ফুলটাইম ক্রুয়েল জোকার, পার্ট টাইম সিরিয়াস
ইংল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং ওয়ালেসের ৪ হাজার ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী গতবছর জিসিএসই এবং এ-লেভেল পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন।
এ কাজে তারা বিভিন্ন প্রযুক্তির অপব্যবহারের মধ্য দিয়েই পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করতে গিয়েছিলেন। এ তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা পরিদর্শকরাই। খবর বিবিসি টেকনোলজির।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পরীক্ষা বিভিন্ন প্রকার নকলে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে মোবাইল ফোন এবং এজাতীয় ক্ষুদ্রাকৃতির প্রযুক্তি পণ্য।
শুধু তাই নয়, নকল সহায়ক বিভিন্ন সরঞ্জামও বিক্রি হচ্ছে ওয়েবসাইটে। এসব পণ্য বিক্রেতাদের প্রধান ল্যই হলো শিক্ষার্থীরা। এসবের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গোপন ইয়ার-পিস যা কানে লাগিয়ে বাইরে থেকে তথ্য গ্রহণ করা যায়। ডিভাইসটি এতোই ছোট যে খুব গভীর দৃষ্টিতে না দেখলে তা ধরাও পড়ে না। বোঝেন ঠ্যালা
এছাড়াও বেশিরভাগ মোবাইলেই ইন্টারনেট সুবিধা থাকায় পরীকরাও পড়েছেন বেশ বিপাকে।
কেননা, শিক্ষার্থীরা সহজেই পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে ইন্টারনেট থেকে তথ্য নামাতে পারছেন। এক্ষেত্রে স্কুলগুলোতে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে বারণ করে পোস্টার সাঁটিয়ে রাখার পরও খুব একটা লাভ হচ্ছে না বলেই জানা গেছে।
বিটলা পোলাপাইন আর কারে কয়।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তবে এসব রুখতেও তৈরি হচ্ছে প্রযুক্তি। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান অসদুপায় অবলম্বনে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ধরার কয়েক ধরনের পণ্য বাজারেও ছেড়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মোবাইল ব্যবহার করে নকল করা ঠেকানো পরীকদের জন্য বেশ একটি কঠিন কাজ। কেননা, পরীক্ষা কেন্দ্র এলাকায় মোবাইলের সিগন্যাল অথবা ইন্টারনেটের সিগন্যাল বন্ধ করে দেয়া হলে আশপাশের অন্যান্য মোবাইলও বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি শিকরাও প্রয়োজনে মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ঠেকাতে বেশ মরিয়া হয়েই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইংল্যান্ড আর আয়ারল্যান্ডের শিক্ষকরা।
এসব সমস্যা বিবেচনা করে ইংল্যান্ড ও আশপাশের দেশগুলো খুব শিগগিরই বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে যাচ্ছে ফলে এই দেশগুলোর স্কুলসমূহে পরীক্ষায় আধুনিক উপায়ে নকল করা ঠেকানো সম্ভব হবে।
বিবিসি জানিয়েছে, মোবিফাই নামের একটি কোম্পানি এমন সব প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলছে, যেগুলো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের টেক্সট মেসেজ, ইমেইল এবং ইন্টারনেটে মোবাইল ব্যবহার করে কী খোঁজা হচ্ছে সেসব তথ্য সনাক্ত করা যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।