দিন শেষে বলি ভালো আছি। গান সিনেমা নাটক নিয়া একটা সময় অনেক গবেষণা করা হয়সে আড্ডার আসরে। তারপর চাকুরি জীবনে প্রবেশ করার পর মিডিয়ার খবর নিজে নেয়া হইতনা। আশ পাশ থেইকে যতটুক কানে আসত ততটুকুই জানতাম। বসের ধাতানি খায়া সারাদিন লৌড়ের উপর থাকতে হয় টিভি দেখার সময় কই? তারমাঝখান থেইকা শুনি যেগুলা খুবই ভালো হইসে, ওইগু্লাই শুধু দেখা হয়।
বায়ু মাধ্যমে জানা গেল খুব ভালো একটা টেলিফিল্ম আসচে নাম "ভালো বাসি তাই", এক্কেবারে ফাটায়া দিসে। রিএল লাভ স্টরি। আমি তখন খুবই ব্যাস্ত। তাই দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া দেশি চ্যানেলের অসাধারন সেই টেলিফিল্ম। বেস কিসুদিন পর যখন YOU TUBE এ টেলিফিল্ম টা দেখি, নায়কের কি অসাধারন স্টাইল ভালবাসার কথা ব্যাক্ত করার।
আমার চোখ থেইকে পানি গালে পরে পরে আরকি, ঠিক তখনেই দেখি পাশেই "keira knightley" এর দাঁত ও মুখের অসামঞ্জস্য মুখটা দেখা যাইতেসে। ভাবলাম একটা ঢুঁ দিয়া আসি। ওমা এত দেখি পুরায় নকল। কোনটা যে কার নকল ধরা যাইতেসেনা। নকলের একটা লিমিট থাকে তাইবইল্যা পুরাডাই!!!
ইংরেজি সিনেমাটার নাম "Love Actually" নিচে লিঙ্ক গুল দেয়া হল
ভালবাসি তাই ১ , ভালবাসি তাই ২
Love Actually 1 , Love Actually 2
তাই আর পরের পর্ব "ভালোবাসি তাই ভালো বেসে যাই" আর দেখার সাহস হয় নাই।
শুধু নাটক না, বসরের সেরা music video আরেফিন রুমির "এক জীবনে এত প্রেম" ভিডিও চিত্র দেখতে গিয়াও একটা খটকা খায়া গেসি। ওইটাও দেখি এক কোরিয়ান music video থেইকা মাইরা দিসে আর পাবলিক সমানে খাইতাসে। বলতাসে "আহারে! কি গায়ক, কি নায়ক, কি সুন্দর পিরিতি!" কিন্তু সেই প্রেমের আসল রুপকার কে, কেউ খোঁজ নিতেসেনা। ভিডিও টার শুরুতে কোণার মধ্যে ছোট্ট কইরা লিখ্যা দিসে "Concept from real love story china". কোন দেশি music video থেইকা মারতাসে সেইটা জানারো প্রয়োজন বোধ করেনাই। লিঙ্ক গুলো নিচে দেয়া হল।
এক জীবনে
A heart touching love story, Korea
আরেফিন রুমি মানুষটার সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন রেষারেষি নাই। বাস্তবে তারে আমি কখনই দেখিনাই। আমার মত সামান্য মানুষ অত বড়ো তারার সাক্ষাত ক্যামনে পাইব। সে নাকি মুখ খুল্লেই কাতারে কাতারে মেয়েরা প্রেমের ঠেলায় শুয়ে পরে। আমার কথা হইল 'তুমি বাবা এতো বড় সঙ্গীতজ্ঞ হইলে নকল করার দরকার কি?' এখনও বাংলাদেশে বিরাট অঙ্কের শ্রোতা আছে যারা হিন্দি অথবা ইংরেজি বুঝেনা তাদের বাংলা সারা উপায় নাই ।
তারা বিনদনের জন্য কোন মারমার কাট কাট আন্তর্জাতিক মানের গান শুনবার চায়নায়। তারা চায় গায়ক যেন বাংলায় সুন্দর কয়রা দুইটা সুর বসায়া চাইরটা লাইন বলে। তাদের কে নিয়া যারা নকল গান নকল ভিডিও দিয়া ব্যাবসা করে তারা কত বড় জোচ্চোর? তার'পর যখন ওয়ার্ল্ড কাপের মত একটা বিষয়ে নকল গান দিয়া theme song বানায় তখন এই মুখ বাঙ্গালিরা কৈ দেখায়। আর যে সংগিতজ্ঞ এই কাজটি করে সে কিভাবে দেশের এক নম্বর তারা হয় তা বুঝা আমার পক্ষে বড়ই মুস্কিল। নিচের ব্লগটি পরলেই বুঝতে পারবেন।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সূচনা সংগীতটি এক তামিল বাজারি গানের নকল
বাংলাদেশে কি মেধাবী সুরকার, গীতিকার, পরিচালকের এতই অভাব যে তামিল, কোরিয়া, উগান্ডা, গুয়েতে মালা ইত্যাদি দেশ থেইকা নকল কইরা আমাদের বিশ্বকাপের সুচণা সংগীত বানাইতে হইব। আর আমরা অর্থাৎ যারা এই সকল নকলবাজদের প্রথমসারির কাতারে তারা বানায়া চোখে ঠুলি পইরা নাচতেসি তারাই বা কতটা বোধহীণ???? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।