বাংলাদেশের রাক্ষস রাজনীতিবিধদের মনে প্রানে ঘেন্যা করি। উইকিলিক্স এর বরাত দিয়ে এক নিউজে প্রকাশিত হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাথে মার্কিন দূতাবাসের গোপন বৈঠক হয় ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি। [১] খুব একটা অবাক হলাম না। একাত্তর সালে পাকিস্তান আর্মির গণহত্যায় তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। আর পাকিস্তানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক পাকিস্তানের জন্ম থেকেই বিদ্যমান।
তাই 'বন্ধুর বন্ধু' আমেরিকার সাথে জামায়াতের ইসলামীর নাড়ির টান রয়েছে সেই জন্ম থেকেই। তাই বুশের অবৈধ ইরাক যুদ্ধ থেকে শুরু করে এন্টী-আমেরিকান আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিবাদের দেখা যায়না এই ভণ্ড ইসলামিক দলটিকে।
---------------
আরেকটি কথা না বললেই এখানে নয়। জামায়াতে ইসলামের প্রতিষ্ঠায় হয় কিন্তু ইসলাম থেকে মানুষকে বিচ্যুত করার লক্ষ্যে। জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা করেন পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তথাকথিত মওলানা মওদুদী,যিনি ছিলেন সিআইএর এজেন্ট।
এক সোভিয়েত স্পাই, ভ্যাসিলি নিকোতিচ ১৯৯২ সালে রাশিয়া থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেন লাটভিয়ার মার্কিন দূতাবাসে। সাথে করে নিয়ে আসেন সোভিয়েত সরকারের কিছু গোপন দলিল। যা পরবর্তীতে তিনি ‘দ্য মিত্রোখিন আর্কাইভ এন্ড দ্য সিক্রেট হিষ্ট্রি অব কেজিবি’[২] নামে একটি বই প্রকাশ করেন এবং তার দ্বিতীয় খন্ডে বর্ণিত আছে সোভিয়েত স্পাইরা অনেক আগে থেকেই জানতে পারে যে,
“ধর্মীয় দল জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল আলা মওদুদী ছিলেন সিআইএ’র এজেন্ট। ”
শুধু তাই নয়, করাচীর ‘শিহাব’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এবং জামায়াতের প্রাক্তন আমীর মাওলানা কাউসার নিয়াজী। তিনি জামায়াতে ইসলামী ও মওদুদীর তীব্র সমালোচনা করে এই তথ্য ফাঁস করে দেন যে,
“জামায়াতে ইসলামী আরবের দেশগুলোতে অবস্থিত বিভিন্ন তেল কোম্পানীর কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ সাহায্য লাভ করে আসছে।
” (পূর্ব দেশ, ২৩ ডিসেম্বর ১৯৬৯ ইং)
উল্লেখ্য,মওদুদীর মৃত্যুও ঘটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং মার্কিন অনেক দলিলেও প্রমাণ পাওয়া যায় কোল্ডওয়ারের কারণে রাশিয়ার কমিউনিজম এর উপর অপপ্রচার চালাতে তারা উপমহাদেশের ইসলামী দলগুলোকে নিয়মিত অর্থ সাহায্য দিত।
--------------
চমকের এখানেই শেষ নয়, ইসলামকে অপব্যবহার করে জামায়াতের স্বার্থ সিদ্ধির প্রমাণ পাওয়া যায় হ্যাম্পার নামে একজন বৃটিশ গুপ্তচরের ডায়েরীতে।
কে এই হ্যাম্পার?তা নিয়ে ঘাটতেই বের হয়ে এল আরো অজানা সব লোমহর্ষক তথ্য। সাম্রাজ্যবাদ টিকিয়ে রাখতে হিমসিম খাচ্ছে বৃটিশ সরকার। একে একে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলো জেগে উঠছে বৃটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে।
নিজেদের সাম্রাজ্য ভেঙ্গে টিকিয়ে রাখতে শুরু করে এক গোপন পরিকল্পনা। ইসলামের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করাটাই ছিল তাদের পরিকল্পনা,যাতে মুসলিমরা একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং এই সুযোগে ভুলে থাকে তাদের স্বাধীনতার দাবী।
মিশন সফল করতে মুসলিম বেশে হ্যাম্পার আসেন তুরস্কে। তুরস্কের শায়খ ইফেন্দীর নিকট ছদ্ধবেশী মুসলমান সেজে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ চর্চা করে মুহম্মদ বিন আব্দুল ওহাবের একান্ত বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে পরিগণিত হন এই হ্যাম্পার। পরবর্তীতে হ্যাম্পার জার্মানদের হাতে গ্রেফতার হলে হ্যাম্পারের ডায়েরীর কিছু অংশ জার্মান এবং ফ্রেঞ্চ পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তীতে পুরো ডায়রি নিয়ে 'Confessions of a British Spy and British Enmity Against Islam' [৩]নামে একটি বই প্রকাশিত হয় তুরস্কে।
মওদুদী হল সেই হ্যাম্পারের উস্কে দেওয়া ওহাবী মতবাদের ভারতবর্ষে প্রচলনকারী। উল্লেখ্য,ইতিমধ্যে সৌদি রাজপরিবারের রক্ত মিশে যায় এই মতবাদ।
------------------
তাছাড়া স্বয়ং হিলারী ক্লিনটনও এক ভিডিওতে [http://bit.ly/peLxZ6 ] বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওহাবীদের অর্থ সাহায্য দিয়েছেন নিয়মিত। মওদুদীর এই মতবাদকে ঠাট্টা করে বলা হয় পেট্রো-ইসলাম। কারণ সৌদী আরবের তেলের টাকায় এই মতবাদের প্রচলন হতো বলে।
সৌদি সরকার এই পর্যন্ত এই মতবাদ প্রচলনে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে বলে জানা যায়। [৪]
-------------
সবচেয়ে ভয়ংকর হল ইসলামী ছাত্র সংঘ থেকে নাম পরিবর্তন করে ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠার কিছু পর তৎকালীন ছাত্র শিবিরের সভাপতি রাজাকার আবু তাহের রিয়াদের এক গোপন উৎসের কাছে আরবীতে লেখা এক চিঠির মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি টাকা অর্থ সাহায্য চান। [৫]
-------------
কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয় জামায়াত নেতা এক মার্কিন সিনেটরকে নিয়োগ করেছেন ২৫০ কোটি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পক্ষে জোরদার লবি করার জন্য। [৬] প্রতিটি জামায়াত নেতাই কোন না কোন মধ্যপ্রাচ্যের এনজিও চালান যা দিয়ে হয় তাদের অর্থ সংস্থান। ইসলাম প্রচারের থেকে ক্ষমতা দখলই যে তাদের কাছে বড় তা প্রমাণ পাওয়া যায় ২০০৮ নির্বাচনে যাওয়ার উদ্দেশে তাদের সংবিধান পরিবর্তন করে আল্লাহ-এর আইন বাস্তবায়ন কথাটি বাদ দেওয়া।
এরপরও অনেকের চোখ খুলবেনা। তারপরও তারা এই ভণ্ড স্বাধীনতা বিরোধী,রাজাকার খুনেদের সমর্থন করে যাবে। তাদের জন্য পুরনো একটি হাদীস আবার,
"শেষ জমানায় কিছু প্রতারক সৃষ্টি হবে। তারা ধর্মের নামে দুনিয়া শিকার করবে। তারা মানুষের নিকট নিজেদের সাধুতা প্রকাশ ও মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য ভেড়ার চামড়ার পোশাক পড়বে (মানুষের কল্যাণকারী সাজবে)।
তাদের রসনা হবে চিনির চেয়ে মিষ্টি। কিন্তু তাদের হৃদয় হবে নেকড়ের হৃদয়ের মতো হিংস্র। (তিরমিজী)"
লিংক এখানে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।