অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রকাশনা বন্ধ থাকিবে.। শুধুই বাণিজ্য নয়, তাঁরা চান ঘরে ঘরে সঠিক আকার ও রঙের পতাকাটি পৌঁছে দিতে। টাকা উপার্জনের পাশাপাশি এতেই আলাদা সুখ তাঁদের। এই ডিসেম্বরে বিজয় দিবসকে সামনে রেখে একদল ব্যবসায়ী এক সপ্তাহের জন্য পতাকা বিক্রিতে নেমেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন সড়কে হেঁটে হেঁটে দুই-তিন দিন ধরে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত একদল ব্যবসায়ী জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন।
যানবাহন ও মানুষের ভিড়ের মধ্যে হঠাত্ করেই চোখে পড়ে—কাঁধে ঝুলানো বাঁশে নানা আকৃতির পতাকা নিয়ে তাঁরা পথ চলছেন। সবুজ ও লাল রঙের পতাকার স্রোত দেখে অনেক পথচারীই থমকে দাঁড়ান। নিজের পছন্দের আকারের পতাকাটি কিনে নেন। শহরের কোর্ট রোডে এ রকম একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পতাকা কেনার সময় মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইফফাত আরা নীপা বলেন, ‘অন্য সময় মুক্তিযুদ্ধ বা দেশের কথা হয়তো আমাদের অনেকের আলাদাভাবে মনে পড়ে না। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস বা শহীদ দিবসগুলো আমাদের আগের প্রজন্মের সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা মনে করিয়ে দেয়।
অনেক সময়ই পতাকার আকার ও রঙ ঠিক থাকে না। সঠিক আকার ও রঙের জন্য আমি তাঁদের কাছ থেকে পতাকা কিনছি। ’ এ রকম আরও অনেকেই সঠিক আকার ও রঙের পতাকা পেতে তাঁদের কাছ থেকে পতাকা কিনছেন। কেউ বাসা, কেউ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আবার কেউ বা গাড়িতে লাগানোর জন্য পতাকা কিনছেন। এর মধ্যেই শহরে চলাচলকারী অনেক ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা ও গাড়িতে ছোট আকারের পতাকা উড়তে দেখা গেছে।
পতাকা বিক্রেতাদের একজন জামাল মিয়া (২৪)। আজ রোববার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ছয় দিনের ব্যবসা করি। এই শুরু করছি। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত করব। তারপর অন্য ব্যবসায় চলে যাব।
তবে এই ব্যবসাটায় আলাদা সুখ আছে। কিছু লাভও হলো আবার সবার হাতে দেশের পতাকাটা তুলে দিতে পারলাম। ’
জামাল মিয়ার বাড়ি মাদারীপুর। থাকেন ঢাকায়। শুধু এই ডিসেম্বর মাসে পতাকা বিক্রির জন্য মৌলভীবাজারে গেছেন।
আলাপ করে জানা গেছে, তিনি একা নন, এ রকম প্রায় ২০ থেকে ২৪ জনের একটি দল মৌলভীবাজারের পথে পথে হেঁটে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছে। বিক্রেতাদের কাছে ছয় আকারের পতাকা রয়েছে। দামও আকার অনুযায়ী—৬০, ৩২, ২২, ১২, ৬ ও ৪ টাকা। প্রতিদিন তাঁদের প্রত্যেকের বিক্রি এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকার মতো
© প্রথমআলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।