আনন্দবতী মেয়ে আমি হাওয়ায় উড়াই চুল,চোখের ভেতর ছলাৎ ছলাৎ মনের ভেতর নীল ঘাসফুল “রবীন্দ্রনাথ তোমাকে তোমারই শব্দে সাজানোর বৃথা চেষ্টা করলাম…” এক – কোনো উপমাই বাকী রাখোনি তাই ফোঁটেনা উপমার কোনো ফুল আমি নিত্য-নতূন একেকটি শব্দ সাজিয়ে দেখি সেই সকল শব্দে কিংবা বাক্যে তোমারই আনাগোণা আমার খুব রাগ হয় আবার গোপন অভিমান কতো চেষ্টা করেছি তোমার স্পর্শহীন উপমার ফুল দিয়ে একটি অনুভূতি বৃক্ষের জন্ম দিতে স্থির আকাশের নীল থেকে , গহীন অরণ্যের চঞ্চল সবুজ পাতা ; শব্দ আর অলঙ্কারে সেজে হয়ে যায় রূপসী রমণী আমার সুপ্ত ইচ্ছে অতল সাধ সবটুকুন দিয়েও কিছুই নতূন হয়ে ওঠেনা কেন , একটি উপমা কি রাখা যেতোনা আমার জন্যে ? দুই - রবীন্দ্রনাথ আজ তোমাকে কিছু বলবো । অনেক লোভী আমি প্রেমের , আদরের বড্ড হিংসুটেও । কিন্তু , কখনো যদি ওর ঠোঁটে আমি ছাড়া আর কারো নাম শুনি ভেতরে ভেতরে আগ্নেয়গিরি ফুঁসতে থাকে উথলে ওঠে লাভা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে নিজেকেই একাকার করে দেই খুব খারাপ ভাবছো আমাকে ? হুম , সেও ভাবে জানো , তোমার লেখা পড়ি আর ভাবি ; ইস যদি কাদম্বরী দেবী হোতাম ! আচ্ছা বলবে আমায় , কি ছিলো ওর মাঝে ? এতো কিছু যে লিখছি , এর পেছনে কিন্তু স্বার্থও আছে ওহ আমি আবার বড়োই স্বার্থপর । তুমি আমার সব কেড়ে নিয়েছো শব্দ-বাক্য-উপমা-অলঙ্কার থেকে শুরু করে চোখের নোণা জল-নিঃসঙ্গতা কিচ্ছু নেই আমার কি পেলে বলো তো এসব করে ? এন্টিগোনিশ , কানাডা ২৩ সেপ্টেম্বর , ২০১১ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।