মনের মহাজন খুঁজে ফিরি....
একটা প্রশ্ন আমার মনের মধ্যে সব সময় ঘুরপাক খায় আর তা হচ্ছে - রাস্তা আটকিয়ে পুলিশ-আনসারকে বড়লোক করে সরকারের লাভ কি ? আমরা যারা মধ্যবৃত্তের মানুষ তাদের জন্য সব সময় সিএনজি বা কেবে চড়ে কর্মস্থলে যাওয়া বেশ কঠিন। আমরা চাইলে অনেক কারণে লোকাল বাসে চড়তে পারি না। পাই না সিটিং বাস কারণ ঢাকায় সিটিং মানেই চিটিং। আমাদের করণীয় কি তা আমরা জানি না।
আমার বাড়ি লালবাগে।
মগবাজারে আমার অফিস। রিক্সায় চড়ে হয়তো বাংলামটর পর্যন্ত এসে তারপর রাস্তা পার হয়ে আবার রিক্সায় উঠে যেতে হয় মগবাজারে। তাও আবার মগবাজার পর্যন্ত যাওয়া যায় না। তার অনেক আগেই নামতে হয়। এই রুটে না আসলে পল্টন হয়ে কাকরাইল পর্যন্ত এসে তারপর রাস্তা পার হয়ে আবার রিক্সা নিয়ে মগবাজার যাওয়া যায়।
এই যে রাস্তা পারাপার হওয়া বা রিক্সা পরিবর্তন করা অনেক সমস্যা হয়। তারাতারি রিক্সা পাওয়া যায় না। অনেক স্থানে ওভারব্রীজ না থাকায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু কি আর করা আমরা তো এ দেশের আনসার-পুলিশের কাছে আবদ্ধ।
উপরের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় আছে আর তা হচ্ছে ২ থেকে ১০ টাকা দামের ঘুষ দিলে মামারা ছেরেদেন।
অথবা আমার পত্রিকার কাদ দেখালে সামান্য ঝগড়া করে পার পাওয়া যায়। কিন্তু আমি যেখানে আমার প্রেস কার্ড অনেক গুরত্বপূর্ণ কাজেও দেখায়ে তার অপবেবহার করি না সেখানে এসব থার্ড ক্লাস মার্কা আনসার-পুলিশের কাছে আমার সাংবাদিকতার কার্ড দেখিয়ে পার পেতে ইচ্ছা করে না।
তবে এসব আনসার-পুলিশের থেকে আমরা একটা সুবিধা পাই তা হচ্ছে আমাদের খুচরা টাকা না থাকলে তারা ছোট টাকা গুলো বড় করার জন্যা আমদের ভাঙিয়ে দেন। এর থেকে বড় কোন উপকার হয় না।
হয়তো এসব কারণেই ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তার প্রতিবেদনে বলেছেন - ‘দক্ষিণ এশিয়ায় ঘুষে বাংলাদেশ শীর্ষে’ কিন্তু আমাদের সাহারফা বললেন - টিআই প্রতিবেদন ঠিক নয়।
এত কিছুর পরেও আমাদের সাহারাফারা যদি আনসার-পুলিশকে উস্কানি দেন তাহলে আনসার পুলিশরা তো একটু খারাপ হবেনই।
আরেকটি কথা অনেকেই বলেন - আনসার-পুলিশের বেতন কম বলেই তারা ঘুষ খায়। তাদের জন্য বলছি- কম বেতন হলে মানুষ এখানে চাকরি নেওয়ার সময় ঘুষ দিয়ে চাকরি নিতেন না। তাদের আসলে উদ্দেশ্যই অসৎ। তাই তাদের বেতন বাড়লেও কয়লা ধুলে ময়লা যাবে না।
এছাড়া সাহারাফাদের উস্কানি তো আছেই !!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।