কবিতার ছেলে।
রাস্তা তুমি চলেছ একা একা আমার মতন
অনেক মানুষের,
বহুরুপী মানুষের পদধুলি পিঠে নিয়ে।
করেছ তোমার অশ্রুকে বিসর্জন
বুকের মাঝে ঠাঁই দিয়েছ
কত মা হারা শিশুকে
বীরাঙ্গনাকে আর
সবুজ-শ্যামল রাঙ্গা বৃক্ষ তরুলতাকে।
তুমি শিখিয়েছ আমায় মহান হতে -
তোমার কোলে করে পেলেছ
কত সবুজ বা চিরসবুজ তরু।
অনেক্ষণ হেঁটে ক্লান্ত পথিকের
সুশীতল ছায়াতলে অবিরাম বিশ্রাম
সেওতো তোমারই অবদান।
এঁকেবেঁকে চলে গেছো দূর থেকে দুরান্তরে
পাহাড়ের সাথে করেছ মিতালি
আবার কখনো তারই হাতে হাত রেখে
নেমেছ অনেক নিচে -
যেখানে সমুদ্র পেতে রেখেছে তার
বিশাল বালুর ঘর।
সুর্যাস্ত দেখাবে বলে তোমায়।
কখনো বৃষ্টি এলে
গোপনে মিলিয়ে নিয়েছ
তোমার অশ্রুকণা গুলোকে,
অবিরাম বৃষ্টি ধারার সাথে।
জানতেও দাওনি কোনো পথিক কে।
কখনো হয়েছ পীচঢালা কঠিন
আবার কখনো গাঁয়ের পাশ দিয়ে
বয়ে গেছ কুসুম কোমল হয়ে।
স্পর্শ করেছ মানুষকে অনেক কাছ থেকে।
আর গভীর রাতে যখন তোমার কোলে
সোডিয়ামের আলো নেমে এসেছে -
বন্ধুত্ব করতে তোমার সাথে
তখন তুমি মহানন্দে উঠেছ নেচে।
কিন্তু রাত শেষে আবার জ্বলন্ত
সুর্যের ঝাঁঝালো তাপের পানে চেয়ে থেকে -
হাঁপিয়ে গিয়েছ তুমি কত শতবার।
তবুও থামে নি যেন তোমার ঐ অভিমান
অভিমানী সমুদ্রের সাথে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।