রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই
গত রবিবার সকাল বেলার কথা বলছি। বাসা থেকে বের হয়ে ওয়ান লাইনের কাউন্টারে গেলাম ১০,৩০। গন্তব্য মহাখালী। আকাশ মেঘে ঢাকা ছিলো, মনে হচ্ছিলো যে কোনো সময়ই বৃষ্টি হতে পারে। হলও তাই, বাস ছাড়ার ২-৩ মিনিটের মধ্যে প্রবল বাতাস, ধুলো, সাথে বৃষ্টি।
প্রথমে গুড়ি, গুড়ি, পরে বৃষ্টি রূপ নিলো মুষলধারে।
প্রথমে গন্ডগোল লাগলো বাসের ডান পাশে মহিলাদের সিটের উপর থেকে। কোনো একসময় ঐখানে লাইট লাগানো ছিলো, এখন নাই, কিন্তু একটা বড় ফুটো হয়ে আছে। ফোটা ফোটা বৃষ্টির পানিতে মহিলারা ভিজে যাচ্ছিলো। বাসের হেল্পার তার গামছা দিয়ে ফুটো বন্ধ করলো।
কোনো রকমে ৫ মিনিট পার হলো, এর পর গামছা ভিজে পানি পড়া শুরু করল।
ইতিমধ্যে যারা জানালার পাশে বসেছিলো, তাদের অনেকেই ভিজে যাচ্ছিলো। প্রথমে বেশ কয়েকজন গালি দিলো হেল্পারকে, হেল্পার বলল, অভিযোগ থাকলে মালিককে জানাতে। মালিক পর্যন্ততো কেউ যায় না, আর এক প্রস্হ গালি হলো মালিকের ১৪ গুষ্টিকে সহ।
তারপর সব ভুলে গেলো সবাই।
অনেকদিন পরে বৃষ্টি, এতে সবাই খুশি। যেনো কারো মনে কোনো দুঃখ নাই। সবাই বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে, এটাই যেনো স্বাভাবিক।
জানালার পাশে অনেক কষ্টে যারা বসেছিলেন, তারা আর না পেরে দাড়িয়ে গেলো। মহিলারা সহ।
তাদের এই দুরঅবস্হা দেখে করিডোর সাইডের লোকজন হাসাহাসি করছিলো। কয়েকজন ঝিম মেরে বসে থাকার চেষ্টা করেও সফল হলো না।
অবস্হা এমন, আর ৫ মিনিট পরে করিডোর সাইডের মানুষকে ও শেষ পর্যন্ত উঠতে হলো। এতে সবার আবার হাসি। সবাই কম বেশি ভিজে গেলো, বাসে ফ্লোরে বন্যার পানির মত পানি জমেছে, এতে মনে হয় সবাই মজাই পাচ্ছিলো।
বৃষ্টি একটু কমে আসলে ১জন চাইলো সিটে বসতে, কিন্তু সিটতো ভেজা। সে হেল্পারকে বলল, একটা গামছা দিতে। সিট মুছবে। তখন দাড়িয়ে থাকা অন্য যাত্রীরা বললো, ভাই একজনের কয়টা গামছা থাকে? ওর গামছাতো মহিলাদের মাথার উপর। একদিন না বসলে আর কি হবে?
শেষ পর্যন্ত ঘটনা দাড়লো, বাসের প্রায় সব সিট খালি, আর সব মানুষ গাদাগাদি করে প্যাসেজে দাড়াল।
নিজ চোখে দেখুন সেটা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।