আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে চট্টগ্রামের পরিবেশকদের অনাগ্রহ

তারা বলছেন, টিসিবির সরবরাহ করা পণ্য  মানসম্পন্ন না হওযায় ও তা বিক্রি করে খুব একটা লাভ না হওয়ায় খোলাবাজারে পণ্য বিক্রিতে তাদের পোষাচ্ছে না।
গত ২৩ জুন থেকে নগরীতে নায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হলেও এক দিন বিক্রির পরই তা বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবেশকরা।
তবে টিসিবির পক্ষ থেকে পণের নিম্নমানের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সংস্থাটির দাবি, পরিবেশকরা পণ্য নিচ্ছে এবং বিক্রিও স্বাভাবিক হবে।
চট্টগ্রামে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির জন্য ১০ জন পরিবেশক নিয়োগ দিয়েছে টিসিবি।

পরিবেশকদের নগরীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে করে চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও ছোলা বিক্রি করার কথা।
প্রত্যেক পরিবেশক দৈনিক এক হাজার কেজি চিনি, ২০০ কেজি করে মসুর ডাল ও ছোলা এবং ২০০ লিটার করে বোতল সয়াবিন তেল উত্তোলন করতে পারবে।
নগরীর মুরাদপুর, চকবাজার, পাঁচলাইশ ও কাপাসগোলা এলাকার পরিবেশক হক স্টোরের কর্ণধার আবদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, টিসিবির সরবরাহ করা চিনির রং লাল ও আর্দ্র হওয়ায় তা কিনতে গ্রাহকদের আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য দৈনিক ১০০০ কেজি চিনি উত্তোলন বাধ্যতামূলক। কিন্তু ওই পরিমাণ চিনি বিক্রি হয় না; তাদের কাছে প্রায় ৮০০ কেজি চিনি দৈনিক অবিক্রিত থাকে।


এছাড়া টিসিবির কাছ থেকে পণ্য উত্তোলন করতে আগাম ৮৭ হাজার টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়, যে কারণেও পরিবেশকদের আগ্রহ কম।
প্রতি কেজি চিনি সাড়ে ৩৯ টাকা, মোটা মসুর ডাল সাড়ে ৬৫ টাকা এবং সাড়ে ৫৫ টাকা দরে ছোলা কিনে তা যথাক্রমে ৪৪ টাকা, ৭০ টাকা এবং ৬০ টাকা দরে খোলাবাজারে বিক্রি করার কথা পরিবেশকদের।
নগরীর বাদামতলী, আগ্রাবাদ, দেওয়ান হাট ও চৌমুহুনী এলাকার পরিবেশক পারভেজ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী মাসুদ পারভেজ জানান, দোকানের দামের সঙ্গে টিসিবর পণ্যের দামের ব্যবধান বেশি না থাকায় গ্রাহকদের এসব পণ্য ক্রয়ে আগ্রহ কম।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দোকানে ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা দরে সাদা চিনি পাওয়া যায়। তাই গ্রাহকরা লাল চিনি ক্রয় করতে আগ্রহ দেখান না।


পরিবেশক আবদুল্লাহ বলেন, টিসিবি থেকে উত্তোলন করা চিনি ছাড়া অন্য পণ্যগুলে সব বিক্রি হলে লাভ হয় দুই হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্তু ট্রাক ভাড়া ও শ্রমিকদের মজুরি বাবদ খরচ হয় ২ হাজার ১৫০ টাকা।
তার মধ্যে চিনি যদি অবিক্রিত থাকে তাহলে পরিবেশকরা লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এছাড়া টিসিবির সরবরাহ করা ছোলারে দামও বেশি বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন পরিবেশক। তার দাবি, ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজার থেকে সাড়ে ৫২ টাকা করে ছোলা ক্রয় করতে পারে, যা ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় খুচরা বাজারে বিক্রি করা যায়।


তাছাড়া পাইকারি বাজার থেকে বাকিতে পণ্য ক্রয় করে বিক্রির পরে টাকা পরিশোধ করার সুযোগ থাকায় সেদিকেই পরিবেশকদের আগ্রহ বেশি বলে জানান তিনি।
এছাড়াও শুধু একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ড্রাফট পরিশোধ করার সুযোগ সীমাবদ্ধ থাকায় পরিবেশকদের ভোগান্তিও বেশি হয় বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা কাজী মো. ইফতেখার।
ডিলাররা পণ্য উত্তোলন করছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, “কয়েকদিন বন্ধ থাকলেও তা আবার শুরু হয়েছে। ”
তিনি বলেন, পরিবেশকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে চিনি উত্তোলনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে ৩০০ কেজি করা হয়েছে।


মান সম্পর্কে ইফতেখার বলেন, টিসিবির চিনি ভারত থেকে আমদানি করা এবং বিএসটিআই পরীক্ষিত।
তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের বাইরে অন্যান্য জায়গায় টিসিবির চিনির চহিদা বেশি। এখারনকার মানুষ সাদা চিনি পছন্দ করে। ”
তবে সাদা চিনি থেকে টিসিবির চিনি অনেক বেশি সাশ্রয়ী বলেও দাবি করেন তিনি।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।