আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মর্মাহত বার-বি-কিউ পার্টি এবং আমরা তিন বন্ধু

ধরনীতে কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের অন্যরকম ভাবে। আমি বলবো তারা নিতান্তই বোকার দলে অন্তর্ভূক্ত। আর আমি সেই বোকাদের দলেই থাকতে চাই। ভাইগো কি আর কইতাম দুঃখের কথা। সবার মত আমরাও তো মানুষ।

আমাদেরও ইচ্ছা করে ভালোমন্দ খাইতে। সেই সুবাদে আয়োজনও করলাম বার-বি-কিউ পার্টির। কিন্তু কুনো পার্টিই ঠিক মত করতে পারলাম না। সেই দুঃখের কথাই আজ কমু আপনাগোরে। পার্টি এক তখন ক্লাস টেনে পড়ি।

লাইফের ফার্স্ট বার-বি-কিউ পার্টি। স্বভাবতই আমরা খুবই এক্সসাইটেড। আমি আর আমার ফ্রেন্ড মিরাজ গেলাম মুরগি কিনতে। কিনে নিয়ে আসলাম দুইখানা দেশি মুরগি। ভালোভাবে মশলা মাখিয়ে চিকন লোহার রডে ঢুকিয়ে ইটের চুলায় বসালাম।

নিচে শুকনো কাঠ দিলাম। আসলে মুরগি গুলো যে কয়লার আগুনে পোড়ায় সেটা মাথায় ছিল না। তো কেরোসিন দিয়ে কাঠে আগুন ধরালাম। এক সময় দেখলাম আগুন প্রায় নিভে যাচ্ছে। তখন কাঠের উপর কেরোসিন ঢালতে গিয়ে মুরগির উপরও ঢেলে দিলাম।

ব্যস, মুরগিতেও আগুন ধরে গেলো। আগুন নিভানোর চেস্টায় আমি আর আমার ফ্রেন্ড তখন ব্যস্ত। কিন্তু ততক্ষনে মুরগিগুলো পুরে গেছে। মুরগির উপর পুরো কালো আস্তরন পরে গেছে। সেই মুরগিগুলো বাসায় নিয়ে আসলাম।

আম্মাকে দেখালাম। আম্মা দেখে তো কতক্ষন বোকাঝোকা করলো। তারপর আম্মা মুরগিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফ্রাই করে দিলো। হায় হায় মুরগিগুলা পুইড়া গেলো রে..... পোড়া মুরগি তেলে ভাজার পরবর্তি অবস্থা.... পার্টি দুই পরে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষার পর আরেকটা বার-বি-কিউ আয়োজন করি। এইবার মনে মনে চিন্তা করলাম, পুরাই রিয়েল টাইপ হবে।

নো ফ্রাই, নো ফ্যামিলি। তাই প্লেস হিসেবে বেছে নেই এক বড় ভাইয়ের বাসার ছাদ। কিন্তু প্রবলেম একটাই। সাত তালার উপর পার্টি করতে হবে। কিন্তু বরাবরে মত এবারও কয়লা না কিনে কাঠ কিনলাম।

তার দরুন সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কাঠ পোড়াইয়া কয়লা বানালাম। আগুন ধরাতে একটু সমস্যা হয়েছিল। তারপর মাংস পুড়তে দিলাম। খেতে রাত একটা বেজে গেলো। তবে মাংস একটু কাচা ছিল।

তবে অনেক ক্ষুদার্ত ছিলাম তো তাই প্রবলেম হয় নাই। মশলা মাখার পর... আগুন পুড়িয়ে কয়লা বানানো হচ্ছে.... আহ! কি মধু.... পার্টি তিন কিছুদিন আগে লাস্ট বার-বি-কিউ করা হয়। এইবার আর আগের মত ভুল হয় নাই। কয়লা কিনলাম। তবে এইবার আয়োজন করা হয় এক ফ্রেন্ডের বাসার ছাদে।

তবে এইবার গরুর মাংস দিয়ে। ভাগ্য ভালো বন্ধুর আম্মা মাংস ভালো করে মশলা মাখিয়ে হাফ রান্না করে দিছে। তাই খেতে প্রবলেম হয় নাই। বলতে গেলে এই পার্টির সমস্ত ক্রেডিট ফ্রেন্ডের মায়ের। চুলা প্রস্তুত..... আগুন ধরানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা..... দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে.... এইবার কয়লার তাপে পোড়ানো বাকি... খাওয়া শুরু..... খাওয়া শেষ.... আমার পোস্ট শেষ।

আমি এখন রাতের খাবার খেতে যাব। ভালো থাকবেন। উফ সামুতে ফটো আপলোড করতে এতো ঝামেলা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।