অবাক পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহারে 'না' বলায় শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার পরও ক্ষান্ত হননি তাপস । প্রেমিকার বোনকে সহায়তা বলতে কথা। জানের জানকে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে তাই তার ছেড়া হলেন তাসাদ্দুক। তেড়ে আসল গাছের ডাল নিয়ে সোনার ছেলেরা। প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল তামাশা দেখলেন...............।
।
এবার শুনুন পুরো ঘটনা.....। ........। ..। ..।
..। ..। ..। ...।
অনার্স ভর্তি পরীক্ষার হলে এক আত্মীয়কে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়ায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তোসাদ্দক হোসেন তাপস দর্শন বিভাগের প্রভাষক সাদাকাত হোসেনকে অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকের সামনে বেধড়ক পিটিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে জরুরি সভা করেছেন। বিকেল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সভা চলছিল। শুক্রবার ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। একাডেমিক ভবনের ২১২ নম্বর কক্ষের পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্বরত দর্শন বিভাগের প্রভাষক সাদাকাত হোসেন একজন ছাত্রীকে পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন।
এ খবর পেয়ে তার আত্মীয় ছাত্রলীগের কলেজ শাখা সভাপতি তোসাদ্দক হোসেন তাপস ওই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে কক্ষে আটিকয়ে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে অধ্যক্ষসহ অন্য শিক্ষকরা তাঁকে উদ্ধার করে অফিসকক্ষে নিয়ে যাওয়ার সময় তাপস এবং তার সহযোগীরা ওই শিক্ষককে লাথি-ঘুষিসহ বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ ঘটনায় শিক্ষকরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী মারধরের কথা অস্বীকার করে জানান, ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে ঘটনাটি মীমাংসা হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিহা খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কালের কন্ঠ, শনিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০১১
২য় রিপোর্ট
শিক্ষককে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তোসাদ্দক হোসেন কলেজের প্রভাষক সাদাকাত হোসেনকে গত শুক্রবার মারধর করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা বৈঠক করে তোসাদ্দককে গ্রেপ্তারের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ওই দিন সন্ধ্যায় স্মারকলিপি দিয়েছেন।
কলেজের শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। কলেজের ২১২ নম্বর কক্ষের পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্বরত দর্শন বিভাগের প্রভাষক সাদাকাত হোসেন একজন ছাত্রীকে পরীক্ষার হলে মুঠোফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন।
এ খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর আত্মীয় ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি তোসাদ্দক হোসেন কলেজে যান। পরীক্ষা শেষে ওই শিক্ষক কক্ষ থেকে বের হলে তোসাদ্দক তাঁকে লাঞ্ছিত করে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন।
খবর পেয়ে অধ্যক্ষসহ অন্য শিক্ষকেরা পুলিশের সহায়তায় শিক্ষক সাদাকাত হোসেনকে উদ্ধার করে অফিস কক্ষে নিয়ে আসার সময় তোসাদ্দক ও তাঁর সহযোগীরা ওই শিক্ষককে (পা দিয়ে) লাথি ও ঘুষি মারেন। এ ঘটনায় উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তোসাদ্দককে পাওয়া যায়নি।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী বলেন, ওই শিক্ষককে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সাবিহা খাতুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছি। ’
প্রথম আলো তারিখ: ২৫-১২-২০১১
সর্বশেষঃ এব্যাপারে থানায় মামলা দেয়া হলেও তা আজও নথিভুক্ত করা হয়নি। প্রিন্সিপাল সাবিহা খাতুন মুখে ব্যাবস্থা নেয়ার কথা বললেও তিনি ঐ ছত্রের বিরুদ্ধে মামলা চালাতে চান না।
এমনকি শিক্ষক লাঞ্ছিত করার বিরুদ্ধে মৌন মিছিল করা, কালো ব্যাজ ধারন ও ক্লাস বর্জন করার কর্মসূচীও তার অনিহার কারণে সম্ভব হচ্ছেনা। সাধারণ শিক্ষকরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাদের অভিযোগ, এসব ছাত্রদের অতি মাত্রায় আস্কারা দেয়ায় তারা মাথায় উঠেছে। ঐ অধ্যক্ষ আসার পর এমনিতেই এখানকার পড়াশুনার অবস্থা ভালো না, তাতে আবার শিক্ষক লাঞ্ছিত করায় ক্লাস নেয়ার মনোবল হারিয়ে ফেলেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।