জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আজ হাটিহাটি পা পা করে ৬৪ বছরে পা দিয়েছে। এখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিশাল এক মহীরুহে পরিনত হয়েছে।
বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস কেবলমাত্র একটি ছাত্রসংগঠনের ইতিহাস নয়। ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে দেশের ছাত্ররাজনীতি এবং ছাত্রসংগঠন গড়ে তোলার প্রয়াস সমূহের ইতিহাস।
দেশবিভাগের পর পশ্চিম পাকিস্থানের স্বৈরাচারী শাসকগোষ্টির রাষ্টভাষা বিরোধী কার্যকলাপ ও বৈষম্যমূলক একচোখা নীতির বিরুদ্ধে ছাত্রলীগই ছিল একমাত্র সরকার বিরোধী দল। তারপর অন্যান্য রাজনৈতিক দল প্রতিষ্টিত হয়েছে।
জাতীয় রাজনীতিতে রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্ব যখন ব্যর্থতার পরিচয় দি্যেছে, আন্দোলন সংগ্রাম যখন স্তিমিত হয়ে পড়েছ, তখন জংন বুকভরা আশা নিয়ে তাকি্যেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দিকে। ছাত্রলীগ তাদের নিরাশ করেনি। বাঙ্গালী জাতির প্রতিটি লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা আপোষহীন সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছে।
তারুণ্যের উচ্চল প্রাণ বন্যায় ভরপুর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা দেশের ইতিহাসকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, লড়াই করেছেন প্রতিটি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। তাই বঙ্গবন্ধু বলেছেন, "ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙ্গালী জাতির ইতিহাস"।
১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারীতে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এদেশের উন্ণতির জন্য, গরীব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রদের রক্তস্নাত ১০দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এদেশেরমানুষকে একটি পতাকা ও একটি স্বাধীন ভূখন্ড উপহার দিয়েছে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৮হাজার নেতাকর্মী শহিদ হয়েছেন।
বর্তমানে ছাত্রলীগ নামধারী গুটিকয়েক মানুষের জন্য সমগ্র ছাত্রলীগের বদনাম হচ্ছে। এদেরকে চিহ্নিত করে অতিসত্বর বহিষ্কারের পাশাপাশি কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন যানাচ্ছি।
সবশেষে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সমগ্র দেশবাসী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীকে মুজীবীয় শুভেচ্ছা জানাই। সেইসাথে যুদ্ধাপরাধীদের এইদেশ থেকে নির্মুল করার জন্য বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত, তৃতীয় বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের নেতা, জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে আবারও যুদ্ধ্বে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।