আমি সত্যে অবিচল।
মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন আরকিউ-১৭০ -এর বৈশিষ্টই হলো নিয়ন্ত্রনহারা কিম্বা শত্রুর হাতে পরলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ধ্বংস হয়ে যাওয়া। এটা নিয়ে যৃক্তরাষ্ট্রের গর্বের অন্ত ছিল না। কিন্তু ইরান এটাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে এনে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ বিচ্ছিন্ন করে নিরাপদে নামিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ইসরাইলের ড্রোণসহ মোট সাতটা ড্রোণ এখন ইরানের কব্জায়।
ড্রোনটা ফেরৎ পাবার জন্যে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানাতে হয়েছে। কেননা এটা কেবলই একটা সাধারণ গোয়েন্দা বিমান নয়। এর প্রযুক্তি ইরানের হাতে পরায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ইরানে সিআইএ'র চরদের তৎপরতা নস্যাৎ এবং মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন আরকিউ-১৭০ নিরাপদে নামিয়ে আনার মধ্য দিয়ে সিআইএর ভাবমূর্তির ওপর আঘাত পরেছে। ইরানি গোয়েন্দাদের হাতে সিআইএ'র অনুচর আটক হওয়ার মধ্যদিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিতে বেশ ফাটল ধরেছে।
প্রমাণিত হয়েছে যে, গোয়েন্দা শক্তির দিক থেকে ইরানেরও শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের কট্টর মোল্লা দেশ বলে হাজারও গালি মুখে দিলেও, যুক্তরাষ্ট্রকে এসব বিষয় এখন বেশ ভাবনায় ফেলেছে। এর মধ্যে 'বেলায়াত-৯০ নামে' ইরানের নৌবাহিনীর দশ দিনের বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সঙ্গত কারনেই কড়া দৃষ্টি রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।