আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রিস্টোফার হিচেন্স: যার সম্মন্ধে সবারই এই জিনিষগুলাও জানোন দর্কার

Sufficit huic tumulus, cui non sufficeret orbis বর্তমান বিশ্বের অ্যাথিস্ট কমিউনিটির কথা কৈতে গেলে এক্দম প্রথম দিকেই যাগো নাম আহে তাগো অন্যতম হৈলেন ক্রিস্টোফার হিচেন্স। হিচেন্স সাহেব গত বৃহস্পতিবার খাদ্যনালিতে ক্যান্সার রোগের কারণে মারা গেসেন। এক্জন ভালো বক্তা,ভালো রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সর্বোপরি পৃথিবীব্যাপী ভোকাল অ্যাথিস্টদের অন্যতম হিসবে পরিচিত যিনি অবশ্য নিজেরে "বিরুদ্ধবাদী ও প্রাবন্ধিক" হিসবেই পরিচয় দিতেন। "কেউ যদি জনসম্মুখে ভালো বক্তিতা দিতারে অথবা মঞ্চে যদি একটা ভালো ইম্প্রেসন তৈরা কর্তারে তাইলে তারে এক্লা এক্লা খাওয়া-দাওয়া বা ঘুমান লাগব না" উনি এমনি ধারণা কর্তেন। যাইহোউক হিচেন্স সাহেব সম্মন্ধে সবারই কিছু বিষয় জানোন দর্কার সেইটা উনারে যারা আদর্শ বা গুরু মানেন অথবা যারা উনারে অপছন্দ করেন উভয়েরী,আমি এইখানে উনার জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুইল্লা ধর্লাম ►Hitchens সাহেব খাদ্যনালীর ক্যান্সার রোগী আসিলেন এইটাতো আগেই বল্সি,এর লিগা উনি নিজেই অবশ্য উনার মাত্রাতিক্ত মদ্যপান আর ধুম্পানরে দায়ী কর্সেন।

এই নিয়া ব্রিটিশ জার্নালিস্ট Nicholas Shakespeare এক্টা কথা বল্সেন সেইটা এইরকম যে Hitchens সাহবের বলা প্রথম কোনো পূর্ণ বাক্য হইলো, "Let's all go and have a drink at the pub"। ►Hitchens সাহেবের বাবা রয়াল নেভির কমান্ডার আছিলেন ২য বিশ্বযুদ্ধের সময়। উনার মা জিউইশ আছিলেন যদিও উনি এইডা কখনও প্রকাশ করেন নাই, Hitchens সাহেব প্রথম বারের মত জান্তারেন যখন উনার মা আর তার নতুন বয়ফ্রেন্ড একলগে ১৯৭৩ সালে গ্রীসে একটা হোটেল রুমে আত্মহত্যা করেন তার্পর। এইডা সম্পর্কে উনি বলেন যে,এই কথাডা জানার পর প্রথমে উনি প্রীত একই সাথে কৌতুহলী হইলেও এইরকম এক্টা দূর্বল কিন্তু সুনির্দিষ্ট ধারণা উনি অনেক আগে থিকাই কৈরা আস্তাছিলেন। ►Hitchens সাহেবের একমাত্র ভাই Peter যৌবনকালে ইনিও এক্জন তুখোড় সোসালিস্ট ও অ্যাথিস্ট আছিলেন।

কিন্তু পরবর্তিতে ইনি এক্দম রক্ষনশীল ক্রিশ্চিয়ান জার্নালিস্টে পরিনত হন আর উনার আগের চিন্তাধারা ও মতাদর্শরে আখ্যায়িত করেন "Poison" হিসাবে। এই Peter সাহেবের সাথে Hitchens সাহেবের সম্পর্ক আছিলো অত্যন্ত খারাপ! ►Hitchens সাহেব কেমন স্বভাবের আছিলেন এইটা বল্তে গিয়া উনার দোস্ত লেখক Martin Amis ২০১১ সালে "London Guardian" বল্সেন " Hitchens আস্লে এমন ধরনের যে, কোনো ব্যক্তি বা কোনো জিনিসের প্রতি তার আপ্নাআপ্নি কোনো ধরনের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নাই "। ►Hitchens সাহেব নিজেরে "বাইসেক্সুয়াল" দাবি করেন,হোমোসেক্সুয়ালিটিতে উনার হাতেখড়ি হয় উনি যখন ৮ বসর বয়সে বোর্ডিং স্কুলে যান তার্পর। এইটা নিয়া উনি এক্টা মজার তথ্য দিসেন তা হইলো,ওই বয়সে উনি খেলাধুলার প্রতি কোনরূপ আকর্ষণ অনুভব কর্তেন না উপরন্তু লাইব্রেরিতে সময় কাটানো আর মেইল পার্টনারগো লগে সেক্সের মাধম্যে স্বান্তনা পাইতেন। ►Hitchens সাহেব যৌবনকালে কড়া আম্রিকা বিদ্বেষী আছিলেন,বিশেষ কৈরা ভিতেয়্নাম যুদ্ধের সময়।

কিন্তু ১৯৮১ সালে সেই তিনি যাবতীয় আম্রিকা বিদ্বেষ ভুইলা গিয়া আম্রিকায় পাড়ি জমায়া "The Nation" পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন এবং পরবর্তিতে আম্রিকার নাগরিকত্বও নেন। ►Hitchens সাহেব যখন উনার প্রথম বৌ Eleni Meleagrou এর লগে উনাগো দ্বিতীয় বাচ্চা "সোফিয়া" এর আগমন প্রত্যাশী ঠিক ওই সময় এক্জন ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্টের লগে উনার সম্পর্ক গৈরা উঠে এবং উনার প্রেগন্যান্ট বৌরে ওই অবস্থায় ফালায়াই চৈলা যান! পরবর্তিতে Carol Blue নামের ওই মহিলারে উনি বিয়াও করেন। ►Hitchens সাহেব ভিয়েতনাম যুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করলেও আম্রিকার ইরাক যুদ্ধে প্রবল সমর্থন দেন,ফলশ্রুতিতে "The Nation" পত্রিকা উনারে ছাড়তে হয়। উনার এই কামরে উনার এক্কালের সহযোগী বর্ণনা করেন এইভাবে"প্রথম বারের এমন রূপান্তরের ঘটনা যার মাধ্যমে কোনো প্রজাপতি আবার গিয়া স্লাগে(গাছের পোকা দেখতে শামুকের মত কিন্তু খোলস নাই) পরিনত হৈসে"। উনার আরেক সহযোগী "New Left Review" এর এডিটর Tariq Ali বল্সেন "এর মাধ্যমে আমি যে Hitchens রে চিন্তাম সে হারায়া গিয়া তার জায়গায় তার এক্টা লজ্জাজনক প্রতিমূর্তিরেই দেখ্তাসি"।

►Hitchens সাহেব সারাজীবনই উনার প্রচুর কাছের বন্ধুরে দূরে ঠেইলা দিসেন বা তাগো লগে খারাপ এক্টা সম্পর্ক তৈরী কর্সেন। যাগো মধ্যে সাহিত্যিক Gore Vidal এবং Saul Bellow অন্যতম,পরেরজন আবার Hitchens সম্পর্কে বল্তে গিয়া বল্সেন "চতুর্থ শ্রেনীর প্লেবয় যে সবসময় বিতর্ক তৈরির লিগা মুখায়া আছে"। ►Hitchens সাহেবের মতে মেয়েরা ছেলেগো তুলনায় কম হাসি-ঠাট্টা প্রিয় যেই কারনে উনারে ফিমেল কমিক্স এর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হৈসিলো। ►Salman Rushdie উনার কাছের বন্ধুদের অন্যতম আছিলো,যদিও Rushdie এর লগে উনার একবার শীতল সম্পর্ক দেখা দেয় যহন Rushdie "Why I have Embraced Islam" এইটা লেখে। ▶ক্যান্সার ধরা পরার পর উনারে উনার দোস্ত বিখ্যাত ক্রিশ্চিয়ান জিনেটিসিস্ট Dr.Francis Collins চিকিত্সা হিসাবে তার এক্সপেরিমেন্টাল অ্যাপ্রোচ চেষ্ঠা করার লিগা উত্সাহ দেন।

এই লোকের সাথেই Hitchens সাহেব একদা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়া ডিবেটে অংশ নিছিলেন। ▶কয়েকজন ব্যক্তিরে নিয়া Hitchens সাহেবের মন্তব্য ■মাদার তেরেসা উনার মতে ফ্রড ■ অ্যাথিস্টরা যৌনতার ব্যাপারে উদার মনষ্ক হইলেও লিউনিস্কি ঘটনায় তিনি আবার উনার একসময়ের কাছের মানুষ ক্লিন্টনরে রেপিস্ট আখ্যায়িত কর্সেন ■New Statesman পত্রিকায় এক্টা লেখাতে উনি মার্গারেট থেচাররে সেক্সি বৈলা পরে কনজার্ভেটিভ পার্টির সাপোর্টাগো তুপের মুখে পর্সিলেন ■ইরাক যুদ্ধে সমর্থন না দেওনে নোয়ান চমস্কিসহ অন্যান্য লিবারালগো তিনি অবজ্ঞাসহকারে একহাত নিছিলেন ■হেন্রি কিসিঞ্জাররে ওয়ার ক্রিমিনাল বল্সিলেন এতোক্ষণ যা কৈলাম এইগুলা আমার কথা না,এমনকি আমারদেশ,নয়াদিগন্ত বা সংগ্রাম টাইপের কোনো পত্রিকার খবরও না। Hitchens সাহেব মারা যাওনের একদিন পরে Globe and Mail এবং Citizen নামের দুইটা আন্তরজাতিক পত্রিকায়( বিষয়বস্তু প্রায় একই রকম) উনারে নিয়া মোট প্রায় ৩ পাতা জুইড়া মোটামোটি এইসবই লেখা হৈসে। আমি আশাবাদী ছিলাম হয়ত পজেটিভ অনেক কিছু পামু কিন্তু ভালো বক্তা,ভালো রাজনৈতিক বিশ্লেষক,বাকস্বাধীনতার(পড়েন ধর্ম সমালোচনা )আন্দোলনকারী,মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লেখা চালায়া যাওয়ার মানষিকতা,সর্বশেষ এক্টা বেস্ট সেলার বই আর কিছু শোকবার্তা এইগুলা ছাড়া তেমন কোনো পজেটিভ খবরই নাই,আশ্চর্য ! দুনিয়ার অ্যাথিস্টগো কাছে যার আসন অন্য উচ্চতায় মৃত্যুর পর তারে নিয়া লেখা আর্টিকেলগুলাতে নেতিবাচক খবরের ছড়াছড়ি এবং ভালো কিছু হারিকেন দিয়া খুইজা বাইর কর্তে হয় তাও আবার আন্তর্জাতিক পত্রিকায়,তাইলে আর কি কমু! এইবার আমার কিছু কথা কৈ ▮যেই লোক তার বৌরে পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় ফালায়া অবলীলায় অন্য মহিলার সাথে চৈলা যাইতে পারেন তার কাছ থিকা কি নৈতিকতার শিক্ষা নেয়ন যায়? এই একই লোক কিভাবে নারীর অধিকার নিয়া কথা বলার সাহস রাখেন? ▮এক্টা লোক যদি এত গভীরভাবে পানাসক্ত থাকেন তবে তার কাছ থিকা কি নৈতিকতা,মানবতার শিক্ষা আশা করণ যায়? ▮যেই লোক নিজেরে বাইসেক্সুয়াল দাবি করেন এবং যার কাছে খেলাধুলার চাইতে মেইল পার্টনারগো লগে সেক্স অধিকতর আকর্ষনীয় মনে হয় সেই লোক হোমোসেক্সুয়ালিটির অধিকার নিয়া কথা বল্বেন নাতো কে বলব? ▮যেই লোকের সাথে তার আপন ভাইয়ের সম্পর্ক নাই,কাছের কোনো বন্ধুরাও বেশিদিন টিকেন না সেই লোকের কাছ থিকা একগুয়েমি,উগ্রতা,অসামাজিকতা ছাড়া আর কি শিক্ষা পাওন যায়? ▮যেই লোক আম্রিকারে গালি দিয়া আবার সেইখানেই ভিটা গড়েন,একবার ভিয়েতমান যুদ্ধের সমালোচনা করেন আবার স্বমতাদর্শের লোকদের বিপক্ষে অবস্থান বিয়া ইরাক যুদ্ধের সমর্থন করেন এমনকি অন্য যারা সমর্থন করেন নাই তাগো ভত্সনাও করেন ওই লোকের কাছ থিকা মানবতা,নৈতিকতার কি শিক্ষা নেয়ন যায়? বি.দ্র.Hitchens সাহেবের পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য করণ যাইবো কিন্তু গালাগালি কর্লে সেইটা যেই পক্ষই হউক আমি পরে কমেন্ট মুইছা এডিট কৈরা দিমু। তাই গালাগালি না করনের লিগা অনুরোধ করা হইলো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।