সুস্থ সুন্দর জীবনযাপন করতে চাই । ভাসতে চাই অনাবিল সুখে । আমাদের সমাজের ভিতরে-বাইরে, চিপায়-চাপায়,অলিতে- গলিতে লুকিয়ে আছেন হরেক রকম কবি । কেউ আতেল কেউ মতেল কেউ সিরিয়াস কেউ খেয়েছেন বাঁশ কেউ লুল কেউ ফুল কেউ ভুল কেউ চক্ষুশূল । সেই সব কবিদের কবিতা আজ একটি লেখায় আনার চেষ্টা করলাম ।
কবিদের তালিকাটা বড়ই লম্বা । বাংলায় কাকের থেকে কবির সংখ্যা বেশি কিনা ! তাই কবিতা বাছাই করতে আমার বহু সময় নষ্ট হল । সে যাকগে ! সাহিত্যের জন্য একটু সময় নষ্ট করলাম এ আর তেমন কি ?
শুরুতেই এমন এক কবির কবিতা দিয়ে শুরু করছি যিনি কবিতার শুরুতেই বলেছেন তিনি বহু বছর ধরে বাঁশ খাচ্ছেন । যিনি বহু বছর ধরে বাঁশ খান তাকে অবশ্যই সামনের কাতারে রাখা যায় । এমনকি প্রথমের তালিকায়ও।
বাঁশ খাওয়ার কবিতা ঃ বাঁশ খাওয়ার গান ( শুনতে চাচ্ছি কবিতা কবি ব্যাটা বলে ‘গান’ । )
আমি বহু বছর ধরে খাচ্ছি বাঁশ/ মোটেও নই হাসফাঁস /পাকা বাঁশ বাড়ি দিলে করে ঠাঁশ ঠাঁশ/আহ কি মজার বাতাস । (বাতাস কোথা থেকে এলোরে মুমিন,মাথার উপর দিয়ে গেল । )
লুল কবিতাঃ একটা একটা পাখি কমে যায়
প্রতিদিন বিয়ে হয় /আর প্রতিদিন একটা একটা পাখি কমে যায়/ পাখি শিকারী পাখির শিকারের সুযোগ হারায়/ হায় আফসোস হায় !
(কবি সাহেব মেয়েদেরকে পাখি বলেছেন, বুঝলুম । )
আতেল কবিতাঃ আকাশে চাঁদ এবং সূর্য উঠেছে
তাকাও আকাশের দিকে তাকাও /আকাশে চাঁদ এবং সূর্য উঠেছে /এ যেন চাঁদ, সূর্যের ঈদের দিন এসেছে / দাম হাঁকাও তোমরা দাম হাঁকা ।
(কার দাম ? কবি ব্যাটাই জানে )
মতেল কবিতাঃহাটি হাটি পা পা
হাটি হাটি পা পা /হাটে মেয়ে রুপা /আমি খেলাম লালপানি/রুপার পরেছে জামদানী ।
(লালপানি কোন দিন দেখিনি । এটা খায় না মাথায় দেয় ?)
ভূল কবিতা ফুল কবিতা ঃ আমি দেখেছি ভূলে
তুমি দাড় টানো মাস্তুলে /আমি দেখেছি ভূলে/নৌকার পাটাতন তুলে/ ভরে আছে ভেতরটা ফুলে ফুলে ।
(কবি ব্যাটা অলস বলে মনে হয় । আরেকজনকে মাস্তলে লাগিয়ে দিয়ে নিজে নৌকার পাটাতন তুলে বেহুদা কাজ করে ।
)
চক্ষুশূল কবিতাঃ বস আমার চক্ষুশূল
বস আমার চক্ষুশূল / বস যত শনির মূল /আমিই মনে হয় আবুল / নয়তো হতাম না বসের জন্য ব্যাকুল ।
(আহা চুক চুক । এই কবিতার কবি একজন শিক্ষিত চাকরিজীবী লোক বুঝাই যাচ্ছে । )
খেলাধুলার কবিতাঃ এখান থেকে মারলাম ক্লিক (এটা ফুটবল ক্লিক , মাউসের ক্লিক না )
এখান থেকে মারলাম ক্লিক / ফুটবল গেল জালে / না গোল হল না /আমি পড়েছি ফাউলে ।
(আহারে এক কষ্ট করে গোল দিল কবি বেচারা সেটাই বাতিল করল রেফারি ফাউলের কারনে ।
নেক্সট টাইম আবার হবে আশা করি । ফুটবল খেলোয়াড় এই কবির জন্য শুভকামনা । )
ফাঁকিবাজী কবিতাঃ পড়াশোনার গুষ্টি কিলাই (পড়াশোনার গুষ্টির লোক কারা আছেন সাবধান )
পড়াশোনার গুষ্টি কিলাই / ভালো লাগে না ছাতার মাথা /স্কুলে যেতে যেতে ব্যাথা লাগে পায়ের পাতা /আমি আর নাই ।
(এক ফাঁকিবাজ কবির কবিতা এটা । কবি প্রতিদিনই স্কুলে যেতে যেতে ক্লান্ত থুক্কু রাগান্বিত হয়ে এই কবিতাখানা রচনা করেছেন ।
)
ঘুমকাতুরে কবিতাঃ ঘুম পায়;ঘুম পায়
ঘুম পায়রে, ঘুম পায় /আছি অফিসে / হায় হায় / এখন উপায় ?
(এই কবিও চাকরিজীবী দেখা যাচ্ছে । তবে অলস এই কবিও )
ভয়াবহ সিরিয়াস কবিতা ঃকে কোথায় চলে যায়,হিক্কা উঠে দুপুরে
কে কোথায় চলে যায়, হিক্কা উঠে দুপুরে/হাচি এসেছে, হেইচ্চো হেইচ্চো আরো জোরে/উপরে উঠছে সব উপরে/আরে ! আরে !! ছন্দ মিলাতে হবে তো, আরে !
একটি হঠাৎ দুঃখসংবাদ
লেখাটি তৈরী করছি যখন তখন আমার একজন শুভাকাংখী আমাকে ফোন করে বলল কবিতা লেখায় স্থান না পাওয়ায় কয়েকজন কবি মিলে জোট হয়ে আমার পিঠের চামড়া তুলে নিতে আসছেন । তাই আপাতত আর আজকের লেখায় কবিতা দেওয়া সম্ভব নয় ।
যদি পিঠের চামড়া জায়গামত থাকে তবে আজ-কাল হোক বা আগামী মাসে হোক যেসময়ই সময় পাই কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো । থাকবে হরেক রকম কবির হরেক রকম কবিতা ।
একটু ধৈর্য ধরুন জনাব/জনাবা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।