খালেদ মাহমুদ ইমরানঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটি হয়েছিল নাকি ৩০ বছর আগে…!! এমনটিই লিখেছে পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা দি ডন। গতকাল বুধবার দেশটির সবচেয়ে বেশি প্রচারিত দৈনিকটি তাদের “মতামত” কলামে এ কথা প্রকাশ করেছে।
পত্রিকাটিতে কলামিষ্ট মিহির আলী “দ্য সেকন্ড পার্টিশন” শিরোনামের কলামের শুরুতেই লিখেছে …“It is deeply unfortunate that the trials of alleged war criminals in Bangladesh, 30 years after the war of liberation, have been mired in controversy. There are two levels at which this has occurred.”
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর উদযাপন এ পাকিস্তান ভালোভাবে নিচ্ছে না এ তাদের পত্রিকাটির এ অনুচ্ছেদে কলমের এক খোচায় ১৯৭১ কে ১৯৮১ বানিয়ে নিঃসন্দেহে সেকথাই মনে করিয়ে দিল।
এই ৩০ বছর আগে যুদ্ধ হবার কথাটি একবার না বেশ কয়েকবার বলেছেন ওই কলামিস্ট।
“The strategy of eliminating as much as possible of the intelligentsia was maintained until the end — the final massacres were undertaken just a couple of days before the surrender of the Pakistani forces 30 years ago this week”.
পাকিস্তানীদের পরাজয়ের সেই স্মৃতি “দি ডন” এর মতো পত্রিকাকেও হাস্যকর বানিয়ে দিল।
এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নাই। ভাড়াটে এক কলামিষ্টের এমন একটা ভুল সম্পাদনা পরিষদের দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে তা একটা বাচ্চা ছেলেও বিশ্বাস করবে না।
সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগকেও বিতর্কিত ইস্যু বলে উল্লেখ করেছেন ওই কলামিষ্ট। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়াকে সরকারের রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি তার কলামে লিখেছেন “On the one hand, there is the charge that the court proceedings are motivated by partisan political considerations, with those in the dock being members or allies of the opposition Bangladesh Nationalist Party and its allies”.
মিহির আলী নামের ওই কলামিষ্ট বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে “দ্য সেকেন্ড পার্টিশন” নামের কলামটি কেন লিখেছেন এবং তার লেখায় এমন একটা বড় ধরনের ভুল (যদি সত্যিই তিনি ভুল করে থাকেন) “দি ডন” এর মতো প্রভাবশালী পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদের চোখ এড়িয়ে গেল কেন তা বোঝার জন্য নিঃসন্দেহে আমাদের নাসার বিজ্ঞানী হবার দরকার নেই।
তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান একসময় তাদের কাছে সোনার ডিমপাড়া রাজাহাস ছিল। একাত্তরে সেই রাজহংসটিকে হারানোর শোক তারা এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন এটাই যেন আবার প্রমান করলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।