আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিপাইমুখে বাঁধ হবেই: মনমোহন

ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...। মনিপুর রাজ্যে আরো কয়েকটি প্রকল্পের সঙ্গে বরাক নদীতে বাঁধ তৈরি করে টিপাইমুখ জলবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন মনমোহন সিং। শনিবার মনিপুর রাজ্যে এক জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, টিপাইমুখ প্রকল্পের পরিবেশগত ছাড়পত্র ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। বন বিভাগের ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মনমোহনের এ বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে। টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই মনমোহন সিংয়ের এ ঘোষণা এলো, যদিও ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- বরাক নদীর ওপর বাঁধ হলেও তাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না। বরাক নদীই সিলেট অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুটি স্রোতধারায় প্রবাহিত হয়ে পরে পুনরায় মিলিত হয়ে মেঘনা নাম নেয়। মেঘনা নদী চাঁদপুরে পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়ে বঙ্গোসাগরে পতিত হয়। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, টিপাইমুখে বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার হলে মেঘনা অববাহিকায় বিরূপ প্রভাব পড়বে।

এ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা মনিপুরেও রয়েছে। টিপাইমুখে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সঙ্গে ভারতের মনিপুর রাজ্য সরকারের বিনিয়োগ চুক্তির খবর গত ১৮ নভেম্বর প্রকাশ করে বিবিসি। মনমোহন জানান, টিপাইমুখে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির কাজ করবে নবগঠিত জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিগম বা এনএইচপিসি, মনিপুর সরকার এবং এসজেভিএনের যৌথ উদ্যোগের কোম্পানিটি৻ এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, টিপাইমুখ বাঁধবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বলছেন যে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়া হলেও এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট এনালিসিস বা পরিবেশের ওপরে প্রভাবের বিশ্লেষণ করার সময়ে নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় মানুষের প্রতিবাদ লিপিবদ্ধ করা হয়নি৻ প্রায় দুই দশক ধরে বাঁধ তৈরির বিরোধিতায় সরব মনিপুরের বিজ্ঞানী আর কে রঞ্জন বিবিসিকে বলেন, “সরকারের উচিত ছিল মানুষের সঙ্গে আলোচনা করা.. তাদের কাছ থেকে সম্মতি আদায় করা৻ তা করা হয়নি৻ প্রত্যেকটি গনশুনানিতে নিরাপত্তাকর্মীরা স্থানীয় মানুষকে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। ” এদিকে বিবিসির প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশ এ প্রকল্পের বিষয়ে জানতে নয়া দিল্লিতে চিঠি পাঠালে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাঁধ নির্মাণ করে ১৫০০ মেগাওয়াটের টিপাইমুখ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বরাক নদীর পানি প্রত্যাহার করা হবে না। ফলে এতে বাংলাদেশের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাবও পড়বে না।

টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের আগে যৌথ জরিপের দাবি জানিয়ে এর মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। তার জবাবও আসে, তবে তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী গত সপ্তাহে সংসদে বলেন, টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষায় সরকার পুরোপুরি সচেতন। এর পরপরই দিল্লিতে দুই দূত পাঠান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও মশিউর রহমান শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

তাতে তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ দিলে ভারতের পক্ষ থেকে আলোচনার বিষয়ে সম্মতি জানানো হয়। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.