তার বিয়ে ঠিক হল, সবাই তাকে তার হবু বরের ছবি দেখাতে চাইলেও সে দেখেনি, এ ব্যাপারে সে কিছুটা প্রাচীন পন্থী , সে তার পুরো বিয়ে, বাসরঘর, সপ্ন নিয়ে, কল্পনা নিয়ে সাজালো। ডাইরির পাতায় লিখল “ আমার বরের নাম অরুনাভ, ছিপছিপে লম্বা মেদ হীন পরিষ্কার একটা অসম্ভব স্মার্ট ছেলে। যাকে শার্ট ইন করলেও মানায়, না করলেও মানায়। দাড়ি রাখলেও ভাল লাগে, না রাখলেও ভাল লাগে। সরু নাক, একটা চশমা পরলে দারুন মানাত, কিন্তু ও চশমা পরে না।
বাসর ঘরে ঢুকে আমি চমকে গেলাম। একটা ইজি চেয়ারে সে বসা ছিল। আমাকে ঢুকতে দেখেই সে সে দাঁড়ালো , হাল্কা ভারিক্কি গলায় বলল ‘আমার এই জীবনে তোমার প্রবেশকে সম্মান জানাতে দাঁড়ালাম’ , আমার খুব ইচ্ছে করছিল ওর পা ছুয়ে প্রনাম করি, আড়ষ্টতায় আমি দাড়িয়ে রইলাম। সে দু পা এগিয়ে আমার দুহাত ধরে আমাকে বিছানায় বসাল । নিজে চেয়ার টেনে আমার সামনে বসলো।
আমার কোলের উপর হাতে আলতো করে তার হাত রেখে বলল ‘ এই জীবনে আমার কাছ থেকে সম্মান পাবার মত অনেক কাজ তুমি করতে পারবে, যখন তুমি আমার সন্তানের মা হবে, আমি আবার তোমাকে উঠে সম্মান জানাবো ‘’ ওমা ; কি লজ্জা! কি সহজ করে সে এই লজ্জার কথা গুলো বলে যাচ্ছে । যেন আমরা কতদিনের চেনা।
ও আবার বলতে শুরু করলো ‘ যখন আমাদের সন্তান মানুষ হবে , আবারও তুমি সম্মান পাবে। আমার জীবনে কোন কঠিন এলে , আমার পাশে দাড়িয়ে থেকো , আমি সেদিনও তোমাকে সম্মান জানাবো । আমার জীবনে গোপন করার মত কিছুই আমি করতে পারি নি ।
তাই এই রাতে তোমাকে চমকে দেয়ার মত কোনও গোপন গল্প আমার নেই। তুমি চাইলে তোমার সবকটা গল্প করতে পার। আর না চাইলে কিছু বলতে হবে না। তবে বলব বলে অপেখায় রেখ না। অপেক্ষা আমার সহ্য হয়না।
আমার কোন ধরনের নেশা নেই। চা , পান , সিগারেট , মদ কোনটাই আমি নিয়মিত খাই না। তুমি চাইলে তোমার কোন নেশা ছেড়ে আমার কোন ধরনের নেশা নেই। চা , পান , সিগারেট , মদ কোনটাই আমি নিয়মিত খাই না। তুমি চাইলে তোমার কোন নেশা ছেড়ে দিতে পারো , আর না চাইলে রাখতেও পারো ।
আপাতত গুছিয়ে বলার মত কথা আমার শেষ । এবার তুমি বল ‘’’
অবাক বিস্ময়ে আমি কোন কথাই বলতে পারলাম না। আমার কান্না চলে এলো । আমার মনে হল কাঁদলে সে আমাকে বুকে টেনে নেবে। না, সে তা করলো না।
আমাকে ইচ্ছে মত কাদতে দিলো , একবারের জন্য বললও না কেদ না বা কাদছ কেন? আমাকে সম্পূর্ণ অবাক করে দিয়ে সে বলল “ কালকে যাত্রার সময় বেশি কেঁদো না, আমি কান্না সহ্য করতে পারি না। তোমার যখন ইচ্ছে এ বাড়িতে চলে এসো , আমার তরফ থেকে কোন বাধা থাকবে না। ’’ আমার মত স্বামী ভাগ্য নিয়েখুব কম মেয়ের জন্ম হয়েছে। ’’’ অহনার ডাইরিতে এতটুকু লিখা ছিল
অহনা তার ঘরে ঢুকবে একটু পরে, আশ্চর্য হলেও সত্য তার স্বামীকে বাসরঘরে আগে বসিয়ে রাখা হয়েছে, আর এটা করেছে তার ছোট মাসি। হিন্দু বিয়ে, বাসররাত সর্ব মোট দুটো আর সাতচক্কর তিনবার, পাশাও খেলতে হয় তিনবার।
তিন মরার চিন, বিয়ের মত শুভ ব্যপারে তিন ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। অহনার খুব লজ্জা লাগসে একা একা বাসরঘরে যেতে , তার বৌদিরা তাকে বাসরঘর পর্যন্ত নিয়ে যেতে নারাজ। দরজার চৌকাঠে পা রেখে অহনা থামল ...
অবাক করার মত ব্যপার তার ডাইরিতে লিখা বাসর রাতের কল্পনার মত করে তার স্বামীকে আগেই বাসরঘরে বসিয়ে রাখা হয়েছইয়ে। তার খুব কান্না পাচ্ছে। সত্যি সত্যি যদি তার কল্পনার মত সব কিছু ঘটে যায় , তবে সে আজ রাতে খুব খুব করে কাঁদবে।
ইজি চেয়ারে ছিপছিপে চেহারার এক যুবক বসে আছে। এই তার স্বামী অরুনাভ। সত্যি যদি সব কল্পনার সাথে মিলে যায় !
বাসর ঘরে ঢুকতেই অরুনাভ উঠে দাঁড়ালো । অহনার কান্না পাওয়া শুরু হয়েছে, তার স্বামী এখন কি বলবে সে তা জানে।
তাকে অবাক করে দিয়ে অরুনাভ বলল ‘ নতুন বউ তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দেবো, এই নিয়ে বৌদি শ্রেণীরা এত আধিখ্যেতা করে!! কতক্ষন ধরে বসিয়ে রেখেছে; সিগারেটের প্যাকেটও সঙ্গে নেই, কি যন্ত্রণা ! তা তুমি দরজায় দাড়িয়ে আছো কেন? লম্বা ঘোমটা দিয়ে বিছানার মাঝখানে বস ।
নয়া বউরে লম্বা ঘোমটা দিয়ে দেখতে আলাদা মজা। আমার ফ্রেন্ড লিস্ট এর সবাই বিবাহিত, শুধু আমি হারামজাদা বাকি। ’
অহনার ডুকরে আসা কান্না দলা পাকিয়ে নাই হয়ে গেলো। তার সব সপ্ন কাঁচ ভাঙ্গার মত ঝন ঝন করে ভাংছে। এই লোকটা কখনই বুঝবে না, তার অনির্দিষ্ট অভিনয়ের জীবন আজ শুরু।
অরুনাভ দরজা বন্ধ করে দিয়ে বলল “ ফাইজলামি করবার লাগি কেউ বিছানার নিচে লুকাইয়া থাকবার পারে, কেউ নাই , আমি চেক করছি। তুমি নিশ্চিত থাকো । এই বাসরঘর সাজাইছে কেডা? বান্দরের মত কাজ কারবার, লাল ফিতা দিয়া বাইন্ধা রাখছে। এইটা কি মাজার যে সে লাল ফিতা বান্ধবো !! বাসর ঘর সাজাইব গেন্দা ফুল দিয়া। গন্ধ সুন্দর, ফুলও নরম।
দুনিয়ার সবচাইতে সুন্দর ফুল গেন্দা ফুল। আরেকটা জিনিস, এই ঘরে মশারি নাই। এইটা ইংল্যান্ড আমেরিকা না, এইটা বাংলাদেশ। এখানে বাসর রাতে অতি অবশ্য মশারি থাকবো। নয়া জামাই বউ কি মশা মারব না বাসররাত করবো ? কাউরে কইয়া একটা মশারি আনো ”
অহনা বাধ্য হয়ে বাসর ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো ।
তার ইচ্ছে করছে এই জীবনে এই ঘরে না ঢুকার । কিন্তু তার কোনও উপায় নেই। এই বান্দরের সাথেই রাত কাটাতে হবে, যে গেন্দা ফুলের পুজারি। ছোটবোন অনামিকাকে গিয়ে বলল ‘এই, একটা মশারি দে’ অনামিকা আকাশ থেকে পড়লো। “মশারি দিয়ে তুমি কি করবে?” অহনার ইচ্ছে হল ঠাস করে ওর গালে একটা থাপ্পর দিতে।
অনামিকাও ছেলে দেখতে গিয়েছিল, ফিরে এসে ছেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাবার বিছানা থেকে মশারি ভাজ করে অনামিকা অহনার হাতে দিতে দিতে মিটি মিটি হাসছিল...অহনার গা জ্বলে যাচ্ছে ...একটা চড় দেবো দেবো করেও দেয়া হল না অহনার,এখনি মেজাজ বিগড়ানোর সময় হয়নি। তার জন্য অপেক্ষা করছে আরও অনেক কিছু। এখনি মেজাজ বিগড়ানোর সময় হয়নি। তার জন্য অপেক্ষা করছে আরও অনেক কিছু।
বাসরঘরে ফিরে এসে দেখল ভস ভস করে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ছে অরুনাভ। কেন জানি না অহনার ধোঁয়াটা ভাল লাগলো , হয়ত ধ্রুম বর্ণের জীবন শুরু হল বলে। মশারি খাটানোয় ব্যস্ত হল নতুন জামাই। সে এমন ব্যাবহার করছে যেন বিশ বছরের পুরাতন বউ এর ঘরে সে। মশারি টাঙ্গানু শেষ , যা দিয়ে সাজানু হয়েছিল বাসরঘর , সব ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে আগেই, দাড়িয়ে দাড়িয়ে তামাশা দেখে যাচ্ছে অহনা।
অরুনাভ বিশ্রাম নেয়ার জন্য আবার বসলো ইজি চেয়ারটায় । অহনার খুব রাগ লাগছে, যে এই ইজি চেয়ারটা দিয়েছে তার উপর। আবার এক দিক থেকে ভালই করেছে, নাহলে দেখা যেতো নতুন জামাই বউ এর বদলে আগেই বিছানায় বসে আছে, নতুবা মাটিতে বসে আছে, মাটিতে বসে থাকাটাও এর জন্য অসম্ভব কিছু না। কিছুক্ষন জিরিয়ে নিয়ে আবার বলা শুরু করল অরুনাভ “ আমার হারা জীবনের হাউস বাসর রাইতে বিছানা সাজাইমু দুই তিন ঝুরি গেন্দা ফুল দিয়া। তোমারে বিয়া করনের আগেই তোমার এলাকায় আমার দারুন একটা পাওয়ার আছিল।
সেই পুরান পাওয়ার আইজকা বিয়ার কালে দারুন কাজে লাগছে। তোমার বিছানার নিচে দুই ঝুড়ি তাজা গেন্দা ফুল রাখনের ব্যবস্থা করছি। এক ঝুড়ি ছেড়া জোড়া আরেক ঝুড়ি পুরা। নয়া মশারি আনছ , ভালা কাম করছ। ভাল কইরা মশারি গুইজা নাও।
বিছানায় দুই ঝুড়ি ডাইল্লা দেই”
ওঃ!! রোমান্টিসিজমের এই নমুনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। অহনা কাদবে না হাসবে। সত্যি সত্যি মশারি গুজে দিয়ে ফুল ঢালার কাজ শুরু। বান্দরের মত কাজ কারবার হলেও রুচির পরিচয় মেলে। ঘর গোছাতে একদম সময় নিল না অরুনাভ।
বিছানাও সত্যি সুন্দর সাজানু হয়েছে। অহনা চুপ করে দাড়িয়ে আছে। এবার নিশ্চয়ই খুব অশ্লীল ভঙ্গিতে তাকে বিছানায় ডাকবে ...
“ তুমি তো আইজকা দারুন টায়ার্ড , এই কিসিমের বিয়া আমার পছন্দ আছিল না, কিন্তু কি আর করা? হজ্ঞলে এমন কইরা ধরছে যে রাজি হইতে হইলো। বিয়ার পরে নয়া বউএর লগে কি কথাবার্তা কমু, তা আগে চিন্তা করি নাই, তুমি চিন্তা কইরা থাকলে ইস্টারট দাও’’
অহনার মনে হল এটাই আসলে অশ্লীল আমন্ত্রন, স্টার্ট দাও। কি বিশ্রী কথাবার্তা ।
তার কিছুই বলার প্রবৃত্তি নাই।
মশারি একপাশ তুলতে গিয়ে কিছু ফুল মাটিতে পরে গেল। অহনার খুব ভয় হচ্ছে; এই তুচ্ছ কারনে যদি তাকে বকাঝকা শুনতে হউ। ঘটনা ঘটলো ঠিক অহনার মনে হল এটাই আসলে অশ্লীল আমন্ত্রন, স্টার্ট দাও। কি বিশ্রী কথাবার্তা ।
তার কিছুই বলার প্রবৃত্তি নাই।
মশারি একপাশ তুলতে গিয়ে কিছু ফুল মাটিতে পরে গেল। অহনার খুব ভয় হচ্ছে; এই তুচ্ছ কারনে যদি তাকে বকাঝকা শুনতে হউ। ঘটনা ঘটলো ঠিক তার উল্টো । “সুন্দর হইসে তো , কিছু ফুল বিছানায় চারপাশে ছিটাইয়া দেয়া যায় ।
ফুল ছিটানুর কাজ শেষ করল সে। লাফ দিয়ে না উঠে , বেশ পরিমার্জিত ভাবে বিছানায় উঠলো অরুনাভ। একপাশে হাঁটু জড়ো করে বসে আছে অহনা, এইবার কি শুনতে হয় সেই অপেক্ষায়।
“ জীবনে একবারই আমি সেকেন্ড হইছিলাম, ক্লাস টেন এ। তবে কোন বারই পাঁচ এর বাইরে যাই নাই।
পাঁচ এর বাইরে গেলে নিশ্চিত সুইসাইড করতাম। কারেন্ট এ লাইগা মরা আমার সবচাইতে প্রিয় , আলাদা আরাম পাওয়া যায় । আমার কথাবার্তা কওনের বেবাক স্টাইল উল্টাপাল্টা , রাগ করিও না। এতক্ষন এই ঘরে যা করলাম, তোমার ধৈর্যর একটা টেস্ট নিলাম, তুমি পাশ করছ, হাত বাড়াও , ডাইন হাত। ইসসিরে! হাতের একটা আঙ্গুলও খালি রাখে নাই।
পকেট থেকে অসম্ভব সুন্দর হীরার আংটি বের করলো অরুনাভঃ পরিয়ে দিল অহনার অনামিকায়। খুব কষ্টে কান্ননা চাপছে অহনা।
“ তোমারে এহেন জ্বালাতন করার লাই তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থী , ক্ষেমা দিলে বাকি বাৎচিত শুরু করি”
কিছু বলতে হল না অহনার, তার ডান হাত আলতো করে তুলে নিয়ে দুহাতে রাখল অরুনাভ।
“তুমি আজ খুব রাগ করেছ, এরকম ধরনের রাগ আমার খুব অপছন্দ,রাগ থাকলে তার প্রকাশ থাকতে হয়। এখানে একটা কাঁচের জগ, আরেকটা গ্লাস রাখা আছে, তুমি চাইলে এই দুইটা ভেঙ্গে ফেলতে পারো ।
ঝন করে একটা শব্দ হবে । ঝন ঝন শব্দের সাথে রাগও কেন জানি না কমে যায় । তবে আমি কোনও জিনিষের উপর রাগ মেটাই না। টাকার অপচয়। তুমি যে কাজটা করতে পারো সেটা হল আমাকে কয়েকটা কিল ঘুষি মারতে পারো ।
এতে তোমার লজ্জাও ভাঙ্গবে , তুমি আমই খুব সহজে বন্ধু হয়ে যাবো । আমার একটা খুব প্রিয় ডাইরি আছে। যেখানেই যাই সাথে থাকে। এমনকি বিয়ে করতে আসলাম, সেটা সাথেই আছে। তোমার জন্য আরেকটা উপহার, এই ডাইরি ।
আমি সেটা তোমাকে পড়তে দিবো। তুমি কিছুটা হলেও আমাকে জানবে। আর আমি তোমার কাছ থেকে চেয়ে নিবো আমার উপহার। আজকে রাতের মত এখানেই কথা বলা শেষ হউক।
অহনার সেই বাসর রাতের বাকি গল্প করতে ইচ্ছে করছে না।
গল্পটা এখানেই শেষ । অহনার সেই বাসর রাতের বাকি গল্প করতে ইচ্ছে করছে না। গল্পটা এখানেই শেষ ।
আজ অনেকদিন পর অহনা সেই ইজি চেয়ারটায় বসা; তার কোলে অরুণনাভের ডাইরি । ডাইরির শেষ লিখাটাই সে পড়ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।