চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তা নিয়ে কথা বলবোই ! গোপালগঞ্জে ১৭ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া প্রিমিয়ার ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীরা সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে। শুক্রবার গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবে তারা সংবাদ সম্মেলন করে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিতে আমানতকারী ক্ষতিগ্রস্তরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মো. ইদ্রিস আলী ভূঁইয়া।
মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি গঠন করে এভাবে নিরীহ জনগনের টাকা নিয়ে উধাও হওয়া এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার ।
সারা বাংলাদেশে এ রকম কয়েক হাজার সোসাইটি রয়েছে, যারা কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বসে শাখা -প্রশাখা খুলে জনগনকে ফতুর করে দিচ্ছে । সমবায় মন্ত্রনালয়, সমবায় বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর সকলেই জেনে না জানার ভান করছে ।
সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (সংশোধন,২০০২ ও সংশোধন,২০১৩) এর ২৩ ক ধারায় বলা আছে :
১) কোন সমবায় সমিতি উহার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন শাখা অফিস খুলিতে পারিবে না , তবে এই বিধান হইবার পূর্বে কোন অনুমোদিত শাখা অফিস থাকিলে, উহা এই বিধান কার্যকর হইবার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে মূল সমিতির সাথে একীভূত হইবে অথবা সমবায় সমিতির আবেদনক্রমে উক্ত শাখা অফিস প্রাথমিক সমবায় সমিতি হিসাবে নিবন্ধিত হইবে পারিবে ।
কোন ব্যক্তি এই ধারার কোন বিধানর লঙ্ঘন করিলে অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারদন্ড বা অনূ্ন ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন ।
২৩ খ ধারায় - বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ব্যতীত সমবায় সমিতি কর্তৃক ব্যবসা পরিচালনার উপর বিধি নিষেধ (১) কোন সমবায় সমিতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা করিতে পারিবে না ।
(২) কোন ব্যক্তি এই ধারার কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদন্ড বা অন্যূন ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন ।
শক্ত আইন থাকা সত্ত্বেও সমবায় সমিতির কর্তৃক শাখা খোলে ব্যাংকিং এর আদলে আমানত গ্রহন করছে এবং গ্রাহক প্রতারিত হচ্ছে । এতে বুঝা যায় শর্ষের ভিতর ভূত আছে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।