সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক নির্দেশিত ইন্টেলিজেন্স কর্তক মন্ত্রীদের পারফরমেন্সের রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে । যেখানে ১৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পারফরম্যান্স নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলা হয়েছে এবং মন্তব্য করা হয়েছে ।
বর্তমান বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খান , স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন এবং প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু সম্পর্কে রয়েছে নেতিবাচক মনত্মব্য । এছারা আরো যারা আছেন
সৈয়দ আবুল হোসেন :
**প্রায় সকল গণমাধ্যমের প্রতিবেদন নেতিবাচক প্রতিবেদন ও সেই সঙ্গে এই গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সমপ্রতি যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সৈয়দ আবুল হোসেনকে । যোগাযোগ খাতের বড় বড় ঠিকাদারি কাজে হসত্মক্ষেপ
** আর একের পর এক চীনা কোম্পানীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা ।
** এবার মন্ত্রীর হওয়ার পর নির্বাচনী এলাকার জনগনের সঙ্গে তার আগের মতো সংযোগ নেই ।
আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ঃ
প্রাণী সম্পদ মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা তার মন্ত্রনালয় সংক্রানত্ম বিভিন্ন সরবরাহ, ঠিকাদারি কর্মকান্ডে জড়িয়ে রয়েছেন যা মোটামুটি প্রকাশ্য। পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়েও মন্ত্রী সাধারণ মানুষের আস্থা হারাচ্ছেন। সর্বশেষ নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে জয়ী হওয়া এই মন্ত্রীর নির্বাচনী ভবিষ্যত অন্ধকার ।
একাধিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে নির্বাচনী এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে ।
স্ত্রী আশানুর বিশ্বাসকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে গিয়ে মন্ত্রীর লোকজন যেভাবে প্রভাব ও পেশিশক্তি ব্যবহার করেছে তা ভবিষ্যতে খারাপ ফল দেবে। পাশাপাশি গত উপজেলা নির্বাচনেও নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রশাসনিক শক্তির ব্যবহার আর এরপর থেকে তার এক পুত্রের বল প্রয়োগের রাজনীতি লতিফ বিশ্বাসের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে
ভূমি প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা ঃ
ভালো মানুষ কিন্তু মন্ত্রী হিসেবে অসফল । মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল দেখা ও স্বাক্ষর করার ক্ষেত্রে এই মন্ত্রী যেভাবে ছেলের সাহায্য নেন তা শুধু দৃষ্টিকটুই নয়, শপথ ভঙ্গের শামিলও বটে। প্রসঙ্গত. মন্ত্রী পুত্র সালেহীন রেজা সচিবালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে বসে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল দেখেন। যা মোটামুটি প্রকাশ্যই।
এদিকে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নির্বাচনী এলাকায় কম সময় দেওয়ায় রেজাউল করিম হীরা গনমুখী চরিত্র হারাচ্ছেন ।
মির্জা আজম ঃ[/su
** প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার হুইপ মির্জা আজমের সঙ্গে এলাকার জনসাধারনের সম্পর্কের বাধন অনেকটাই আলগা হয়ে যাচ্ছে
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, বিলাসী জীবন-যাপনে মনোযোগী হওয়ায় এক সময়ের জনপ্রিয় এই নেতার নির্বাচনী ভবিষ্যতও প্রশ্নে মুখে ।
গত পৌরসভা নির্বাচনে এই হুইপের আত্মীয়ের পরাজিত হওয়াকে ইঙ্গিবাহী বলে উলেস্নখ করা হয়। বিস্ময়কর হলো, নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথম দুই বছর নির্বাচনী এলাকায় পর্যনত্ম যাননি মির্জা আজম। ।
** তিনি নিজেকে অতিমাত্রায় বানিজ্যিক কাজে ব্যসত্ম রেখেছেন। বারিধারায় আবাসিক পস্নট, বিদু্যত কেন্দ স্থাপন আর সরকারি অনেক ঠিকাদারি কাজে মনোযোগী হয়ে পড়ায় অনেক বিতর্কিতদের সঙ্গে বেশি সময় দিচ্ছেন। যা ভবিষ্যতে ভালো ফল দেবেনা
যুব ও ক্রীড়া আহাদ আলী সরকার
গোষ্ঠী স্বার্থ উধের্্ব তুলে ধরতে গিয়ে নাটোরে নির্বাচনী এলাকায় তিনি নানা বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন। তাকে কেন্দ করে নাটোরে আওয়ামী লীগের মধ্যে দল ও উপদলের সৃষ্টি হয়েছে। যা আগামী নির্বাচনে ক্ষতির কারণ হবে।
এছাড়া মন্ত্রীর এক ছেলে স্থানীয়ভাবে ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ এমনকি মাদককের ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকতা করেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এনিয়ে দলের স্থানীয় একাধিক সাংসদ তাদের অসন্তুষ্টির কথা সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানিয়েছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকার
সজ্জন মানুষ । বয়সের কারণে তাঁর দায়িত্ব পালনের সক্ষম না । পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না এ কে খন্দকার।
পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় মন্ত্রী মনে রাখতে পারেন না। আর তার ব্যক্তিগত সচিব এক্ষেত্রে অতিরিক্ত খবরদারি করেন। এর ফলে গোটা মন্ত্রণালয়ে এক ধরনের অস্থিরতা আছে। এমনকি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে চেইন অব কমান্ড নেই। যা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও বাসত্মবায়নের জন্য বাধাঁর সৃষ্টি করছে ।
নির্বাচনী এলাকায় ভালো ভাবমূর্তি থাকলে মন্ত্রীর সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংযোগ সামান্যই
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাজাহান মিয়া
নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালী সদরে তাঁর পক্ষে-বিপক্ষে একাধিক উপদলের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার ঠিকাদারি কর্মকান্ডে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনেরা এমনভাবে নাক গলান যা প্রকাশ্য হয়ে পড়ে। এতে প্রতিমন্ত্রীর পাশাপাশি দলের ভাবমূর্তিও প্রশ্নের মুখে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সাংসদ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান
প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনেরা এলাকায় জমি দখলের ক্ষেত্রে বেপরোয়া। এতে সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী।
এনিয়ে প্রতিমন্ত্রীর কাছে গিয়ে জনসাধারণ প্রতিকার পাননা। ফলে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন নির্বাচনী এলাকার সর্বত্র। এলাকায় আলোচনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে জনগনের ভাগ্য পরিবর্তনের চেয়ে নিজের বিষয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বেশি মনোযোগী। আগামীতে মানুষের এই মনোভাবের পরিবর্তন ঘটানো না গেলে আওয়ামী লীগের দুর্গ খ্যাত এই এলাকায় দলের প্রার্থীকে কড়া মাশুল গুনতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফসারুল আমিন
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানোর চেয়ে এই মন্ত্রী চট্টগ্রামের রাজনীতিতে নিজস্ব বলয় সৃষ্টিতে বেশি আগ্রহী।
আর এটা করতে গিয়ে তিনি চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরীর সঙ্গে এতটাই দূরত্ব তৈরি করেছেন যে প্রতিনিয়তই তাঁকে চট্টগ্রামের উপদল সামাল দেওয়ার চেষ্টায় ব্যসত্ম থাকতে হয়। এর ফলে নিজ নির্বাচনী এলাকাতেও মন্ত্রী স্বসত্মিকর পরিস্থিতিতে নেই। আবার মন্ত্রী হিসেবে এলাকায় খুব বেশি উন্নয়ন কর্মকান্ডের নেতৃত্বও দিতে পারেন নি। মন্ত্রী হিসেবে নিজের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও ব্যর্থতার দিয়েছেন আফসারুল আমীন । সব মিলিয়ে মন্ত্রণালয় ও নির্বাচনী এলাকায় তার ব্যর্থতার পালস্নাই ভারী ।
সাজেদা চৌধুরী
নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দার বেহাল চিত্রের বিষয়টিও প্রতিবেদনে গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে। উপনেতা শুরু থেকেই এলাকায় নিজস্ব একটি পক্ষ তৈরি করায় দলের মধ্যে তার বিপক্ষ গ্রুপ ভেতরে ভেতরে সক্রিয়। পাশাপাশি তার ছেলে আয়মন আকবরের আচরনেও এলাকায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বড়সড় অসনত্মোষ রয়েছে। সাধারণ মানুষের অসন্তুষ্টির প্রতিফলন ঘটেছে সর্বশেষ পৌরসভা নির্বাচনে। যেখানে সংসদ উপনেতার মনোনীত প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
আগামীতে এলাকার মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে ।
রাজিউদ্দিন রাজু
এলাকায় জনপ্রিয় এবং সাধারণ মানুষের জন্য ইতিবাচক । তবে মেয়র লোকমান হত্যাকান্ড নিয়ে খানিকটা বেকায়দায় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।