আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা কি বোবা ও বধির হয়ে গেলাম.....?

জানতে ভালোবাসি,...তাই প্রশ্ন করি... ৪০০ বছরের ঐতিহ্য আমাদের এই ঢাকা আর নাগরিক সেবা দেওয়ার জন্য গঠিত আমাদের ঢাকা সিটি করপোরেশন। আজ সেই ঢাকা সিটি করপোরেশন ভাগ হয়ে গেল আওয়ামীলীগ সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায়। আমরা কোনো প্রতিবাদই করলাম না? হয়তো করেছি নামকাওয়াস্তে। আমরা আমাদের কথা বলা বা করা শুধু মাত্র পত্রিকা বা ব্লগেই সীমাবদ্ধ করে ফেলেছি বা প্রেসক্লাবের সামনে গোটা কয়েক মানব বন্ধন করলেই হয়ে যায়। এটা কি আমাদের অন্যায়ের প্রতিবাদের বা আন্দোলনের দেউলিয়াত্ত্ব প্রমাণ করে না? প্রশ্নটির কারণে অনেকেই হয়তো আমাকে ভুল বুঝতে পারেন।

তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমাদের বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস কি বলে, আমরা ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে, ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুথান, ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ স্বৈরাচারী আন্দোলন করেছি। এই বাংলাদেশ কোনো অন্যায় বা গণবিরোধী কিছু হলেই আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি, দিয়েছি রক্ত, দিয়েছি প্রাণ আর প্রতিষ্ঠা করেছি আমাদের অধিকার এবং মিলেছে মুক্তি। কিন্তু আজ ধীরে ধীরে প্রতিবাদের ভাষা কেন জানি ভুলতে বসেছি। আমরা যেন অসার হয়ে গিয়েছি।

তা না হলে এই আওয়ামীলীগ সরকার একের পর এক গণবিরোধী আইন পাস করে যাচ্ছে কোন জনমত যাচাই না করে। অথচ আমরা চুপ। এ বছরেইতো খোরা একটি যুক্তি দেখিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের আইন পাস করিয়েছে আর আজ মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন দুই ভাগে বিভক্তের বিলটি কণ্ঠভোটে পাস করলো। হায়!! এই স্বেচ্ছাচারিতার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্যই কি আমরা তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছি (অবশ্য অনেক বলে ক্ষমতা)। বর্তমান বাংলাদেশে আমরা কি নিয়ে আন্দোলন করি? আসলে বর্তমান আমরা কোনো কিছু নিয়েই আন্দোলন করি না।

আমরাতো আন্দোলনের সকল দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি শুধু মাত্র বিরোধী দলের উপর তারা খাবে পুলিশের লাঠির বাড়ি,টিয়ার সেল, খাটবে জেল আর আমরা করবো খিস্তি খিঁউরি, দেখবো মজা বা গোটা কয়েক লাশ অথবা ক্ষোভ প্রকাশ করবো প্রতি পাঁচ বছর পর পর সরকার বদল করে। এইতো!!এ ছাড়া আরকি বলুন? কিছু দিন আগে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, "দ্রব্যমূল্যে উর্ধ্বগতির যাঁতাকলে পিষ্ঠ মানূষ বিরোধীদলের আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিবে না" সরকার যে আমাদের জিম্মি করেছে এটা কামরুল ইসলামের কথায় প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় সহজেই। বিরোধীদল যখন হরতাল বা অন্য কোন রাজনৈতিক কর্মসুচী দেয় তাদের সমর্থনতো দূরের কথা তখন আমরা সাধারণ মানুষরাই বা কতিপয় সুশীল সমাজ বা সরকার এর বিভিন্ন রুপ বা ব্যাখা দেই। তুলে ধরি অনেক যুক্তি। এতে আসলে আমরা পরোক্ষভাবে সরকারকেই লাভবান করছি।

আর এই লাভের বা সুদে আসলে সরকার মাথায় উঠে গেছে, করছে যা খুশি মন চাইছে। আপনারা হয়তো বলবেন আমি বিএনপি'র হরতালের সমর্থন করছি,না আমি হরতালের বিরোধী। তবে আমি চাই অন্যায়ের ঐক্যমতের জোড়ালো আন্দোলন সেটা ধর্মঘট হোক,রোড মার্চ বা হরতাল হোক। একবার ভেবে দেখুনতো এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা সঠিক ভাবে করতে পারছে। কোনো না কোনো ভাবে তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে একটার পর একটা গণবিরোধী ইস্যূ সৃষ্টি করে আমাদের দৃষ্টি এদিক সেদিক ঘুড়িয়ে রেখেছে।

অর্থনীতির অবস্থা বলা যায় বারোটা বেজে তেরটায় পৌঁছে গেছে। অন্যদিকে আওয়ামীলীগ সরকারের সাফল্যের অনেকাংশ যেন ভারতের চুক্তি উপরই নির্ভর করছে। পৃথিবীতে চুক্তি বা ব্যবসা করার দেশ এই সরকার যেন খুঁজেই পাচ্ছে না। দেশ বিরোধী সকল চুক্তি আমাদের রুখতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আপনার মুখের কথা নাইবা বললাম।

কেননা আপনার কথা বলতে আমার রুচিতে বাঁধে। সবশেষে আসুন বোবা ও বধির না হয়ে যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি, গড়ি তুলি আন্দোলন। ঘৃণা করি দেশ বিরোধীদের। এ স্বাধীন দেশ আমার, তোমার, সকলের...... আমার বাংলাদেশ আমার গর্ব।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।