সম্ভাবনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অসম্ভবকে নিয়ে বাঁচতে চাই!! কখনো বুঝি নি,হয়তো বুঝতে চাই নি-সময়ের আতিথেয়তা কেন আমাকে আপন করে নেয় না?
নাকি আমিই আপন হতে পারি না। জানি না?? :/ জানলে কি আর মনে শঙ্কার মেঘ জমতো?.........
সময়ের আমন্ত্রনে আমি ছুটে যাই। শাত-পাঁচ ভুলে এক লক্ষ্য সে মহাকালের পানে ছুটে চলি।
অনেকটা পথ পেরিয়ে দিগন্তের শেশ সীমায় চোখে পড়ে-ঐ যে সময়,ঐ যে মহাকাল ডাকছে আমায়;
ডাকছে দু'হাত তুলে। আমি বলি,"এই তো এসে গেছি,দিলাম ছুট! সময়ের বরাভয়ে আমিও যে অংশ
নিতে চাই।
মহাকালকে ছুয়ে যদি এর সুবাসেও আত্মাকে পবিত্র করতে পারি তাতেই বা কমকিসের??
জীবনে তো কম পাপ করি নি,নৈতিকতার দুর্মূল্যের বাজারে আত্মশুদ্ধির একটা পথ তোঅন্তত পেলাম,
যাক... বাঁচা গেল!...............এসব ভাবতে ভাবতেই মনটা কোন এক স্বর্গীয় আনন্দেভরে উঠলো।
কালরসের মধু আস্বাদনে মন্তা যে আকুপাকু করছে। এ মনকে আর বেঁধে রাখতে পারছি না।
তাইতো প্রাণপণে ছুটছি...ছুটছি তো ছুটছি ই ই ই ....................................>>>>>>>>>
অনেকটা পথ তো পেরোলাম। কই? কোথায় সে রক্তিম সূর্য?? কোথায় আছে তার সেই অমৃতযৌবন???
যতোই এগোই,দূরত্ব তো কমছে না।
মহাকাল তো একি দূরত্বে দাড়িয়ে আছে। হঠাৎ এক অজানা
শঙ্কায় মনটা কেঁপে ঊঠলো। দেহঘরির ঘণ্টা হঠাৎই মনে হল নিস্তব্ধ! ------আচ্ছা,আমি স্বপ্ন দেখছি?
নাকি এ নিদ্রাচ্ছন্নতায় বাস্তবতার ছলনা?!? নিজেকে বার বার পরোখ করলাম। নাহ! আমি নিদ্রাচ্ছন্ন নই।
তাহলেকি?......? কিন্তু কেন?? কেন এসব শুধু আমার সাথেই হয়? যা আমার জন্য নয়,যে স্বপ্ন স্পর্শের
অতীত,তা কেন আমাকে বিমোহিত করে;কেন আমার জীবনকে এলোমেলো করে দেয়!!
সত্য বলতে দ্বিধা নেই।
তাই বলি,"আমি দ্বিসত্ত্ব মানব!আমি ছাড়াও আরেক সত্ত্বা আছে আমার
মাঝে। অন্তরলিনের গহিনে জন্ম হলেও আমার মাঝেই তার স্বমহিমায় বেড়ে ওঠা। তবে আমার চোখে
ভেসেওঠা এসব স্বপ্ন আমি দেখি না। দেখে সেই দ্বিতীয় সত্ত্বা যে আজ কৈশোরে পা দিয়েছে। তার কিশোর
সুলভচাঞ্চল্যে আমি দিশেহারা।
দিকবিদিক দুরন্তপনায় মত্ত সে কখনো স্থির নয়। কল্পনাপ্রবণ এ অস্থির
সত্ত্বাশুধুই স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। আর সেসব অধরা স্বপ্নের অপূর্ণতার ভাগীদার হই আমি। অশ্রুর প্রতি
ফোঁটায় সে অপূর্ণতা ঝরে পড়ে-কখনো বা হিমরক্তের লাল মহিমায়! আকাশচুম্বী স্বপ্নে বিভোর সেজন
মহাকালকে ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে। যার প্রতিফলন নয় বরং প্রতিসরণের ফলে আমার মাঝেই তা হারিয়ে যায়!!!
কোন এক অজানা লোভে আমিও ছুটে চলি সময়কে পাড়ি দিয়ে মহাকালের কাছে।
পথের কাঁটাবিদ্ধ
হওয়ারশূলবেদনাকে তাচ্ছিল্য করে, নিজের কষ্ট কে কবর দিয়ে সেখানে পৌঁছে দেখি মহাকাল মুছকি হাসছে।
অনুভব করি মহাকালের আতিথেয়তা। সময়ের দাবি আদায়ে ক্ষুধার্ত আমি তখন মহাকালকে ছুঁতে যাই।
কিন্তু নাহ ছুঁতে পাড়ি না তো! বারবার চেষ্টা ছালাচ্ছি-তবুও হচ্ছে না। --------শত চেষ্টাকে কবর দিয়ে উত্তরী
বায়ু আমায় ফিশফিশিয়ে বলে,আমাকে নাকি সে অধিকার দেয়া হয় নাই।
আমি তার যোগ্য নই।
কিয়ৎক্ষন আমার হৃদস্পন্দন থমকে গেল। পরক্ষনেই নিভুদীপে আশার আলো ফিরে পেলাম। অযোগ্য হয়তো
আমি নই, আমার মাঝে বাসকারীসেই দ্বিতীয় সত্ত্বাটি। কেননা স্বপ্ন সে দেখেছে।
আমি নই......তবু সত্যান্বেষী এ
মনের কোন কিছুতেই তৃপ্তি মেলে না। "কই সে উত্তরী বায়ু? আমি তার মুখ থেকেই নিশ্চিত হতে চাই সত্যটি। "
অনেক খুঁজেছি কিন্তু তার দেখা পাই নাই। কিন্তু এত সংশয়ে পাহাড়সমান দুঃখের পাথর যে আর ভাঙ্গে না।
এ কষ্টের পাথর দিয়েই পাঁজর ভেঙ্গে সে সত্ত্বাকে হাতে নিয়ে একদৃষ্টে তাকিয়ে বলি,"কেন এমন স্বপ্ন
দেখতেগেয়েছিলি? কেনই বা আমায় এত কষ্ট দিতে তোর এত তাড়া! কেন এত কষ্ট করতে বাধ্য করলি জীবনভর?
তুই চুপ কেন?... কোথায় তোর সেই কৈশোরের চাঞ্চল্য? আমি জবাব চাই।
জানি তুই জবাব দিতে পারবি না।
এজন্যই তকে পাঁজর চিঁরে বের করে এনেছি। অনর্গল ঝরে পরা রক্তে আমি সিক্ত হচ্ছি। আমাকে অনেক
দূরে যেতে হবে আমার হাতে বেশি সময় নাই। বল!!!!..............হাহ!! আমার নিথর দেহের বাইরে তুই
নিশ্চুপ কেন?? আজ তোকে মুক্তি দিলাম।
আমার মধ্যে তোর আর কোন ঠাই নাই। আর কখনো ফিরে
আসবি না বলছি। তুই ঐ আস্তাকুড়েই পড়ে থাক। তোকে আমার দরকার নেই। কষ্টের সাগরে ডুবে আমি
মরতে চাই না।
যদি বাঁচতে হয় তবে নিজের হয়ে বাঁচব;যদি শুনতে হয় তবে মনের কথাশুনব;তুই থাকলে
আমার মনের দাবি রক্ষা করা সম্ভব নয় জানি। তাইতো আমার দৃঢ় বিশ্বাস,"যদি মহাকালকেছুঁতে পারি,যদি
আত্মাকে পবিত্র করতে পারি,তা কেবল সম্ভব একমাত্র তোর ""স্পর্শের বাইরেই""!!!!!......!!!!!
__ বিহঙ্গ__ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।