আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা বাঙালীরা সব ভুলে যাই কেন? আজ সেই বর্বরোচিত পাকুয়াখালীর গণহত্যার দিন..

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক

আজ সেই বর্বরোচিত গণহত্যার দিন ! ১৭ বছর ধরে ফাইলবন্দি পাকুয়াখালীর ৩৫ কাঠুরিয়ার নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার ৯ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম এর ইতিহাসের শোকাবহ এক কালোদিন। ১৯৯৬ সালের এই দিনে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের প্রাক্কালে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীর গহীন অরণ্যে তৎকালীন বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ শান্তি বাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারায় ৩৫ নিরীহ বাঙালী কাঠুরিয়া। সেই থেকে পার্বত্য এলাকার বাঙ্গালীরা এই দিনটিকে পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। হত্যাকান্ডের ১৭ বছর পার হতে চললেও এখনো এর বিচার হয়নি, লাল ফিতায় বন্দি হয়ে রয়েছে মামলার ফাইল। বিচার না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত স্বজনরা।

সেসময়ের আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি দল তৎকালীন সময়ে বিচারের আশ্বাসদিলেও সরকারের মেয়াদ শেষ হতে চললেও বিচারের বাণী যেন নিরবে নিভৃতে কাঁদছে। দিবসটির স্মরণে এবারো রাঙামাটিতে বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করবে বাঙ্গালী সংগঠনগুলো। লংগদু উপজেলায় স্থানীয় বাঙ্গালীরা শহীদদের কবর জিয়ারত, শোক সভা ও দোয়া মাহফিল, কর্মসুচি পালন করবে। রাঙামাটিতে মানবন্ধন , স্মারকলিপি ও আলোচনা সভা করবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদসহ আরো কয়েকটি সংগঠন। ১৯৯৬ সালে এ হত্যাকান্ডের পর প্রতিবাদে উত্তাল #রাঙ্গামাটি তে এসে তৎকালীন সরকারের চার চারজন সিনিয়র মন্ত্রী নিহত কাঠুরিয়াদের লাশ সামনে নিয়ে জনতাকে এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

কথা দিয়েছিলেন যোগ্য ক্ষতিপুরণ দেয়ারও। এরপর অতিক্রান্ত হতেচলেছে প্রায় দেড়যুগেরও বেশী সময়। নিহতদের পরিবার সামান্য কিছু ক্ষতিপুরণ পেলেও তা নিতান্তই কম। সে হত্যাকান্ডের মৃত্যুকূপ থেকেপ্রাণ নিয়ে ফিরে আসা ইউনুস তখনই বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা রুজু করেছিলেন। মামলা হয়েছিল সরকারীভাবেও।

নিহত কাঠুরিয়াদের স্বজনরা হত্যাকান্ডের বিচার না পেয়ে চরম হতাশায় দিনাতিপাত করছেন । মানবেতর জীবন যাপন করছে নিহত কাঠুরিয়াদের পরিবার। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গ্রুপ শান্তিবাহিনী লংগদুর ৩৫ কাঠুরিয়াকে ব্যবসায়িক হিসাবের কথা বলে পাকুয়াখালী নামক গহীন অরণ্যে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তিন দিন কাঠুরিয়াদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে নির্যাতন চালিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর নির্মমভাবে হত্যাকরা হয় ৩৫ জন কাঠুরিয়াকে। এর মধ্যে ইউনুচ নামের একজন কাঠুরিয়া পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।

পরে ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ ও সেনাবাহিনী পাকুয়াখালী হতে ২৮ জন কাঠুরিয়ার ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। বাকি ৬ জন কাঠুরিয়ার লাশ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর পর তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের একটি সংসদীয় টিম লংগদু সফর করে এ ঘটনার সুষ্ট তদন্ত ও দোষিদের বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পূর্নাবসনের আশ্বাস দিয়ে আসে। এর পরবর্তি সরকার গুলোও একই আশ্বাস দিয়ে আসলেও এখনো এঘটনার মামলার কোন কুল কিনারা হয়নি এবং পূর্নবাসিত হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.