আমি ভাল নেই বাঙালীর একটা বড় সমস্যা হলো বাঙালীর ভালোবাসা বা ঘৃণা কোনটাই দীর্ঘস্থায়ী নয়। একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের সময়ই বলা যেতে পারে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল। অন্য কোন সময় নয়। যদি তা হতো দীর্ঘস্থায়ী তাহলে ইতিহাস হতো অন্যরকম।
স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব দেশে ফিরলেন।
ভালবাসায় ঢেকে দিতে চাইলেন সবাইকে। যারা অপরাধ সংঘটন করেনি এমন রাজাকারদেরকে ক্ষমা করে দিলেন। হয়তো একটা পর্যায়ে চলে গেলে মানুষের আর ঘৃনাবোধ থাকে না। তিনি হয়ে উঠেন অতি মানব।
কিন্তু তার সেই মহানুভবতা তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল, সেই সাথে সমস্ত জাতির জন্যও।
তাঁর ভালোবাসা প্রমান করেছে-ভালোবাসা অপাত্রে দিতে নেই। যে যে-ভাষা বোঝে তার সাথে সে-ভাষায়ই কথা বলতে হয়।
যারা বন্দনা করে গো. আজম, নিজামী বা মুজাহিদ দের, যারা আলবদরদের পত্রিকা সাগ্রহে কেনে, যারা বলে, এতদিন পরে আবার কেন পুরোনো বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি এবং সেই সব বুদ্ধিজীবি, শিক্ষক ও পেশাজীবি যারা সমন্বয়ের রাজনীতির নামে ভালোবাসে জামাত-শিবিরকে; তাদেরকে ঘৃনা করা শিখতে হবে-তীব্র ঘৃনা।
বাঙালীরা আরেকবার প্রমান করুক-সে নির্বোধ নয়, সে শুভ বোধ সম্পন্ন মানুষ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা এবং জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য যে সংগ্রাম; তা সমাপ্ত হলে না হয়, সব ঘৃনা ভুলে বাঙালীরা আবারও পরম ভালবাসায় ঢেকে দেবে পুরো বাংলাদেশকে।
জয় বাংলা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।