. আমি কতটা বিজয় দেখেছি বলতে পারবনা আমি কতটা কাঁন্না শুনেছি বলতে পারবনা, আমি কতটা শোষণ দেখেছি বলতে পারবনা আমি কতটা-দারিদ্র দেখেছি তাও বলতে পারবনা, শুধু বলতে পারি আমি হতাশ হইনি বাঙালি হতাশ হতে জানেনা; বাঙালি জানে, শোষকের হাতিয়ার কিভাবে ছিনিয়ে নিতে হয়! বাঙালি জানে মুক্তির মন্ত্র সংগ্রামে সংগ্রামে উজ্জ্বল হাতে-শহীদ হতে বাঙালি জানে বিজয়ের মালা পড়তে; আমি হতাশ হইনি আমি হতাশ হতে পারিনা, এখানে এই-মাটিতে আমার রক্ত বইছে জন্মান্তরে, যতকাল বাঁচি-যতকাল স্বপ্ন দেখি ততকাল মনে রেখ আমি হতাশ হইনি, আমি হতাশ হতে পারিনা। আমার বাংলাদেশ-শহীদের মঞ্চ তারা উর্বর ক্ষান্ত-তারা চেতনার দৃশ্যে বাঙালি আর নাগরিক বিশ্বে বাংলাদেশি; তারা জানে একতায় গড়তে ভালবাসা মেখে সম্প্রীতি রেখে একপথে চলতে, আমি হতাশ হইনি আমি হতাশ হতে পারিনা। এই স্বাধীনতা যুগ যুগ পেরুবে- শতাব্দীর দৃশ্যে উজ্জ্বল হবে, হয়তো সেদিন থাকবনা সেদিন অগ্রগামী প্রজন্ম আমাকে স্মরণ করবে, তারা বলবে- তারা হতাশ হয়নি, বাঙালি হতাশ-হতে পারেনা বাঙালি স্বপ্ন দেখে নতুনের, যৌবনে সাহস-আর অসীম ভাবনায় বুক ফুলিয়ে চলে প্রগতির পথে; বাঙালি লালন করে মুক্তচিন্তা লালন করে ভাষার চেতনা লালন করে এই মুক্তিযুদ্ধ -মুক্তির ইতিহাস, বাঙালি কাউকে-ভয় পায়না, বাঙালি হতাশ হতে পারেনা। লেখক: কে. এম. ওমর ফারুক, ১৬ ডিসেম্বর,২০১১- কাটাখালি, রাজশাহী। বি.দ্র. এ কবিতায় ‘আমি বলতে একজন বাঙালি’, ‘আমাকে বলতে বাঙালির অধিকার সংগ্রামে নিবেদিত ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের’ এবং ‘আমার বলতে বাংলার স্বাধীনতাকামী মানুষের’ বোঝানো হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।