চায়নায় পড়ার জন্য ০১৬৮৪৪৪৩০৮৬, ০০৮৬১৩৭১৯২৭৫০৪৬ www.xueonline.info ঢাকা, ডিসেম্বর ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাকে ‘রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত’ করতে বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
শুক্রবার বিধানসভায় পাস হওয়া এই বিলে দুর্নীতি, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং কাজে ব্যর্থতার দায়ে উপাচার্যকে অপসারণের সুযোগ রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট-কাউন্সিলে (সিনেট-সিন্ডিকেট) শিক্ষার্থী বা সাবেক শিক্ষার্থী প্রতিনিধি থাকার সুযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের রাজনীতি করার সুযোগ থাকছে আগের মতোই।
ভারতের সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতিকে দায়ী করে গত অক্টোবরেই একটি অধ্যাদেশ জারি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
সেই অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করতে আনুষ্ঠানিক বিল এনে বিধানসভায় তা পাস করা হলো শুক্রবার।
অবশ্য বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গে তিন দশকের বাম শাসনে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কমিউনিস্ট দলগুলোর যে প্রভাব তৈরি হয়েছে, তার মূল উৎপাটনই মমতার এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য।
এতোদিন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি অর্থাৎ সিনেট, সিন্ডিকেটে, কোর্ট বা কাউন্সিলের সদস্যের মধ্যে একটি বড় অংশ আসতো ছাত্র-ছাত্রী বা রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে। কিন্তু তাদের প্রায় সবাই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণের পুরো সুযোগ থাকতো ক্ষমতাসীন দলের হাতে।
এই সাবেক শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা এতোদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও মত দিতে পারতেন।
ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শীর্ষ পদে দলীয় লোক নিয়োগও সহজ ছিল।
এই সুযোগ বন্ধে উপাচার্য নিয়োগে তিন সদস্যের সার্চ কমিটি গঠনের বিধান করার পাশাপাশি শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আসার সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়েছে সংশোধিত আইনে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে উপাচার্যের হাতে। এই উপাচার্যকে হতে হবে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা একজন ‘শিক্ষাব্রতী’।
বিধানসভার বিরোধী দল বামফ্রন্ট এ সংক্রান্ত বিলে ৯৮টি সংশোধনীর প্রস্তাব দিলেও সবগুলোই খারিজ হয়ে যায়।
সিনেট বা সিন্ডিকেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের অংশ নেওয়ার সুযোগ বন্ধ করা নিয়েই ছিল তাদের মূল আপত্তি।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘দলতন্ত্র’ থেকে মুক্ত করে ‘উৎকর্ষমুখী’ শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সহায়ক হবে এ আইন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।