খোলাবাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর পিয়াজ বিক্রি ফের শুরু হওয়ায় এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়ে। পিয়াজের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে বরিশাল ও রংপুরে। নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল জানান, বরিশাল নগরী, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালীতে ৮৫ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতিকেজি পিয়াজ গতকাল দাম কমে খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা দরে। সরেজমিনে জানা গেছে, নগরীতে টিসিবি পিয়াজ বিক্রি শুরু হওয়ায় দাম কমেছে। এছাড়া দুই মাসের মধ্যে দেশি পিয়াজ বাজারে উঠবে।
এজন্য মজুদদাররা তাদের পণ্য বাজারে ছাড়ছেন। কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক জানান, বরিশালে নভেম্বর মাস থেকে পিয়াজের আবাদ শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি কৃষকের ঘরে পিয়াজ উঠবে। তখন দামও কমে যাবে। টিসিবি বরিশাল আঞ্চলিক প্রধান মো. হান্নান খান জানান, এবার টিসিবির প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।
বরিশাল নগরীতে ৪টি, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালীতে ২টি করে ট্রাকে পিয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। এবার বরিশালে ৭ টন ৫৮ কেজি পিয়াজ বরাদ্দ এসেছে। প্রতি ট্রাকে এক টন করে পিয়াজ বিক্রির জন্য দেওয়া হয়েছে। একজন ক্রেতা দুই কেজি করে পিয়াজ কিনতে পারবেন। নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর জানান, কেজি প্রতি ৫০-৫৫ টাকা কমে পাওয়ায় টিসিবির পিয়াজের প্রতি ঝুঁকছেন রংপুরের মানুষ।
দাম কম পাওয়ায় মানুষও চাহিদা অনুযায়ী পিয়াজ কিনেছে। ফলে প্রতিটি পিয়াজ বিক্রির ট্রাকের সামনে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। লাইনে দাঁড়িয়ে পিয়াজ কিনছে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। বাজারে প্রতিকেজি দেশি পিয়াজ ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার থেকে রংপুর নগরীর প্রেসক্লাব, সিটিবাজার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ট্রাকে করে প্রতিদিন ৬৫ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি করছে টিসিবির ডিলাররা।
টিসিবি রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা সরকার বলেন, পর্যাপ্ত পিয়াজ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ডিলাররা যাতে কারসাজি করতে না পারে সেজন্য বিক্রি কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।