আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সালাউদ্দিনের হয়ে সাফাই দিলেন তার বন্ধু

বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সোমবার সালাউদ্দিনের মামলায় দ্বিতীয় সাফাই সাক্ষ্য দেন তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু নিজাম আহমেদ।
সাক্ষ্যে তিনি বলেন, স্কুল জীবনের বন্ধু কাইউম রেজা চৌধুরীর মাধ্যমে ১৯৬৭-৬৮ সালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তখন থেকে তারা একসঙ্গে চলতেন।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় উনসত্তরের গণআন্দোলনে যোগ দেন। এ সময় সালাউদ্দিন কাদেরও তাদের সঙ্গে ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।


নিজাম আহমেদ বলেন, “১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সন্ধ্যার দিকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রেস সেক্রেটারি আমিনুল হক বাদশার সঙ্গে আমরা হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে যাই। এরপর কারফিউ শুরু হলে ২৭ মার্চ পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম। ”
তিনি বলেন, ওই হোটেলে বিদেশি সাংবাদিক সাইমন ড্রিং এবং মিশেল নামে একজন ফরাসি আলোকচিত্রীও ছিলেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদও সেখানে অবস্থান করছিলেন।
নিজাম আহমেদ বলেন, ২৭ মার্চ হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল থেকে বেরিয়ে ২৮ মার্চ তারা ধানমন্ডি ৮ নম্বরে এক সুইডিস পরিবারের বাসায় আশ্রয় নিয়ে ৪/৫ দিন সেখানে অবস্থান করেন।

পরবর্তীতে শেখ কামালও ওই বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
“ওই সময় কাইউম  আমাকে জানিয়েছিল যে, সে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বিমানবন্দরে রেখে এসেছে। ট্যাক্সির ব্যবস্থা করে শেখ কামালকেও সে আরিচা ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়। তবে শেখ কামাল যেতে না পেরে ফিরে আসে। ”
এরপর ১৯৭১ সালের ৭/৮ এপ্রিল কাইউম ও সালমানের সঙ্গে একই বিমানে করে করাচি যান জানিয়ে নিজাম বলেন, “করাচিতে আমরা সালমানের বাসায় উঠি।

সেই বাসায় দুই একদিন পর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আমাদের দেখতে আসেন। ”
তিনি বলেন, পরবর্তীতে কাইউম ইসলামাবাদে তার বোনের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার ১৫/২০ দিন পর তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন এবং জুন মাসের শুরুর দিকে ভারতের আগরতলা চলে যান।
একাত্তরের এপ্রিলে করাচিতে দেখা হওয়ার পর ১৯৭৪ সালের এপ্রিল কিংবা মে মাসে ঢাকায় হোটেল পূর্বানীতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয় বলে জানান নিজাম আহমেদ।
তিনি বলেন, এর মধ্যবর্তী সময়ে তাদের আর দেখা হয়নি।
জবানবন্দি শেষে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম এ সাক্ষীকে জেরা শুরু করেন।


 প্রসিকিউটরের প্রশ্নের জবাবে নিজাম বলেন, “আমি নিজাম আহমেদ এই মর্মে আমার কাছে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। পাসপোর্ট আছে তবে এই মুহুর্তে তা সঙ্গে নেই। ”
একটি প্রশ্নের পরই জেরা অসমাপ্ত রেখে ট্রাইব্যুনালের কাছে জেরার প্রস্তুতির জন্য সময় আবেদন করে প্রসিকিউশন। এরপরে মঙ্গলবার পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল মুলতবি ঘোষণা করা হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।